ছায়াবাদী কবি মহাদেবী বর্মার কৃতিত্ব আলোচনা কর।
কবি মহাদেবী বর্মা
মহাদেবী বর্মা (১৯০৭-১৯৮৭) ছিলেন সাহিত্যপ্রাণ এক বিরল ব্যক্তিত্ব। অল্প বয়সেই কবিতা লিখতে শুরু করেন। মুখে মুখে কাব্য রচনার বিরল প্রতিভা তাঁর ছিল। প্রথমদিকে তিনি ব্রজভাষায় মুক্তক লিখেছেন। পরে খড়িবলীতে কাব্য রচনা করেন। ‘সরস্বতী’ পত্রিকার সংস্পর্শে এসে তিনি উদ্বুদ্ধ হন। ‘মহুলা জগৎ’, ‘আর্য মহিলা’, ‘চাঁদ’ প্রভৃতি পত্রিকার তাঁর লেখালেখি চলতে থাকে। ১৯৩২ সালে তিনি ‘চাঁদ’ পত্রিকার অবৈতনিক সম্পাদক নিযুক্ত হন। ততদিনে তাঁর প্রথম কাব্য ‘নীহার’ (১৯৩০) প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৩০ সালে তিনি ‘নীহার’ কাব্যের জন্য পুরস্কৃত হন। এইসময় কলকাতায় কবি নাগুচির স্বাগত সমারোহে অংশ নেন। অতঃপর শান্তিনিকতনে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কবির সাক্ষাৎ ঘটে।
মহাদেবী ছিলেন ভক্তি প্রাণ কবি। ১৯৩৩ সালে তিনি এলাহাবাদে মীরাজয়ন্তীর সূচনা করেন। পরে রামগড়, নৈনিতাল প্রভৃতি স্থানে মীরামন্দির নির্মাণ করেন। ১৯৩২ সালে ‘সাহিত্যকার সংসদ’ স্থাপন করেন মহাদেবী। ‘নীরজা’ ছাড়া তাঁর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল—রশ্মি (১৯৩২), নীরজা (১৯৩৫), সান্ধ্যগীত (১৯৩৬), যামা (১৯৩৬), দীপশিখা (১৯৪২), সপ্তপর্ণা (অনুবাদ, ১৯৬৬), সন্ধিনী (সংকলন, ১৯৬৮), গীতপর্ব (১৯৭০), প্রথম আয়াম (১৯৮২), অগ্নিরেখা (১৯৯০) প্রভৃতি।
ছায়াবাদী কবি মহাদেবী বর্মা
মহাদেবী বর্মা মূলত ছায়াবাদী কবি। কিন্তু অন্যান্য ছায়াবাদী কবিদের তুলনায় তাঁর আবির্ভাব একটু বিলম্বেই হয়েছিল। ‘নীহার’ থেকে ‘দীপশিখা’ পর্যন্ত কাব্যসংগ্রহে প্রায় দুই শতাধিক গীত সংগৃহীত হয়েছে। সংখ্যায় খুব বেশি কবিতা না লিখলেও তাঁর কবিতায় সংবেদনশীল কবিমনের প্রকাশ ঘঢেছে। নারী-হদয়ের গীতাত্মক অভিব্যক্তি তাঁর কাবতায় কাব্যশ্রী লাভ করেছে। তাঁর কাব্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল—
- সঙ্গীতাত্মকতা
- ভাবাত্মকতা
- প্রকৃতির প্রতীকীরূপকতা
- দুঃখকাতরতা
- রহস্যময়তা
মহাদেবীর কাব্য একটু মনোযোগ সহকারে পড়লে এক সংবেদনশীল কবিমনের স্বর শোনা যায়। উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি সেই সংবেদনশীল মনেরই বিচিত্র অভিব্যক্তি। নীরজায় কবি লেখেন—
