অশুদ্ধি সংশোধনের গুরুত্ব আলোচনা কর।
অশুদ্ধি সংশোধন
প্রতিটি ভাষায় লেখা ও ছাপার সময় নানা ভুল-ভ্রান্তি হয়। বেশির ভাগ ভুলই হয় ব্যাকরণগত জ্ঞানের অভাবে। অসাবধানতার কারণেও শব্দ-বাক্যের অশুদ্ধ প্রয়োগ হতে পারে। সঠিকভাবে ভাষা চর্চার মাধ্যমে শুদ্ধভাবে লেখার অভ্যেস গড়ে ওঠে। অর্থাৎ ভাষা-দক্ষতা তৈরি হয়ে গেলে সঠিকভাবে ভাষা ব্যবহার করা যায়। ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ জানা না থাকলে বাক্য সঠিক হয় না, শব্দের প্রয়োগ ভুল হয়, ফলে লেখকের ভাষা জ্ঞান সম্পর্কে পাঠকের সন্দেহ জাগে। মুদ্রিত লেখার ‘ভুল’ শিক্ষার্থী সঠিক হিসেবে গ্রহণ করে। এভাবেই ভাষা অশুদ্ধ হয়ে পড়ে। কাজেই ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ
অংশ—ভাগ | নীবার—উড়ি ধান্য |
অংস—স্কন্ধ | নীর—জল |
অণু—বস্তুর ক্ষুদ্রতম অংশ | নীরত—বিরত |
অনিল—বায়ু | নীরাকার—পানির আকার |
অনিষ্ট—অপকার | পক্ষ—পাখা |
অনিষ্ঠ—নিষ্ঠাহীন | পক্ষ্ম—নেত্রলোম |
অনীল—যাহা নীল নহে | পদ্ম—কমল |
অনু—পন্ডাৎ | পদ্য—কবিতা |
অন্ন—খাদ্য | পরভৃৎ—কাক |
অন্নদা—অন্নদাত্রী | পরভৃত—কোকিল |
অন্নপুষ্ট—ভোজনপুষ্ট | পরশ্ব—পরশু |
অন্য—অপর | পরস্ব—পরের ধন |
অন্যদা—অন্যদিন | পরিচ্ছদ—পোশাক |
অন্যপুষ্ট—কোকিল | পরিচ্ছেদ—অধ্যায় |
অপগত—দূরীভূত, অপসৃত | পরিষদ—সভা, সংসদ |
অপচয়—ক্ষতি | পাণি—হাত |
অপসৃত—দূরীকৃত | পানি—জল |
অবগত—জ্ঞাত, জানা | পারিষদ—সভাসদ, সভ্য |
অবচয়—চয়ন | পুৎ—নরক বিশেষ |
অবদান—মহৎ কার্য | পুত—পুত্র |
অবদ্য—নিন্দনীয় | পুরি—লুচি |
অবধান—মনোযোগ | পুরী—নিকেতন |
অবধ্য—বধের অযোগ্য | পূত—পবিত্র |
অবসৃত—অবসরপ্রাপ্ত | পৃষ্ট—জিজ্ঞাসিত |
অবিরাম—অবিশ্রান্ত | পৃষ্ঠ—পিঠ |
অবিহিত—অন্যায় | প্রকার—রকম |
অভিরাম—র্সুদর | প্রকৃত—যথার্থ |
অভিহিত—কথিত, উক্ত | প্রসাদ—অনুগ্রহ |
অভ্যাশ—আবৃত্তি, নিকট | প্রাকার—প্রাচীর |
অভ্যাস—চর্চা, শিক্ষা | প্রাকৃত—স্বাভাবিক |
অযুগ্ম—পৃথক, জোড় নহে | প্রাসাদ—অট্টালিকা |
অযোগ্য—অনুপযুক্ত | ফাঁড়া—বিপদ আশংকা |
অর্ঘ—মূল্য | ফাড়া—ছেঁড়া |
অর্ঘ্য—পূজার উপকরণ | ফি—প্রত্যেক |
অলিক—কপাল | ফী—বেতন |
অলীক—মিথ্যা | ফোঁড়া—ছিদ্র বা বিদ্ধ করা |
অশন—ভোজন | ফোড়া—ব্রণ |
অশিত—ভক্ত | বঙ্গ—বাংলাদেশ |
অশীত—উষ্ণ, শীত নহে | বর্শা—ধনুক |
অশীলতা—অভদ্রতা | বর্ষা—বর্ষা ঋতু |
অশূর—যে বীর নহে | বলি—নৈবেদ্য |
অশ্ব—ঘোড়া | বলী—বলবান |
অশ্ম—পাথর | বল্লব—গোপ |
অসন—নিক্ষেপ | বল্লভ—প্রিয় |
অসিত—কৃষ্ণ | বসন—বস্ত্র |
অসিলতা—তরবারি | বাণ—শর, তীর |
অসুর—দৈত্য | বাণী—বাক্য |
আত্ত—গৃহীত, প্রাপ্ত | বান—বন্যা |
আত্ম—নিজ | বানি—পারিশ্রমিক |
আদাড়—আস্তাকুঁড় | বিজন—নির্জন |
আদি—মূল | বিত্ত—ধন |
আধার—পাত্র | বিদুর—ধীর, জ্ঞানী |
আধি—মনঃকষ্ট | বিদূর—দূরবর্তী |
আপণ—দোকান | বিধুর—কাতর |
আপন—নিজ | বিনা—ব্যতীত |
আপ্ত—প্রাপ্ত, বিশ্বস্ত | বিবৃতি—বর্ণনা |
আবরণ—আচ্ছাদন | বিবৃত্তি—চক্রবৎ ঘূর্ণন |
আবাস—বাসস্থান | বিশ—কুড়ি |
আভরণ—অলঙ্কার | বিষ—গরল |
আভাষ—আলাপ, ভূমিকা | বিস—মৃণাল |
আভাস—ইঙ্গিত, দীপ্তি | বিস্মিত—অবাক |
আর্ত—পীড়িত | বিস্মৃত—যা মনে নেই |
আশা—আকাঙ্ক্ষা | বীজন—বাতাস দেওয়া |
আশি—অশীতি (৮০) | বীণা—বাদ্যযন্ত্র |
আশী—সাপের বিষদাঁত | বৃত্ত—গোলক |
আষাঢ়—বাংলা মাস বিশেষ | বেদ—গ্রন্থ বিশেষ |
আসা—আগমন | বেধ—গভীরতা |
আসার—বৃষ্টি, জলকণা | ব্যঙ্গ—বিদ্রুপ |
আসি—আগমন করি | ব্যসন—দোষ, নেশা |
আহুতি—হোম | ভজন—আরাধনা |
আহূতি—আহবান | ভঞ্জন—নিবারণ |
ইতি—শেষ, অবসান | ভাণ—ছল |
ঈতি—ছয় প্রকার শস্য- বিঘ্ন | ভান—দীপ্তি, শোভা |
ঈশ—ঈশ্বর | ভারা—উচ্চস্থানে কাজ করার মাচা |
ঈষ—লাঙ্গলদণ্ড | ভারা—মাশুল |
উৎপত—পাখি | ভাষ—কথা |
