ইংরেজি সাহিত্যে কবি রবার্ট ব্রাউনিং-এর কৃতিত্ব আলোচনা কর।
রবার্ট ব্রাউনিং (১৮১২-১৮৮০)
ইংরেজি সাহিত্যে ভিক্টোরীয় যুগের অন্যতম কাব্যকার ছিলেন রবার্ট ব্রাউনিং (১৮১২-১৮৮০)। রোমান্টিক যুগের সামান্য বৈশিষ্ট্য ব্রাউনিং-এর মধ্যে থাকলেও তিনি মূলত ছিলেন ভিক্টোরীয় যুগের শিল্পী। টেনিসন ও ব্রাউনিং একই সময়ের কবি হলেও রচনারীতি ও শিল্পকৌশলে ব্রাউনিং ছিলেন স্বতন্ত্র। কারণ-টেনিসনের অপূর্ব ধ্বনিমাধুর্য ও প্রথাবদ্ধ আলংকারিক ব্রাউনিং-এর মধ্যে লক্ষ করা যায় না। ব্রাউনিং কাব্যের মণ্ডনকলার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেননি, বরং ভাবের মননশীলতার প্রতি বিশেষ আগ্রহী ছিলেন।
১৮৪০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়ে তিনি উৎকৃষ্ট কাব্য রচনা করেছেন। এইসব উৎকৃষ্ট কাব্যের বেশির ভাগ বিষয় হল প্রেম। তার প্রেম কবিতাগুলির মর্মমূলে আছে তার পত্নী এলিজাবেথের প্রেরণা। কবি ব্রাউনিং তাঁর প্রেমের কবিতায় উপস্থাপিত করেছেন মানবতা ও সুগভীর ঈশ্বর বিশ্বাসকে। ব্রাউনিং-এর, শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলি সংকলিত হয়েছে ‘ড্রামাটিক লিরিকস্’ (Dramatic Lyrics), ‘ড্রামাটিক রোমান্সেস’ (Dramatic Romances), ‘মেন এ্যাণ্ড ওমেন’ (Man and Women) প্রভৃতি। তাঁর কয়েকটি কবিতার আলোচনা করা যেতে পারে। ‘টু ইন দি ক্যাম্পাগ্না’ (Two in the Campagna) কবিতায় প্রেমের অসম্পূর্ণতার মধ্যে দার্শনিক প্রত্যয়কে যুক্ত করেছেন। আবার ‘পরফিরিয়াস লাভার’ (Porphyria’s Lover) কবিতায় এক বিকৃতমস্তিষ্ক প্রেমিক তার প্রেমিকার শ্বাসরোধ করে মৃত্যু ঘটিয়ে প্রেমিক তার প্রেমকে চিরন্তন করে রাখতে চেয়েছে।
আবার ‘দি ল্যাবরেটরি’ (The Laboratory) কবিতায় এক প্রত্যাখ্যাতা প্রেমিকা তার প্রতিদ্বন্দ্বিনীকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করার জন্য এক রাসায়নিক পরীক্ষণাগারে উপনীত হয়েছে এবং বিষ প্রস্তুত করার সময় কথাবার্তার মধ্যে যে তীব্র ঈর্ষার ঝাঁজ তা পাঠক হৃদয়কেও স্পর্শ করে যায়।
‘লাভ অ্যামং দি রুইন্স’ (Love among the Ruins) কবিতায় বিলুপ্ত সভ্যতার প্রতীক এক ধ্বংসবিলীন মহানগরীর পটভূমিতে দু’রকমের প্রেমলীলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটিতে নিশ্চিহ্ন ধূসর বিস্মৃতির মধ্যে নতুন প্রেমের স্বরূপ অন্যটিতে বিশাল এক পােডড়া প্রান্তরের মধ্যে প্রেমের অবাধ বিস্তার ও দুর্জয় শক্তিকে উপস্থাপিত করেছেন কবি। প্রাচীন নগরের ধ্বংসের মধ্যেও প্রেম যে অমর হয়ে থাকে, প্রেমের সেই শাশ্বত রূপের প্রকাশ এই কবিতায়—
For whole centuries of fully, noise and sin, shut them in,
With their triumphs and their glories and their rest, Love is best.