রূপসী তেরা ধন কেশ পাশ
শ্যামল শ্যামল কোমল কোমল
প্রকৃতি এখানে সুন্দরী নারীর প্রতীক হয়ে উঠেছে।
ছায়াবাদী কবিতায় প্রকৃতি বর্ণনার সাংকেতিকতা মহাদেবীর কবিতার বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে। প্রকৃতির মধ্যে প্রিয়তমের আগমনের সংকেতবার্তা শুনতে পান। তাই বুঝি কবি উদার কণ্ঠে বলেওঠেন—
রঞ্জিত কর দে য়হ শিথিল-চরণ
লে নব অশোক কা অরুণ রাগ।
(সান্ধ্যগীত)
বিষ্ময়বোধের বিচিত্র প্রকাশ দেখা যায় মহাদেবীর কবিতায়। এই বিম্ময়বোধের সঙ্গে ভাবুকতা ও সংবেদনশীলতা মিশ্রিত থাকে। প্রকৃতির বিরাট, বিশালতা ও অসাধারণত্ব দেখে কবি বিম্ময়, বিমুগ্ধ হয়ে চেয়ে থাকেন। প্রকৃতির প্রতি বিম্ময়ে তাকিয়ে থেকেও কবি নিজের অন্তর্ভাবনা জুড়ে দেন। ‘নীরজা’য় কবি লিখেছেন—
লায়ে কৌন সন্দেশ নয়ে ধন।
অস্বর গর্বিত
হো আয়া নত,
চির নিষ্পন্দ হৃদয় মেঁ উস কে
উমড়ে রী পুলকোঁ কে সাওন
লায়ে কৌন সন্দেশ নয়ে ধন।
(নীরজা)
মহাদেবী বর্মা এক অসাধারণ সংবেদনশীল কবি মনের অধিকারী। তাই সাংসারিক ক্রন্দন, লোক জগতের দুঃখ-কষ্ট দেখে কবিমন করুণায় বিগলিত হয়। জীবনের দুঃখার্ততা দেখে কবি চোখ ফেরাতে পারেন না বলেই প্রকৃতিরূপা মাকে তাঁর প্রশ্ন—
কহ দে মাঁ কেয়া দেখু!
দেখু খিলতী কলিয়াঁ যাই
প্যাসে সুখে অধরোঁ কো
তেরী চির যৌবন সুষমা
যা জর্জর জীবন দেখুঁ।
(রশ্মি)
ছায়াবাদী কবিরা মূলত আত্মনিষ্ট এবং তাঁদের অন্তরবৃত্ত বহুল পরিচয় তাঁদের কাব্যে ফুটে ওঠে। জগতের নানা সৌন্দর্য তা সে প্রকৃতিরই হোক বা নগণ্য কোনো বস্তুরই হোক, ছায়াবাদী কবির কাছে গুরুত্ব পায়। এইরূপ বর্ণনা মহাদেবীর কবিতায় নানাভাবে ও রূপে ব্যক্ত হয়েছে।
প্রকৃতির কবি মহাদেবী বর্মা
প্রকৃতি বর্ণনায় আশ্চর্য সাফল্য লাভ করেছেন মহাদেবী বর্মা। ছায়াবাদী কবি রূপে তাঁর প্রকৃতি বর্ণনা বর্ণময় শুধু নয়, বৈশিষ্ট্যপূর্ণও বটে। তাই এই প্রকৃতি বর্ণনা তাঁর কাব্যে নিছক প্রকৃতি বর্ণনা নয়, এর সঙ্গে মিশে থাকে কবির বিশ্বচেতনা। প্রকৃতির মধ্যেই কবি নিত্য সীমা-অসীমের মিলন খেলা প্রত্যক্ষ করেন। সেই প্রকৃতি কবির প্রিয় দর্শনের একান্ত ক্ষেত্র। তখন কবির প্রিয়দর্শন ও প্রকৃতিদর্শন একাকার হয়ে যায়। ‘সান্ধ্যগীত’ কাব্যে যেমন কবি লেখেন—
প্রিয়! সান্ধ্য গন
মেরা জীবন!