উৎপথ—কুপথ | ভাষণ—উক্তি |
উদ্ধত—অবিনীত | ভাস—দীপ্তি |
উদ্যত—প্রবৃত্ত | ভাস্বান—দীপ্তিযুক্ত |
উপাদান—উপকরণ | ভুঞ্জন—ভোগ করা |
উপাধান—বালিশ | ভোজন—আহার |
ঋত—কাতর | মড়ক—মহামারি |
ঋতি—গতি | মণ—চল্লিশ সের |
এ কথা—এই কথা | মতি—বুদ্ধি, মন |
একতা—ঐক্য | মন—চিত্ত |
একদা—এককালে | মহিত—পূজিত |
একধা—এক প্রকারে | মাষ—মাষকলাই |
এণ—কৃষ্ণসার মৃগ | মাস—ত্রিশ দিন |
এন—দোষ, পাপ | মিলন—সংযোগ |
ওড়—জবাফুল | মীলন—মুদ্রণ |
ওর—অস্ত | মুখ—বদন |
ওষধি—একবার ফল দিয়ে যে বৃক্ষ মরিয়া যায় | মুখপত্র—ভূমিকা |
ঔষধি—ভেষজ উদ্ভিদ | মুখপাত্র—প্রতিনিধি |
কটি—কোমর | মুখ্য—প্রধান |
কতক—কিছু | মূক—বোবা |
কথক—বক্তা | মূর্খ—জ্ঞানহীন |
কপাল—ললাটদেশ | মেদ—চর্বি |
কপোল—গণ্ডদেশ | মেধ—যজ্ঞ |
কমল—পদ্ম | মোড়ক—আচ্ছাদনী |
করি—আমি সম্পন্ন করি | মোতি—মুক্তা |
করী—হস্তী | মোহিত—মুগ্ধ |
কালি—লিখিবার কালি | যজ্ঞ—যাগ, উৎসব |
কালী—হিন্দুদের দেবী | যতি—উচ্চারণে বিরাম |
কীর্তিবাস—যশস্বী | যতি—ছেদ, বিরাম |
কুজন—খারাপ লোক | যতী—মুনি, জিতেন্দ্রিয় |
কুট—পর্বতশৃঙ্গ | যব—শস্য বিশেষ |
কুল—বংশ, ফল বিশেষ | যমক—যমজ |
কুশাসন—কুশ নির্মিত আসন | যাম—প্রহর |
কু-শাসন—খারাপ শাসন | যুগ—কাল, আমল |
কূজন—পাখির রব | যূত—যুক্ত |
কূট—জটিল | যূথ—পশুপক্ষীর দল |
কূল—তীর, কিনারা | যোগ—মিলন |
কৃত—প্রস্তুত | যোগ্য—উপযুক্ত |
কৃতদাস—ভৃত্যে পরিণত | রচক—রচয়িতা |
কৃতি—কার্য | রত—মগ্ন |
কৃতি—যশস্বী | রতি—আসক্তি |
কৃত্তিবাস—মহাদেব | রথ—শকট |
কোটি—ক্রোর | রথী—রথারোহী |
কোমল—নরম | রশনা—কটিভূষণ |
ক্রীত—কেনা | রশি—দড়ি |
ক্রীতদাস—কেনা গোলাম | রশ্মি—কিরণ |
ক্রুদ্ধ—রাগান্বিত | রসনা—জিহ্বা |
ক্রুর—নিষ্ঠুর | রাঁধা—রন্ধন |
ক্রোড়—কোল | রাধা—রাধিকা |
ক্রোর—কোটি | রিক্ত—শূন্য |
ক্ষুব্ধ—দু:খিত | রিক্থ—সম্পদ |
ক্ষুর—কামাইবার অস্ত্র বিশেষ | রীত—প্রথা |
খড়—তৃণ | রীতি—প্রথা |
খর—তীব্র | রীতি—প্রথা |
খাট—খাটিয়া, চারপায়া | রু´—স্বর্ণ |
খাটো—বেঁটে, খর্ব, নগণ্য, অনুচ্চ | রুক্ষ—কর্কশ |
খুদ—চাউলের কণা | রুদ্র—উগ্র, শিব |
খুর—গরু, ঘোড়ার পায়ের খুর | রোচক—উপভোগ্য |
খোদ—স্বয়ং | রৌদ্র—সূর্যকিরণ |
গাদা—রাশি | লক্ষ—লাখ, দৃষ্টি |
গাধা—গর্দভ | লক্ষণ—চিহ্ন |
গিরিশ—মহাদেব | লক্ষ্মণ—রামানুজ |
গিরীশ—হিমালয় | লক্ষ্য—উদ্দেশ্য |
গুড়—মিষ্টদ্রব্য বিশেষ | লুঠন—গড়াগড়ি |
গুণ—ধর্ম, ভাব, দড়ি | লুণ্ঠন—লুটতরাজ |
গুন—চট, চটের থলি | শকল—খন্ড |
গুলি—অনেক | শকৃৎ—বিষ্ঠা |
গুলী—গোলা | শক্ত—সমর্থ, কঠিন |
গূঢ়—গুপ্ত, গভীর | শঙ্কর—শিব |
গোঁড়া—অন্ধভক্ত | শঠ—প্রবঞ্চক |
গো-কুল—গরু জাতি | শতী—শতযুক্ত |
গোকুল—বৃন্দাবন | শন—তৃণবিশেষ |
গোচর—প্রত্যক্ষ | শপ্ত—অভিশপ্ত |
গো-চর—গরু চরার স্থান | শম—শান্তি |
গোড়া—মূল বা নিুভাগ | শমন—যম |
গোর—সমাধি | শমি—শাঁই গাছ |
গোলক—গোলাকার বস্তু | শমী—শান্ত |
গোলোক—স্বর্গ, বৈকুণ্ঠ | শয্যা—বিছানা |
ঘুরা—ঘুরাফিরা করা | শর—তীর, বাণ |
ঘোড়া—অশ্ব | শরণ—আশ্রয় |
ঘোর—ঘন | শরল—দেবদারু বৃক্ষ |
চতুষ্পথ——চৌমাথা | শর্ব—শিব |
চতুষ্পদ—চার পদ- বিশিষ্ট | শসা—ফল বিশেষ |
চাল—ঘরের চাল | শাদ—শষ্প, কচি ঘাস |
চাল—চাউল | শাদি—বিবাহ |
চাষ—কৃষি | শান্ত—ধীর, শিষ্ট |
চাস—পাখির নাম | শার—নানাবর্গ |
চিত—চয়ন করা হয়েছে যা | শারদা—দুর্গা, সারদা, সরস্বতী |
চিত্ত—মন | শিকড়—বৃক্ষের মূল |
চিত্য—অগ্নি | শিকার—মৃগয়া |
চির—দীর্ঘ | শিল—নুড়ি, পাথর |
চীর—ছিন্নবস্ত্র | শীকর—জলকণা |
চূত—আম্রফল | শীত—শীতকাল, ঠান্ডা |
চ্যুত—ভ্রষ্ট, স্খলিত | শীল—চরিত্র |
ছাঁদ—আকৃতি, গঠন | শুক—টিয়াপাখি |
ছাড়—ত্যাগ | শুক্তি—ঝিনুক |
ছাদ—ছাত | শুচি—শুদ্ধ |
ছার—অধম | শূক—শুঁয়া |
ছোড়া—তরুণ বালক | শূকর—জন্তু বিশেষ |