‘দি লাস্ট রাইড টুগেদার’ কবিতায় হতাশ প্রেমিক তার প্রণয়িণীর সঙ্গে শেষবার ঘোড়ায় চড়ে বেড়াতে বেড়াতে তার নৈরাশ্যবোধকে ঝেড়ে ফেলে এক নতুন আশাবাদে উদ্দীপ্ত হয়েছে যেখানে পরকালে অসীম সম্ভাবনার মধ্যে জীবনের সব অপূর্ণতা পূর্ণতার সন্ধান পেয়েছে।
‘বাই দি ফায়ারসাইড’ (By the fireside) কবিতায় কবি ও কবিপত্নীর ইতালীয় গৃহজীবনের চিত্রটি অপূর্ব বর্ণসুষমায় প্রকাশিত হয়েছে— Musing by fire light that great brow And the spirit small hand propping it/ Yonder, my heart knows how.
ব্রাউনিং এর কতকগুলি কবিতায় সমকালীন যুগজীবনের প্রেক্ষাপটে মানসিক চাঞ্চল্য তথা মনস্তত্ত্বের রূপ উদঘাটিত হয়েছে। ইটালিতে মধ্যযুগ ও রেনেসাঁসের প্রথমযুগের মানুষের মানসিক অবস্থা কতকগুলি কবিতায় সুন্দরভাবে চিত্রিত হয়েছে। সেই সময়ের যুগসংস্কৃতির মধ্যে যে বৈপরীত্য ছিল তার বাস্তবসম্মত রূপায়ণ ঘটেছে কয়েকটি কবিতায়। একদিকে শিক্ষানুরাগ ও সৌন্দর্যেপাসনা অন্যদিকে হিংস্রতা ও অনৈতিকতা—এই উভয় দিকই চিত্রিত হয়েছে ব্রাউনিং-এর কবিতায়।
‘মাই লাস্ট ডাচেস’ (My last Duchess) কবিতায় এক সামন্ততান্ত্রিক ভূস্বামী ভিন্নদেশীয় দূতের সঙ্গে বিয়ের কথাবার্তা চালাতে চালাতে তার পূর্বপ্রণয়িনী কীভাবে জীবন-যবনিকার অন্তরালে চলে গেছে তার কুর, ভয়াবহ ইঙ্গিত ব্যক্ত হয়েছে।
‘দি বিশপ অর্ডারস হিজ টম্ব’ (The Bishop orders his Tomb) কবিতায় এক মৃত্যুপথযাত্রী ধর্মযাজকের মানসিক প্রতিক্রিয়া বর্ণিত হয়েছে—যা সমকালীন যুগের ধর্মীয় বিকৃতিকে উদঘাটিত করে। আলোচ্য কবিতায় একজন ধর্মযাজক ছিলেন প্রেমিক। সেই প্রেমিকের অবৈধ প্রণয়ের ফলে যে পুত্রসন্তানদের জন্ম হয় তাদের কাছে সেই যাজক মৃত্যুর পূর্বে তার শেষ ইচ্ছার কথা জানিয়ে কি কি করতে হবে তা নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন, তার মৃতদেহ মন্দির প্রাঙ্গণের কোনো ছায়াস্নিগ্ধ শান্ত জায়গায় সমাহিত হবে, তার উপর কেমন সমাধি স্তম্ভ নির্মিত হবে এবং তা যেন তার এক মৃত প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় উৎকৃষ্ট হয় ইত্যাদি। এই কবিতায় মধ্যযুগীয় ধর্মীয় জীবনের স্বলন ও ত্রুটিকে হাস্যরসের মাধ্যমে কবি ব্যক্ত করেছেন।
‘কার্শিশ’ (karshish) কবিতায় যীশুখ্রিস্টের পুনর্জীবনলাভের অলৌকিক কাহিনী বৈজ্ঞানিক মওভাব সম্পন্ন এক আরব চিকিৎসকের মনে কি প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছিল তা চিত্রিত হয়েছে।
‘এভেলীন হোপ’ (Evelyn Hope) কবিতায় এক প্রেমিক পুরুষ ভালবাসত এক প্রেমিকাকে। কিন্তু প্রেমিকা তা জানত না। প্রেমিক পুরুষ সেই নারীর মৃত্যুশয্যায়ও তাকে তার ভালবাসার কথা জানাতে পারল না। এদিকে সেই নারী মৃত্যুবরণ করল। কিন্তু প্রেমিক পুরুষ এই মৃত্যুতে হতাশ হননি। কারণ তিনি জানেন, এমন একদিন আসবে যখন তার ভালবাসা অনেকে স্মরণ করবে বা তার ভালবাসাকে স্বীকৃতি দিতে কুণ্ঠা প্রকাশ করবে না—There, that is our secret, go to sleep/you will wake, and remember and understand.