(সান্ধ্যগীত)
মহাদেবীর কাব্যে প্রকৃতির রূপ নানাভাবে প্রকাশ পেয়েছে। ‘নীহার’ কাব্যে কবি প্রকৃতির সঙ্গে কথোপকথনের ভঙ্গিতে নিজস্ব অন্তর্লাপের স্বর রচনা করেছেন। ‘রশ্মি’ কাব্যে মানব অস্তিত্বের রহস্যবাদী স্বপ্নাকুলতাকে ভাষা দান করেছেন। তাঁর কাব্যে প্রকৃতি কখনও সংকেতময়ী, কখনো সৌন্দর্যস্বরূপ। আবার কখনও মানবিক ব্যথার আধার। এমন সব রূপে রঙে ও বিচিত্র রসাবেশে প্রকৃতি মহাদেবীর কবিতায় রূপায়িত। প্রকৃতির উদ্দেশ্যে কবি বলেন—
রজনী অলমিত
শ্যামল পুলকিত কম্পিত কর মেঁ
দমক উঠে বিদ্যুৎ কা কন্ণ!
লায়ে কৌন সন্দেশ নয়ে ধন!
(নীরজা)
প্রকৃতির কবিরূপে মহাদেবীর অনন্যতা অনস্বীকার্য। একজন ছায়াবাদী কবির কলমে প্রকৃতি কত বিচিত্র ভাবে ও রূপে অঙ্কিত হতে পারে মহাদেবীর কবিতা তার প্রমাণ।
অতীন্দ্রিয়বাদী কবি মহাদেবী বর্মা
ছায়াবাদী কাব্যান্দোলনের অন্যতম কবি মহাদেবী বর্মা রহস্যবাদী কবিরূপেও অগ্রগণ্য। অন্যভাবে বললে বলতে হয় যে, মহাদেবী বর্মার কবিতায় এক অজ্ঞাত সত্তার প্রতি আত্মনিবেদনের ভাব প্রবল। মহাদেবীর কাব্যে এই মিষ্টিসিজম বা রহস্যবাদের বৈশিষ্ট্য বোঝা প্রয়োজন।
প্রিয়তমের জন্য বিরহানুভূতি মহাদেবী বর্মার কবিতায় প্রবল হয়ে দেখা দিয়েছে। অথচ এই প্রিয়তম কে তা বলা হয়নি। কেবলমাত্র প্রিয়তমের জন্য বেদনা প্রকাশ পেয়েছে তাঁর কবিতায়। ‘রশ্মি’ কাব্যের একটি কবিতায় কবি বলেছেন—
অলি কৈসে উনকো পাউঁ
ওয়ে আঁসু বনকর মেরে
ইস কারণ দুল দুল জাতে,
ইন পলকো কে বন্ধন মেঁ
মৈ বান্ধ বান্ধ পছতাউ।
কখনো আবার সৃষ্টির পরিবর্তন এবং তার মুলীভূত শক্তির স্বরূপ জানতে চান কবি। বুঝতে চান সেই শক্তির ব্যাপ্ত রূপকে। সৃষ্টির আদিতে মৌন ছিল যে শক্তি কৰি তাকে বুঝতে চান—
ন জিসর্মে স্পন্দন থা ন বিকার,
ন জিসকা আদি ন উপসংহার;
সৃষ্টিকে আদি আদি মেঁ মৌন,
অকেলা সোতা থা ওয়থ কৌন?