ছোরা—বড় চাকু | শূর—বীর |
জড়—অচেতন | শ্বশ্রু—শাশুড়ি |
জব—বেগ | শ্মশ্রু—দাড়ি |
জমক—সমারোহ | শ্যাম—কৃষ্ণ |
জলা—জলময় নিুভূমি | শ্যেন—বাজপাখি |
জানু—হাঁটু | শ্রবণ—শোনা |
জাম—ফল বিশেষ | শ্রুতি—শ্রবণ |
জাল—ফাঁদ, নকল | ষট্—ছয় |
জালা—বড় পাত্র | সংকর—মিশ্রণোৎপন্ন |
জোড়—যুগল | সকথি—উরু |
জোর—শক্তি | সকল—সমস্ত |
জ্বর—রোগ বিশেষ | সকৃৎ—একবার |
জ্বলা—দগ্ধ হওয়া | সক্ত—আসক্ত |
জ্বাল—অগ্নিশিখা | সজ্জা—পোশাক |
জ্বালা—যন্ত্রণা | সতী—সাধ্বী |
জ্যেষ্ঠ—অগ্রজ | সত্ত্ব—গুণের নাম |
জ্যৈষ্ঠ—মাস বিশেষ | সত্য—যথার্থ |
জ্যোতি—দীপ্ত, আলো | সন—বৎসর |
ঝাড়া—নাড়া দেওয়া | সপত্নী—সতীন |
ঝানু—পাকা, চতুর | সপ্ত—সাত |
ঝারা—সচ্ছিদ্র পাত্র | সবিতৃ—সূর্য |
ঝুড়ি—চাঙারি | সবিত্রী—জননী |
ঝুরি—বটগাছ ইত্যাদির জটা | সম—সমান |
টিকা—রোগ-নিবারক বীজ প্রয়োগ | সমন—আদালতের ডাক |
টীকা—সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা | সম্প্রতি—অধুনা |
টেকা—স্থায়ী হওয়া | সম্প্রীতি—(সদ্ভাব) |
টেক্কা—এক ফোঁটা বিশিষ্ট তাস | সম্বর—সংবরণ |
তড়িৎ—বিদ্যুৎ | সর—দুধের সারাংশ |
তত্ত্ব—গূঢ় অর্থ | সরণ—পথ, ধারা |
তথ্য—সংবাদ | সরদা—খরমুজ জাতীয় ফল |
তদীয়—তাহার | সরল—ঋজু |
তন্ত্র—বীণার তার | সর্গ—অধ্যায় |
তন্ত্রী—তাঁত, বীণা | সর্ব—সকল |
তপসী—ছোট মাছ বিশেষ | সলিল—জল |
তপস্বী—যে তপস্যা করে | সহিত—সঙ্গে |
তরণি—নৌকা | সাক্ষর—অক্ষর সংবলিত |
তরুণী—যুবতী | সাদী—অশ্বারোহী |
তুলা—কার্পাস, শিমুল প্রভৃতি ফলের আঁশ | সান্ত—সসীম |
তোলা—উত্তোলন করা | সাম—গান, বেদমন্ত্র |
ত্বদীয়—তোমার | সামি—অর্ধেক |
ত্বরিত—দ্রুত | সার—নির্যাস |
দর্প—গর্ব, অহঙ্কার | সার্থ—অর্থযুক্ত, বণিকদল |
দর্ভ—তৃণ | সিক্ত—ভিজা |
দাঁড়ি—বিরাম চিহ্ন | সিক্থ—মোম |
দাঁড়ী—যে নৌকার দাঁড়া টানে | সিত—শ্বেত |
দাড়ি—শ্মশ্রু | সিতা—চিনি |
দাপ—দাপট, দর্প | সীতা—রামের স্ত্রী |
দারা—পত্নী | সুকর—সুসাধ্য |
দিন—দিবস | সুত—পুত্র |
দিনেশ—সূর্য | সুতা—কন্যা |
দীন—দরিদ্র | সুদ—কুসীদ |
দীনেশ—দরিদ্রের প্রভু | সুর—গানের সুর, দেবতা |
দীপ—প্রদীপ | সূক্তি—ভাল কথা |
দীপ্ত—উজ্জ্বল | সূত—জাত |
দূত—সংবাদ বাহক | সূতা—সূত্র |
দৃপ্ত—বলিষ্ঠ | সূদ—পাচক |
দেশ—রাজ্য | সূর—সূর্য |
দ্বারা—কর্তৃক | সেন—হিন্দুদের উপাধি |
দ্বিপ—হস্তী | স্কন্দ—কার্তিকেয় |
দ্বীপ—জলবেষ্টিত স্থল | স্কন্ধ—কাঁধ |
দ্বেষ—হিংসা | স্তম্ব—তৃণাদির ডাঁটা |
দ্যূত—পাশাদি দ্বারা জুয়াখেলা | স্তম্ভ—থাম |
ধনী—ধনবান | স্বত্ব—স্বামিত্ব |
ধরা—ধারণ করা | স্বপত্নী—নিজপত্নী |
ধরা—পৃথিবী | স্বর—আওয়াজ |
ধাতৃ—বিধাতা | স্বর্গ—অমরলোক |
ধাত্রী—ধাইমা | স্বসা—ভগিনী |
ধাপ—সিঁড়ির পইঠা | স্বহিত—আত্মকল্যাণ |
ধ্বনি—শব্দ | স্বাক্ষর—সহি, দস্তখত |
নব—নতুন | স্বাদ—আস্বাদ |
নভ—আকাশ | স্বামী—প্রভু |
নাড়ি—ধমনী | স্বার্থ—নিজ প্রয়োজন |
নারী—স্ত্রীলোক | স্বীকার—অঙ্গীকার |
নিদান—অন্তিম | স্মর—কামদেব |
নিধান—আধার | স্মরণ—স্মৃতি |
নিবার—বারণ, নিষেধ | স্রবণ—ক্ষরণ |
নিবৃত্ত—বিরত | স্রুতি—ক্ষরণ |
নিভৃত—গোপন | হরতাল—ধর্মঘট |
নিরত—নিযুক্ত | হরিতাল—পক্ষীবিশেষ |
নিরশন—উপবাস | হর্ম—হাই তোলা |
নিরসন—দূরীকরণ | হর্ম্য—অট্টালিকা |
নিরস্ত—ক্রান্ত | হাঁড়ি—পাত্র |
নিরস্ত্র—অস্ত্রহীন | হাঁফ—নি:শ্বাস |
নিরাকার—আকারহীন | হাড়—অস্থি |
নিরাশ—আশাহীন | হাড়ি—নিুবর্ণের হিন্দু |
নিরাস—দূর করা | হাফ—অর্ধ |
নির্জর—দেবতা | হার—পরাজয় |
নির্ঝর—ঝরনা | হুতি—হোম |
নিশিত—ধারাল | হূতি—আহ্বান |
নিশীথ—গভীর রাত্রি | হৃতি—হরণ |
নীড়—পাখির বাসা | হোতা—যজ্ঞের পুরোহিত |
হোথা—ওখানে |
বাংলা ভাষায় লেখার ক্ষেত্রে কী কী ত্রুটি দেখা যায়?
সাধারণত কয়েক প্রকারের ত্রুটি লেখার ক্ষেত্রে লক্ষ করা যায়—
ক. বানানের ভুল;
খ. শব্দ ও পদের অপপ্রয়োগ;
গ. বাক্য গঠনের ত্রুটি;
ঘ. প্রয়োগের বাহুল্য;
ঙ. সাধু চলিতের মিশ্রণ।
ক. বানানের ভুল
বাংলা ভাষায় শব্দ যেভাবে উচ্চারণ করা হয় বানান সেভাবে হয় না। উচ্চারণ হয় বাঙালিদের মতো বা বাংলা ভাষায়, আর বানান হয় সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুসারে। তাছাড়া, ব্যাকরণের নিয়মাবলি সূক্ষ্মভাবে না জানার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রায়শ ভুল করে থাকে। বানানের ভুল বাংলা বানানের নিয়ম অধ্যায়ে বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে। এখানে প্রায়শ ভুল হয় এমন কিছু শব্দের বিষয়ে আলোচনা করার হল— ‘তা’ প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দের ক্ষেত্রে-শব্দের মধ্যে হ্রস্ব-ই-কার হয়। যেমন— সত্যবাদী > সত্যবাদিতা, মনোযোগী > মনোযোগিতা, উপকারী > উপকারিতা, প্রতিদ্বন্দ্বী > প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সহকারী > সহকারিতা, উপযোগী > উপযোগিতা, বিরোধী > বিরোধিতা, আলাপচারী > আলাপচারিতা।
স্ত্রীবাচক শব্দের ভুল
বাংলায় সাধারণ ই, অ, ইনী, ঈনী প্রত্যয় যোগে পুরুষবাচক শব্দকে স্ত্রীবাচক শব্দে পরিবর্তন করা হয়। তবে সংস্কৃতের অনুসরণ করতে গিয়ে অনেক সময় বাংলায় ভুল প্রয়োগ হয়। দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত থাকার ফলে সেই ভুল এখন শুদ্ধ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তবে, ইদানীং সব পুরুষবাচক শব্দকেই স্ত্রীবাচক শব্দে পরিণত করার বিরুদ্ধে মত জোরদার হচ্ছে। অর্থাৎ নারীকে আলাদা করে দেখার মানসিকতা কমে যাচ্ছে। তবে, এখন অনেক প্রয়োগ রয়ে গেছে। নারীরা এখন সম্পাদক, প্রভাষক হিসেবেই নিজের পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। হয়তো ভবিষ্যতে স্ত্রীবাচক শব্দ আরো হ্রাস পাবে।
ই, ঈ, আ, ইনী, ঈনী প্রয়োগ
বিশেষ্য ও বিশেষণের সাথে স্ত্রীবাচক ‘ঈ’ প্রত্যয় যোগে সংস্কৃত শব্দকে স্ত্রীবাচক শব্দে পরিণত করা হয়। যার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ, এসব সব সময় নারী বা পুরুষকে নির্দেশ করে না। যেমন— অবোধমুখ, ভয়ংকর, মণ্ডল, সংশোধন এর সাথে ঈ প্রত্যয় যোগে হয়েছে অধোমুখী, ভয়ংকরী, মণ্ডলী, সংশোধনী। এর আসলে কোন দরকার নেই। ইভা ভয়ংকরী মেয়ে না বলে ইভা ভয়ংকর মেয়ে বললে কোন ক্ষতি নেই। আরো উদাহরণ: চঞ্চল > চঞ্চলা, নিষ্ফল > নিষ্ফলা, ভীষণ > ভীষণা, কুরূপ > কুরূপা, অনাথ > অনাথা, অর্থকর > অর্থকরী ইত্যাদি।
কতকগুলো বিবেচ্য পদকেই প্রত্যয় যোগে পুরুষবাচক শব্দে পরিণত করা হয়, আবার সেই শব্দকেই ইন + ইনী যোগে স্ত্রীবাচক করা হয়। যেমন—অভিমান > অভিমানী > অভিমানিনী, বিরহ > বিরহী > বিরহিনী, সহপাঠ > সহপাঠী > সহপাঠিনী, অপরাধ > অপরাধী > অপরাধিনী, দুঃখ > দুঃখী > দুঃখিনী।
তৎসম শব্দ পুরুষবাচক শব্দের সাথে প্রত্যয় যোগ করে স্ত্রীবাচক শব্দ করা হয়। এই সমস্ত শব্দে আবার নতুন করে স্ত্রী প্রত্যয় যোগ করা হয়, যা সঠিক নয়। যেমন: অভাগী > অভাগিনী, চাতকী > চাতকিনী, পিশাচী > পিশাচিনী। এখানে অভাগী, চাতকী, পিশাচী স্ত্রীবাচক শব্দ।
সংস্কৃতে আ প্রত্যয় যোগে স্ত্রীবাচক শব্দ গঠিত হয়। অনাথা, সুকেশা, সুনয়না। বাংলায় এই স্ত্রীবাচক শব্দকে নতুন করে ইনি বা ইনী প্রত্যয় যোগে স্ত্রীবাচক শব্দে রূপান্তর করা হয়। যার কোন প্রয়োজন ছিল না। তবু, বাংলায় তা প্রচলিত হয়ে গেছে বলে সঠিক ধরা হয়। যেমন— অনাথা > অনাথিনী, সুকেশা > সুকেশিনী, সুনয়না > সুনয়নী ইত্যাদি।
অন্যান্য প্রয়োগ
সংস্কৃতজাত অনেক শব্দ আছে যেসব শব্দ বাংলাতে ইকারসহ ব্যবহৃত হয়। গুনিন, মন্ত্রিন > গুণী, মন্ত্রী। বাংলায় এদের সাথে বিভক্তি যুক্ত হয়ে বহুবচন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। রা, এরা, দের, গণ, কুল ইত্যাদি বিভক্তি সাধারণত যুক্ত হয়ে থাকে। এই জাতীয় বহুবচন বা অন্যপদের প্রয়োগের উদাহরণ: প্রাণী > প্রানিজ, প্রাণিজগৎ, প্রাণিবিজ্ঞান, এখানে হ্রস্ব-ই কার হয়। যেমন— শশী > শশিকর, শশিকলা, শশিনাথ। স্থায়ী > স্থায়িকাল, স্থায়িত্ব। বন্দী > বন্দিরা, বন্দিশালা, বন্দিনির্যাতন।
সম্ভাষণ জাতীয় শব্দের বানান
পুরুষের সম্ভাষণের ক্ষেত্রে শব্দ এ-কারের পর ‘ষ’ হয়।
স্ত্রীবাচক সম্ভাষণের ক্ষেত্রে আ-কারের পর ‘সু’ হয়। যেমন— কল্যাণ > কল্যাণীয়েষু, কল্যাণীয়াসু (স্ত্রী), প্রীতিভাজন > প্রীতিভাজনেষু, প্রীতিভাজনাসু (স্ত্রী), শ্রদ্ধাভাজন > শ্রদ্ধাভাজনেষু, শ্রদ্ধাভাজনাসু।
সন্ধিজাত ভুল