(রশ্মি)
ছায়াবাদী কবি রূপে মহাদেবী লৌকিক ও অলৌকিক অনুভূতির মিশ্রণ ঘটান। তাই লৌকিক প্রেম অলৌকিক হয়ে উঠে! দুয়ের মিশ্রণে রহস্যময়তার স্বরূপ প্রকাশিত হয়।
‘নীহার’ শব্দটির মধ্যে কুয়াশায় ছায়াচ্ছন্না জড়িয়ে আছে। ‘নীহার’ কাব্যে রহস্যময়তার প্রাণকেন্দ্র অজ্ঞতের প্রতি আকর্ষণ। জগতে যে মহাসঙ্গীত গীত হয়েছে তার প্রতি কবির আকর্ষণ। নিজে এখন গান গাইতে অসমর্থ কেননা আঙুল নড়ে না, বীণার তার ছিড়ে গেছে। ফলে কবি-হৃদয়ের ঝংকার অস্ফুট থেকে যায়। সেই অস্ফুট থেকে যায়। সেই অস্ফুট গানকে কবি বিশ্ববীণার সঙ্গে মেলাতে চান।
মহাদেবী বর্মার কিছু কবিতায় অলৌকিক প্রণয়ভাব পরিস্ফুট হয়েছে। এই প্রণয়ভাবে প্রকাশ পেয়েছে বেদনার প্রাধান্য। প্রিয় মিলনের অপূর্ণতাই এই বেদনার কারণ। ফলস্বরূপ করুণা ও নির্বেদভাবের বিস্তার ঘটেছে। প্রণয়-বেদনা লোকোত্তর সৌন্দর্যে ব্যাপ্ত হয়ে অতীন্দ্রিয় ভাবের বিস্তার ঘটিয়েছে। প্রিয় মিলনের আশায় হৃদয়ে যে আনন্দানুভূতি জাগে তার রূপায়ণে এক রহস্যময়তার দ্যোতনা ঘটে—
পুলক পুলক উর, সিহর সিহর তন,
আজ নয়ন আতে ক্যোঁ ভর ভর!
(নীরজা)
অলৌকিক প্রিয়তম সত্তার সঙ্গে মিলনের আর্তি আছে, সম্ভাবনা আছে, কিন্তু জীবনে সে মিলন কি সম্ভব? ভারতীয় অধ্যাত্ম চিন্তায় আত্মা যখন পরমাত্মার সঙ্গে মিলিত হয়, তখন অদ্বৈতভাবের সুচনা হয়, দ্বৈতভাব আর থাকে না। তাই দ্বৈতসত্তার অস্তিত্ব কল্পনার প্রেমশুন্য মিলন অপেক্ষা প্রেমযুক্ত বিরহ অনেক বেশি কাম্য। কবি তাই লেখেন—
মিলন কা মত নাম লে,
বিরহ মেঁ মৈ চির হ।
এইভাবে প্রণয়ী হৃদয়ের রহস্য মহাদেবীর কবিতায় ভাষা পায়। মিলনের কথা বলতে মানা, মিলনের নাম করার প্রয়োজন নেই, কেননা কবি বিরহের মধ্যেই চিরকাঙ্ক্ষিতকে অনুভব করেন।
মহাদেবী বর্মার কাব্য-প্রতিভার বৈশিষ্ট্য
মহাদেবী বর্মা শুধু হিন্দি সাহিত্যে নয়, সমগ্র ভারতীয় সাহিত্যের স্থায়ী সম্পদ। তাঁর কবিতা পাঠ করলে এক বিশেষ ভাবাবেগের সৃষ্টি হয়। কারণ তার মধ্যে নিহিত রয়েছে মহাদেবীর নিজস্ব কাব্যশৈলী। তাঁর কবিতার বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
- মহাদেবী বর্মার কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য সঙ্গীতময়তা। তাঁর কবিতায় কবি-হৃদয়ের উচ্ছ্বাস সঙ্গীতের রূপ ধারণ করেছে। ‘নীহার’, ‘রশ্মি’, ‘নীরজা’, ‘সান্ধ্যগীত’–কাব্য চতুষ্টয়ে এই গীতিমূর্চ্ছনা প্রবলতর হয়েছে।