সন্ধির প্রথম অংশের শেষ ব্যঞ্জন ম হলে দ্বিতীয়াংশের গোড়ায় ব্যঞ্জন অন্তস্থ বা উষ্মবর্ণ হলে সন্ধির ফলে ম স্থলে অনুকার হয়;
সংবাদ (সম+বাদ, প্রথম অংশের শেষ ব্যঞ্জন ম, দ্বিতীয়াংশের প্রথম ব্যঞ্জন অন্তঃস্থবর্ণ) সংযোগ, সংবর্ত, কিংবা, কিংশুক, সংলাপ, সংসার, সংহত ইত্যাদি।
বিসর্গ সন্ধির ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে। যেমন: ইতঃপূর্বে অথচ ইতোমধ্যে, অধঃপাত অথচ অধোমুখ। এরকম আরো উদাহরণ: বয়ঃক্রম, বয়ঃপ্রাপ্ত, মনঃপুত, মনঃসংযোগ, অথবা বয়োজ্যেষ্ঠ, বয়োবৃদ্ধ, মনোনয়ন, মনোযোগিতা, মনোলোভা, মনোরঞ্জন, শিরোধার্য (শিরঃপিড়া), মনোবিজ্ঞান ইত্যাদি।
সন্ধি বিষয়ক শুদ্ধ প্রয়োগ
অত্যধিক, অধ্যাপনা, তাড়িত, ত্যক্ত, দূষণীয়, অদ্যাপি, এবংবিধ, ঐরাবত, দধীচি, গ্রহীতা, জীবিকা, তৎকালীন, নিরীক্ষণ, নিমীলিত, পৃথগন্ন, মনোহর, কৌতূহল, পিশাচ, অনটন, অদ্যাবধি, প্রাতরাশ, মুখচ্ছবি, উপর্যুপরি, উপর্যুক্ত, দুরবস্থা, জগদ্বন্ধু রক্তচ্ছবি, সম্মুখ, চক্ষুরোগ, ব্যগ্র ইত্যাদি।
সমাস ঘটিত ভুল
‘ইন’-প্রত্যয় যোগে নিষ্পন্ন শব্দের প্রথমার এক বচনের ব্যবহারে বাংলায় পাপী, ধনী, গুণী, মানী ইত্যাদি হয়। তবে, নি: উপসর্গযোগে সমাসবদ্ধ হলে শব্দের শেষে ঈ-কার হয় না। সেখানে পাপ, ধন, গুণ, মান ইত্যাদি শব্দের সমাস হয়। যেমন: নেই গুণ যার-নির্গুণ, নেই ধন যার-নির্ধন। আরো উদাহরণ: নিরাপরাধ (অশুদ্ধ-নিরপরাধী) নিরহঙ্কার, নিজ্ঞান, নির্দোষ, নির্ধন, নীরোগ, নিরভিমান, নীরদ। সমাসঘটিত আরো শুদ্ধি: অহোরাত্র, অল্পজ্ঞান, অধিবাসিগণ, কালিদাস, কদন্ন, ছাগদুগ্ধ, জাহ্নবীজল, কদর্থ, গুণিগণ, পক্ষিজাত, প্রণয়িযুগল, পরমাসুন্দরী, পিতাঠাকুর, ফণিভূষণ, যোগিবর, শঙ্কিত, মহিমময়, যোদ্ধাগণ, রোগিসেবা, বিনয়পূর্বক, অভিনেতৃগণ, ছাত্রছাত্রীগণ, ভ্রাতৃবৃন্দ, দিবারাত্র, সাবধান, স্থায়িভাবে পক্ষিশাবক, প্রাণিহত্যা, সলজ্জ ইত্যাদি।
প্রত্যয় ঘটিত অশুদ্ধি
শুদ্ধ প্রয়োগ: অস্তায়মান (অস্তমান নয়), অজ্ঞাত, আধিক্য, উৎকর্ষ, উৎকৃষ্টতা (উৎকর্ষতা নয়), অসহ্য, অলসতা, আলস্য, আরক্তিমা, আরক্ত, একত্র, একতা, ঐক্য, ঔদাসীন্য, উদাসীনতা, যাবতীয়, লঘুতা, চুষ্য, গৌরব, চাঞ্চল্য, চঞ্চলতা, দ-ণীয়, দারিদ্র্য, নিন্দক, নির্দোষতা, প্রসার, সৌন্দর্য, সাধুতা, গ্রাহ্য, ঘূর্ণমান, চলিষ্ণু, বুদ্ধিমত্তা, বাহ্য, নিরাপৎসু, পার্বত্য, পর্বতীয়, ধৈর্য, চক্ষুষ্মান, সৌজন্য, সুরভি, ভদ্রতা, ঐকমত্য ঐকতান, আর্থনীতিক ইত্যাদি।
প্রত্যয়জনিত অশুদ্ধি
প্রত্যয়ের ভুল প্রয়োগের ফলে অনেক শব্দ অশুদ্ধ হয়ে পড়ে।
শুদ্ধ প্রয়োগ: অধীন, অদ্যাপি, আবশ্যক, অসহনীয়, পূজ্যস্পদ, সর্বদা, বিবদমান, বৈচিত্র্য, ব্যাকুল, মাহাত্ম্য, মহত্ত্ব, মাননীয়, মান্য, সত্তা, সম্ভ্রান্ত, সম্ভ্রমশালী, সাধ্য, জ্ঞানবান, ঘূর্ণমান, ঘূর্ণায়মান, দুর্লঙ্ঘ্য, দৌরাত্ম্য, সেচন।
‘তা’ প্রত্যয়ের অপপ্রয়োগ
তা, ত্ব প্রত্যয় শুধু বিশেষণকে বিশেষ্য করে। কাজেই বিশেষ্য শব্দের সাথে তা বা ত্ব নতুন করে প্রয়োগ করা অশুদ্ধ। যেমন: উৎকর্ষ বিশেষ্য তার বিশেষণ উৎকৃষ্ট, উৎকর্ষতা নয়।
শুদ্ধ প্রয়োগ
অপকর্ষ, অপকৃষ্টতা, আতিশয্য, অতিশয়তা, আলস্য, অলসতা, ঐক্য, একতা, কার্পণ্য, কৃপণতা, গাম্ভীর্য, গম্ভীরতা, চাতুর্য, চতুরতা, চাপল্য, চপলতা, দরিদ্রতা, (দারিদ্রতা নয়), দৈন্য, দীনতা, দৌর্বল্য, দুর্বলতা, বাহুল্য, বহুলতা, বৈচিত্র্য, বৈশিষ্ট্য, বিশিষ্টতা, ভারসাম্য, ভারসাম্যতা, মাধুর্য, মধুরতা, সারল্য, সরলতা, সারল্য, সাদৃশ্য, সদৃশতা, সৌজন্য, সৌহার্দ্য ইত্যাদি।
বাক্যের অশুদ্ধতা
বাক্যে অশুদ্ধ শব্দের প্রয়োগে বাক্য অশুদ্ধ হয়ে পড়ে। এই অশুদ্ধতা বহু প্রকারের হয়ে থাকে। নিচে কিছু উদাহরণ দেয়া হল—
যথার্থ শব্দ ব্যবহার না করায় অশুদ্ধতা: শব্দের সঠিক অর্থ না জেনে বাক্যে শব্দ ব্যবহার করলে বাক্য ভুল হয়ে যায়।
অশুদ্ধ: চন্দ্র উদয় হলো।
শুদ্ধ: চন্দ্র উদিত হলো।
অশুদ্ধ: আমি সাক্ষী দিয়েছি।
শুদ্ধ: আমি সাক্ষ্য দিয়েছি।
অশুদ্ধ: আসামির অনুপস্থিতে বিচার হচ্ছে।
শুদ্ধ: আসামির অনুপস্থিতিতে বিচার হচ্ছে।
অশুদ্ধ: বাংলাদেশ উন্নতশীল দেশ।
শুদ্ধ: বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ।
অশুদ্ধ: ছেলেটি ভয়ানক মেধাবী।
শুদ্ধ: ছেলেটি অত্যন্ত মেধাবী।
অশুদ্ধ: আপনি স্বস্ত্রীক আমন্ত্রিত।
শুদ্ধ: আপনি সস্ত্রীক আমন্ত্রিত।
অশুদ্ধ: তিনি সন্তোষ হলেন।
শুদ্ধ: তিনি সন্তুষ্ট হলেন।
অশুদ্ধ: এটা অতি লজ্জাস্কর বিষয়।
শুদ্ধ: এটা অতি লজ্জাকর বিষয়।
অশুদ্ধ: তিনি মৌন হয়ে রহিলেন।
শুদ্ধ: তিনি মৌনী হইয়া রহিলেন।
অশুদ্ধ: আমার টাকার আবশ্যক নাই।
শুদ্ধ: আমার টাকার আবশ্যকতা নাই।
অশুদ্ধ: নিশ্চয় সংবাদ পেয়েছ কি?
শুদ্ধ: নিশ্চিত সংবাদ পেয়েছ কি?
বিশেষ ও বিশেষণজনিত ভুল
অশুদ্ধ: সর্বদা তোমার উপস্থিত কাক্সিক্ষত (বিশেষণ)
শুদ্ধ: সর্বদা তোমার উপস্থিতি কাক্সিক্ষত (বিশেষ্য)
অশুদ্ধ: তিনি উদ্ধতপূর্ণ আচরণ করেন (বিশেষণ)
শুদ্ধ: তিনি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন।
অশুদ্ধ: অনাবশ্যকীয় বিষয়ে আগ্রহ দেখাবে না। (বিশেষ্য ভাবা হয়েছে)
শুদ্ধ: অনাবশ্যক বিষয়ে আগ্রহ দেখাবে না। (বিশেষণ)
অশুদ্ধ: তোমার সাথে গোপন আলাপ আছে।
শুদ্ধ: তোমার সাথে গোপনীয় আলাপ আছে।
বাহুল্যজনিত অশুদ্ধতা
অনেক সময় একই অর্থ বহনকারী দুটি শব্দ একই বাক্যে ব্যবহার করা হয়। বাক্যে একই অর্থের দুটি শব্দের দৃশ্যত কোন প্রয়োজন নেই। অনেক অসচেতনতা ও শিথিল প্রয়োগের কারণে অনেকের লেখায় এই বাহুল্য দোষ লক্ষ করা যায়। এটা পরিহার করা কর্তব্য।
অশুদ্ধ: বৃক্ষটি সমূলসহ উৎপাটন করা হল।
শুদ্ধ: বৃক্ষটি সমূলে উৎপাটন করা হল।
অশুদ্ধ: শুধুমাত্র মুখের জোরে তুমি তাকে বাধা দিতে পারবে না।
শুদ্ধ: শুধু মুখের জোরে তুমি তাকে বাধা দিতে পারবে না।
অশুদ্ধ: কেবলমাত্র তাকেই আমি চিনি।
শুদ্ধ: কেবল তাকেই আমি চিনি।
অশুদ্ধ: বাংলা ভাষাভাষীর সংখ্যা প্রায় ত্রিশ কোটি।
শুদ্ধ: বাংলাভাষীর সংখ্যা প্রায় ত্রিশ কোটি।
বাচ্যজনিত ভুল প্রয়োগ
অশুদ্ধ: পিতা তোমার প্রতি ক্রোধ হয়েছেন।
শুদ্ধ: পিতা তোমার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন।
অশুদ্ধ: আমরা প্রতিপালন হইতেছি।
শুদ্ধ: আমরা প্রতিপালিত হইতেছি।
প্রবাদ-প্রবচনের ব্যবহারজনিত ভুল
প্রবাদ-প্রবচনের শব্দ পরিবর্তন করা সঙ্গত নয়। মানব সমাজের দীর্ঘ দিনের সঞ্চিত অভিজ্ঞতাকে বিকৃত করা অনৈতিক।
অশুদ্ধ: হাবিব পরীক্ষা এলে চোখে হলুদ ফুল দেখে।
শুদ্ধ: হাবিব পরীক্ষা এলে চোখে সর্ষে ফুল দেখে।
অশুদ্ধ: তোমার মতো মাখনের পুতুল দিয়ে এ কাজ হবে না।
শুদ্ধ: তোমার মতো ননীর পুতুল দিয়ে এ কাজ হবে না।
অশুদ্ধ: তার মতো দাগী আসামীকে দেখাও জেলের ভয়, মাছের আবার সর্দি।
শুদ্ধ: তার মতো দাবী আসামীকে দেখাও জেলের ভয়, ব্যাঙের আবার সর্দি।
বিভক্তির প্রয়োগজনিত ভুল
অশুদ্ধ: আমি ক্লাসের পরীক্ষায় ভালো নম্বর পায়, তবে ফাইনাল পরীক্ষায় খারাপ করি।
শুদ্ধ: আমি ক্লাসের পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাই, তবে ফাইনাল পরীক্ষায় খারাপ করি।
অশুদ্ধ: প্রিন্সিপাল গোলোযোগ করার জন্য পাঁচজন ছাত্র বহিষ্কার করেছেন।
শুদ্ধ: প্রিন্সিপাল গোলোযোগ করার জন্য পাঁচজন ছাত্রকে বহিষ্কার করেছেন।
অশুদ্ধ: আমার দেখে তোমার কি মনে হয়?
শুদ্ধ: আমাকে দেখে তোমার কি মনে হয়।
বচনজনিত ভুল
জটিল বাক্যে বা যৌগিক বাক্যে কর্তা অনুসারে পরবর্তী পর্যায়ে বচন প্রয়োগ করতে হয়। অন্যথায় বাক্য শুদ্ধ হয় না।
অশুদ্ধ: ক্লাসের ছাত্ররা বললো, সে বনভোজনে যাবে।
শুদ্ধ: ক্লাসের ছাত্ররা বললো, তারা বনভোজনে যাবে।
অশুদ্ধ: রনজিত অথবা সাব্বির নিজেরা গোল দিয়েছে।
শুদ্ধ: রনজিত অথবা সাব্বির নিজে গোলটি দিয়েছে।
সাধু ও চলিতের মিশ্রণজনিত ভুল
সাধু ও চলিতের মিশ্রণ বাক্যকে অশুদ্ধ করে। সাধারণত ও তৎসম শব্দের সমন্বয় করে বাক্য গঠন করা উচিত।
অশুদ্ধ: তিনি আমাকে দেখে বিস্মিত হইলেন।
শুদ্ধ: তিনি আমাকে দেখে বিস্মিত হলেন।
অথবা তিনি আমাকে দেখিয়া বিস্মিত হইলেন।
অশুদ্ধ: সারাদিন সে খেলা করে ঘুরিয়া বেড়ায়।
শুদ্ধ: সারাদিন সে খেলা করে ঘুরে বেড়ায়।
অশুদ্ধ: সে বললো, এইসব কি হইতেছে?
শুদ্ধ: সে বললো এসব কি হচ্ছে?