- আধ্যাত্মিকতা তথা দার্শনিক ভাবুকতা মহাদেবীর কবিতার চারপাশে উজ্জ্বল আলোর আভা হয়ে এক আশ্চর্য আবহ নির্মাণ করেছে।
- প্রিয় বিরহের মূর্চ্ছনা মহাদেবীর কবিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আধ্যাত্মিকতা, আস্তিকতার দার্শনিক গভীরতা বিরহগীতির কাব্যসুষমায় ভরপুর হয়ে উঠেছে।
- রূপক বা সাংকেতিকতা মহাদেবী বর্মার কবিতার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এই রূপক দ্বৈতসত্তার বিরহ বর্ণনার বহুবর্ণী মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
- প্রকৃতির প্রতীকী রূপ বর্ণনা করা মহাদেবী বর্মার কবিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যেকোনো ছায়াবাদী কবির মতোই মহাদেবী বর্মাও তাঁর কাব্যে প্রকৃতির বর্ণনা করেছেন তবে নিজস্ব কাব্যশৈলীতে তা স্বতন্ত্রমাত্রা লাভ করেছে।
- প্রকৃতি পরায়ণতা মহাদেবী বর্মার কবিতার আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। প্রকৃতি বর্ণনার মধ্যে যেমন রয়েছে আন্তরিকতা, তেমনি রয়েছে প্রসন্ন মানবিকতাবোধ।
- প্রেমের বিরহানুভূতির প্রকাশ মহাদেবীর কবিতাকে বিশিষ্টতা দান করেছে। মহাদেবীর কাব্যের গীতিময়তার সঙ্গে বিরহের যোগ রয়েছে। কারণ মহাদেবী ততটাই বিরহের কবি, যতটা গীতিকবি।
- ভাবগাভীর্য ও উদাত্ততা মহাদেবী বর্মার স্বভাব সৌন্দর্যের কারণ রূপে অনুধাবনযোগ্য। ভাবের রসঘন প্রকাশ তাঁর কবিতাকে বিশিষ্টতা দান করেছে।
- মহাদেবীর কবিতায় ‘সীমা’, ‘অসীম’, ‘অশ্রু’, ‘দেব’, ‘সন্ধ্যা’, ‘প্রিয়’ প্রভৃতি শব্দ ব্যবহারের তাৎপর্য ও গভীরতা রয়েছে। লোকজগতের বিচিত্র অনুভূতি কবির ভাষার সূত্রে শব্দ হয়ে ফোটে। শব্দ ব্যবহারে তাঁর সচেতনতা ও শিল্পকুশলতা বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
- মানবভাবনা মহাদেবীর কবিতাকে বিশিষ্টতা দান করেছে। কবি অবশ্যই জাগতিক সুখ-দুখের কথাকে বিচিত্রভাবে ব্যক্ত করেছেন। মানবিক কণ্ঠস্বরে লেগেছে ব্যথা ও ভালোবাসার ছোঁয়া।
- রহস্যময়তা মহাদেবী বর্মার কবিতার একটি বিশেষ দিক। তবে এই রহস্যবাদ কবিকে জীবনবিমুখ করে তোলেনি, বরং নিজের জীবনের ব্যথা দিয়ে তিনি সাজিয়ে দিয়েছেন কাব্যের পশরা।
- ছন্দ ও ভাষা ব্যবহারে মহাদেবীর কাব্যে আশ্চর্য দীপ্তি লক্ষ করা যায়। লয়, তান ও ছন্দের পরিমিত মিশ্রণে, ছন্দের নিখুঁত সঙ্জায় এক গীতিকবির প্রতিভার স্বাক্ষর রয়েছে তাঁর কবিতায়।
হিন্দি তথা আধুনিক ভারতীয় কাব্যে মহাদেবী বর্মার উজ্জ্বল স্বাক্ষর চির দীপ্যমান থাকবে।
Leave a Reply