কতকগুলো জটিল শব্দের বানান
বাংলা বানানের নিয়ম জানা থাকলে বানান ভুল যেমন পরিহার করা সম্ভব। তেমনি শব্দের দুরূহ বানান মুখস্থ করে মনে রাখা উচিত। এখানে কিছু শব্দের একটি নির্বাচিত তালিকা দেওয়া হলো। এসব শব্দের প্রত্যেকটির বানানেই কিছু-না-কিছু জটিলতা রয়েছে এবং ভালোভাবে শেখা বা জানা না থাকলে এসব শব্দের বানানে ভুল হতে পারে।
অকস্মাৎ – কৃচ্ছ্র – তূষ্ণীম্ভাব – পক্ষ্ম – ব্যঞ্জনা
অগ্ন্যাশয় – কৃত্তিবাস – ত্বক – পরাক্সমুখ – ব্যতিক্রম
অগ্নুৎপাত – ক্বচিৎ – ত্বরণ – পরিস্রাবণ – ব্যতিরেকে
অচিন্ত্য – ক্রূর – ত্বরান্বিত – পন্ডাদপসরণ – ব্যতিব্যস্ত
অধ্যাত্ম – ক্ষুব্ধ – ত্বরিত – পার্শ্ব – ব্যতীত
অনিন্দ্য – ক্ষুন্ন – ত্যক্ত – প্রতিদ্বন্দ্বিতা – ব্যত্যয়
অনূর্ধ্ব – ক্ষুন্নিবৃত্তি – দয়ার্দ্র – প্রতিদ্বন্দ্বী – ব্যথা
অন্তঃসত্ত্বা – গার্হস্থ্য – দারিদ্র্য – প্রত্যয়িত – ব্যথিত
অন্তর্জ্বালা – গূঢ় – দুরাকাক্সক্ষা – প্রত্যূষ – ব্যপদেশ
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া – গ্রীষ্ম – দুর্নিরীক্ষ্য – প্রাতঃকৃত্য – ব্যবচ্ছেদ
অপাঙ্ক্তেয় – ঘূর্ণ্যমান – দৌরাত্ম্য – প্রাতর্ভ্রমণ – ব্যবধান
অমর্ত্য – জলোচ্ছ্বাস – দ্বন্দ্ব – প্রোজ্জ্বল – ব্যবসা
অলঙ্ঘ্য – জাজ্বল্যমান – দ্বিতীয় – পৌরোহিত্য – ব্যবস্থা
অশ্বথ – জাত্যভিমান – দ্বিধা – বক্ষ্যমাণ – ব্যবহার
আকাক্সক্ষা – জীবাশ্ম – দ্বেষ – বন্দ্যোপাধ্যায় – ব্যয়
আর্দ্র – জ্বর – দ্বৈত – বন্ধ্যা – ব্যর্থ
উচ্চৈঃস্বরে – জ্বলজ্বল – দ্ব্যর্থ – বয়ঃকনিষ্ঠ – ব্যস্ত
উচ্ছ্বাস – জ্বলা – দ্যূতক্রীড়া – বয়ঃপ্রাপ্ত – ব্যুৎপত্তি
উজ্জ্বল – জ্বালা – ধ্বংস – বয়োজ্যেষ্ঠ – ব্যূহ
উতরাই – জ্বালানি – ধ্বজা – বর্ত্ম – ব্রাহ্মণ
উত্ত্যক্ত – জ্যেষ্ঠ – ধ্বনি – বহিরিন্দ্রিয় – ভৌগোলিক
উদ্ভিজ্জ – জ্যৈষ্ঠ – ধ্বন্যাত্মক – বাত্যাবিধ্বস্ত – ভ্রাতৃত্ব
উপর্যুক্ত – জ্যোৎস্না – নঞর্থক – বাল্মীকি – মধুসূদন
উপলব্ধি – জ্যোতি – নিক্বণ – বিদ্বজ্জন – মনস্তত্ত্ব
ঊর্ধ্ব – জ্যোতিষী – নিরবচ্ছিন্ন – বিদ্যুৎ – মন্বন্তর
এতদ্বারা – জোতিষ্ক – নির্দ্বন্দ্ব – বিভীষিকা – মর্ত্য
এতদ্ব্যতীত – টীকাটিপ্পনী – নির্দ্বিধা – বিভূতিভূষণ – মহত্ত্ব
ঔজ্জ্বল্য – তৎক্ষণাৎ – নীরোগ – বৈচিত্র্য – মাহাত্ম্য
ঔদ্ধত্য – তৎসত্ত্বেও – নৈর্ঋত – বৈদগ্ধ্য – মুহুর্মুহু
কর্তৃ – তত্ত্ব – ন্যস্ত – বৈশিষ্ট্য – মুহূর্ত
কর্তৃত্ব – তত্ত্বাবধান – ন্যুব্জ – ব্যক্ত – যক্ষ্মা
কর্ত্রী – তদ্ব্যতীত – ন্যূন – ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য – যশস্বী
কাক্সিক্ষত – তাত্ত্বিক – পক্ব – ব্যগ্র – যাচঞা
কুৎসিত – তীক্ষ্ণ – পঙ্ক্তি – ব্যঙ্গ – যাথার্থ্য
রশ্মি – শুভাকাক্সক্ষী – ষান্মাসিক – সম্মেলন – স্বাতন্ত্র্য
রূঢ় – শ্বশুর – সংবর্ধনা – সরসত্তা – স্বায়ত্তশাসন
লক্ষ্মণ – শ্বশ্রু – সত্তা – সাত্ত্বিক – স্বাস্থ্য
লক্ষ্মী – শ্বাপদ – সত্ত্ব – সান্ত্বনা – স্মরণ
লক্ষ্য – শ্মশান – সত্ত্বেও – ডসন্দুর – হীনম্মন্যতা
শস্য – শ্মশ্রু – সত্যায়িত – সূক্ষ্ম – হ্রস্ব
শ্বাশ্বত – শ্রদ্ধাস্পদেষু – সন্ধ্যা – সৌহার্য্য – হ্রাস
শিরচ্ছেদ – শ্রীমতী – সন্ন্যাস – স্বতঃস্ফূর্ত – হৃৎপি-
শিষ্য – শ্যেন – সন্ন্যাসী – স্বত্ব – হৃদযন্ত্র
শ্লেষ্মা – সম্মিলন – স্বাচ্ছন্দ্য –
সমাস-ঘটিত অশুদ্ধি সম্পর্কে সতর্কতা
সংস্কৃত ইন-প্রত্যয়ান্ত শব্দের প্রথমার একবচনের রূপ হিসেবে বাংলায় ধনী, পাপী, গুণী ইত্যাদি শব্দ এসেছে। কিন্তু নিঃ (র্নি)-উপসর্গযোগে সমাসবদ্ধ হলে এগুলোর অন্তে ঈ-কার হওয়ার কথা নয়। কারণ, এসব ক্ষেত্রে ধনী, পাপী ইত্যাদি শব্দের সঙ্গে সমাস হয় না, সমাস হয় ধন, পাপ ইত্যাদি শব্দের সঙ্গে। যেমন: নেই ধর যার = নির্ধন, নেই পাপ যার = নিষ্পাপ। এই নিয়মে নির্ধনী, নিষ্পাপী ইত্যাদি শব্দ অশুদ্ধ। এ রকম:
[অশুদ্ধ] – [শুদ্ধ] – [অশুদ্ধ] – [শুদ্ধ]
নিরপরাধী – নিরপরাধ – নির্জ্ঞানী – নির্জ্ঞান
নিরভিমানী – নিরভিমান নির্দোষী – নির্দোষ
নিরহঙ্কারী – নিরহঙ্কার – নির্ধনী – নির্ধন
নির্গুণী – নির্গুণ – নীরোগী – নীরোগ
সমাস-ঘটিত অন্যান্য অশুদ্ধি
অতলস্পর্শ (অতলস্পর্শী নয়) – মহিমমণ্ডিত (মহিমামণ্ডিত নয়)
অর্ধরাত্র (অর্ধরাত্রি নয়) – মাতৃজাতি (মাতাজাতি নয়)
অহর্নিশ (অহর্নিশি নয়) – যুবরাজ (যুবরাজা নয়)
অহোরাত্র (অহোরাত্রি নয়) – রাজগণ (রাজাগণ নয়)
গরিমমণ্ডিত (গরিমামণ্ডিত নয়) – সক্ষম (সক্ষমিত নয়)
গরিমময় (গরিমাময় নয়) – সলজ্জ (সলজ্জা নয়)
দিবারাত্র (দিবারাত্রি নয়) – সশঙ্ক (সশঙ্কা নয়)
পিতৃহারা (পিতাহারা নয়) – সুবুদ্ধি (সুবুদ্ধিমান নয়)
ভ্রাতৃবৃন্দ (ভ্রাতাবৃন্দ নয়)
প্রত্যয়-ঘটিত বিভিন্ন অশুদ্ধি সম্পর্কে সতর্কতা
আর্থনীতিক (অর্থনৈতিক নয়) – বন্দ্য (বন্দ্যনীয় নয়)
ঐকতান (ঐক্যতান নয়) – মথিত (মন্থিত নয়)
ঐকমত্য (ঐক্যমত নয়) – মধুরিমা (মাধুরিমা নয়)
গণ্য (গণ্যনীয় নয়) – মান্য (মান্যনীয় নয়)
গণনীয় (গণ্যনীয় নয়) – মোহ্যমান (মুহ্যমান নয়)
গ্রাহ্য (গ্রাহ্যনীয় নয়) – রমণীয় (রম্যণীয় নয়)
অশুদ্ধ: পৃথিবী সর্বদা সূর্যের চারদিকে ঘূর্ণীয়মান।
শুদ্ধ: পৃথিবী সর্বদা সূর্যের চারদিকে ঘূর্ণায়মান (বা ঘূর্ণ্যমান)।
অশুদ্ধ: ডালিম ফুলের রক্তিমতা চোখে পড়ার মতো।
শুদ্ধ: ডালিম ফুলের রক্তিমা চোখে পড়ার মতো।
অশুদ্ধ: শিক্ষকরা চাইছেন শিক্ষা ব্যবস্থাকে রাষ্ট্রকরণ করতে।
শুদ্ধ: শিক্ষকরা চাইছেন শিক্ষা ব্যবস্থাকে রাষ্ট্রীয়করণ (বা রাষ্ট্রায়ত্তকরণ) করতে।
অশুদ্ধ: এটা হচ্ছে ষষ্ঠদশ বার্ষিক সাধারণ সভা।
শুদ্ধ: এটা হচ্ছে ষোড়শ বার্ষিক সাধারণ সভা।
অশুদ্ধ: এত পরিশ্রম আমার সাধ্যায়ত্ত নয়।
শুদ্ধ: এত পরিশ্রম আমার সাধ্য নয়।
শব্দের অর্থ সম্পর্কে সতর্কতা
অখ্যাত-(খ্যাতিহীন) | আভাস-(ইঙ্গিত) |
আখ্যাত-(বিখ্যাত) | আভাষ-(ভূমিকা) |
অনুভব-(উপলব্ধি) | আসক্তি-(অনুরাগ) |
অনুভাব-(মনোভাবের প্রকাশ) | আসত্তি-(নৈকট্য) |
অঘ্রান-(মাসবিশেষ) | উদ্যত-(প্রস্তুত) |
আঘ্রাণ-(সুগন্ধ গ্রহণ) | উদ্ধত-(অবিনীত) |
অপেক্ষা-(প্রতীক্ষা) | উপযুক্ত-(যোগ্য) |
উপেক্ষা-(অনাদর) | উপর্যুক্ত-(উল্লি খিত) |
অনিদ্র-(নিদ্রাবিহীন) | উদ্দেশ-(অভিপ্রায়) |
অনিদ্রা-(নিদ্রাহীনতা) | উদ্দেশ্য-(লক্ষ্য) |
অনীল-(নীল হয় যা) | ঋতি-(গতি) |
অনিল-(নীল নয় যা) | রীতি-(নিয়ম) |
অন্য-(অপর) | কবরী-(খোপা) |
অন্ন-(ভাত) | করবী-(ফুলবিশেষ) |
অবিমিশ্র-(বিশুদ্ধ) | কপাল-(ললাট) |
অবিমৃশ্য-(অবিবেচক) | কপোল-(গ-) |
অবিধেয়-(অন্যায়) | কেন্দ্রাতিগ-(কেন্দ্র থেকে দূরে) |
অভিধেয়-(প্রতিপাদ্য অর্থ) | কেন্দ্রাভিগ-(কেন্দ্রের দিকে) |
অভিবাসন-(দেশান্তরে বসতি) | কৃতি-(রচনা, সাধনা) |
অভিভাষণ-(বক্তৃতা) | কৃতী-(কর্মসফল) |
অবতরণ-(নেমে আসা) | ঘূর্ণমান-(যা ঘুরছে) |
অবতারণ-(নামিয়ে আনা) | ঘূর্ণ্যমান-(ঘোরানো হচ্ছে যা) |
আবৃত্তি-(সরব পাঠ) | চর্চা-(অনুশীলন) |
আবৃতি-(আবরণ, বেষ্টন) | চর্যা-(আচরণ) |
জমক-(আড়ম্বর) | মতি-(মনের গতি) |
যমক-(কাব্যালংকার বিশেষ) | মোতি-(মুক্তা) |
তত্ত্ব-(গূঢ় অর্থ) | মুখপত্র-(ভূমিকা) |
তথ্য-(সংবাদ) | মুখপাত্র-(প্রবক্তা) |
নিঃসংজ্ঞ-(একাকী) | সমর্থক-(সমর্থনকারী) |
নিঃসঙ্গ-(সংজ্ঞাহীন) | সমার্থক-(একই অর্থবিশিষ্ট) |
নিরস্ত্র-(অস্ত্রহীন) | সমীহ-(সম্মান প্রদর্শন) |
নিরস্ত-(ক্ষান্ত) | সমীহা-(চেষ্টা, ইচ্ছা) |
নিরশন-(অনাহার) | শয়িত-(যে শুয়ে আছে) |
নিরসন-(দূরীকরণ) | শায়িত-(যাকে শোয়ানো হয়েছে) |
নীতি-(সংগত বিধান) | শরণ-(আশ্রয়) |
নিতি-(নিত্য) | স্মরণ-(স্মৃতি) |
পঠন-(নিজে পড়া) | সরণ-(গমন) |
পাঠন-( অন্যকে পড়ানো) | শান্ত-(ধীর) |
পরিচ্ছদ-(পোশাক) | সান্ত-(সসীম) |
পরিচ্ছেদ-(গ্রন্থের বিষয় বিভাগ) | শিকড়-(মূল) |
পরিষদ-(সভা) | শীকর-(জলকণা) |
পারিষদ-(সভাসদ) | শুচি-(পবিত্র) |
পিতৃমাতৃহীন-(পিতামহী নেই যার) | সূচি-(তালিকা) |
মাতাপিতৃহীন-(মাতাপিতা নেই যার) | শুদ্ধ-(পবিত্র) |
মাতৃপিতৃহীন-(মাতামহ নেই যার) | সুদ্ধ-(সমেত) |
পূর্বরাত্র-(রাত্রির পূর্বভাগ) | সংসদ-(আইনসভা, সমিতি) |
পূর্বরাত্রি-(গত রাত্রি) | সাংসদ-(সংসদ-সদস্য) |
প্রকার-(রকম) | সাক্ষর-(অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন) |
প্রাকার-(প্রাচীর) | স্বাক্ষর-(দস্তখত) |
বিরচিত-(প্রণীত) | স্তম্ব-(তৃণগুচ্ছ) |
বীরোচিত-(বীরের উপযুক্ত) | স্তম্ভ-(থাম) |
বিস্তর-(প্রচুর) | বিস্তার-(ব্যাপ্তি) |
বিশেষ্যের জায়গায় বিশেষণের প্রয়োগজনিত ভুল
বাক্যে যেখানে বিশেষ্য ব্যবহার করতে হবে সেখানে বিশেষণকে বিশেষ্য ভেবে প্রয়োগ করায় এ ধরনের ভুল হয়। যেমন:
অশুদ্ধ: ইহার আবশ্যক নাই।
শুদ্ধ: ইহার আবশ্যকতা নাই।
অশুদ্ধ: সদাসর্বদা তোমার উপস্থিত প্রার্থনীয়।
শুদ্ধ: সদাসর্বদা তোমার উপস্থিতি প্রার্থনীয়।
Leave a Reply