‘বিশপ ব্লুগ্রামস্ এ্যাপলজি’ (Bishop Bologram’s Apology) কবিতায় আধুনিক কালের সংশয়বাতিক ধর্মযাজক কেমন করে সংশয়ের সঙ্গে নির্বিচার ধর্ম বিশ্বাসের সামঞ্জস্য সাধন করতে পারে তা যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে ব্যক্ত হয়েছে। কবি মনে করেছিলেন আধুনিক যুগে কেউ পুরোপুরি আস্তিক বা কেউ পুরোপুরি নাস্তিক হতে পারে না। কারণ সকলেরই মনে আস্থা—অনাস্থা জড়িত এক পরিস্থিতি। তাই কেউ নাস্তিকতার দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে জীবনটাকে বা জীবনের সুখস্বাচ্ছন্দ্যকে অবহেলা করে তবে তার সেই কাজ হবে অবিবেচনাপ্রসূত। এই ধরণের যুক্তিতর্কের সাহায্যে বক্তার মানসিক দ্বন্দ্ব ও পরস্পর বিরোধী চিন্তাধারা ও উক্ত ব্যক্তির মানসিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় কবিতাটির মধ্যে সাবলীলভাবে ব্যক্ত হয়েছে।
ব্রাউনিং-এর নাট্যস্বভাবের পরিচয় রয়েছে ‘দি রিং অ্যাণ্ড দি বুক’ (The Ring and the Book) নাটকটিতে। অসৎ চরিত্র Guido Franceschini (গুইডো ফ্রাঙ্কেস্কিনি)। স্ত্রী Pompilia (পম্পিলিয়া) ছিলেন সৎস্বভাবের নারী। কিন্তু সে তার স্বামীর অত্যাচারে অত্যাচারিত। এদিকে এক সহৃদয় পুরোহিত পম্পিলিয়ার উপর অত্যাচার দেখে তার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে তাকে অত্যাচার থেকে রক্ষার চেষ্টা করে। এই বিষয়টিকে গুইডো অন্য দৃষ্টিতে গ্রহণ করে। গুইডো ভাবে এই পুরোহিতের সঙ্গে তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এবং সেজন্য তার স্ত্রীকে সে হত্যা করে। গুইডোর বিচার হয় এবং তাতে পোপ তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। গুইডো পোপের কাছে মৃত্যুদণ্ড লাঘবের আবেদন করলেও পোপ তা বহাল রাখেন। নাটকটির মধ্যে গীতিময়তা কাব্যনাটকের আঙ্গিককে স্মরণ করায়। বারটি সর্গে বিভক্ত এই নাটকে নয়টি একক কথনের মাধ্যমে মূল কাহিনী ব্যক্ত হয়েছে। কাহিনীগ্রন্থনে ব্রাউনিং-এর দক্ষতা অসাধারণ। নাটকের প্রধান পাত্রপাত্রী চারজন— পম্পিলিয়া, গুইডো, পুরোহিত Caponsacchi ও পোপ। পম্পিলিয়ার ধৈর্য ও সততা, গুইডোর ক্রুরতা ও শঠতা, পুরোহিতের আদর্শ ও মানবতা এবং পোপের আদর্শনিষ্ঠা অনবদ্যভাবে চিত্রিত হয়েছে।
এছাড়া ব্রাউনিং-এর ‘পিপা পাসেস্’ (Pippa Passes) নাটকটিও উল্লেখযোগ্য। এই নাটকের কাহিনী হল— অ্যাসলো (Asolo) শহরের সিল্ক মিলের কর্মী বালিকা পিপা (Pippa) নববর্ষে একদিনের ছুটি পায়। তা পেয়ে সে খুশী হয়ে কিভাবে দিন কাটাবে একথা ভেবে সে সেই শহরের চারজন সুখী ব্যক্তির আনন্দের ভাগীদার হবে ভাবে। এই চারজন ব্যক্তি হল—অটিমা (Optima), ফেনি (Phene), লুইজি (Luigi) এবং বিশপ (Bishop)। পিপা এদের সুখী ব্যক্তি ভাবলেও আপাতদৃষ্টিতে এরা সুখী ছিল না। কারণ অটিমা তার প্রেমিকের জন্য স্বামীকে হত্যা করে ভয়ঙ্কর উল্লাসে মত্ত, নববধূ ফেনীকে পরিত্যাগ করতে চায় তার স্বামী, অন্যদিকে লুইজি ভালবাসা ও দেশপ্রেমের মধ্যে কাকে গুরুত্ব দেবে সেই চিন্তায় দ্বিধান্বিত; আবার বিশপ হল পিপার বাবার সম্পত্তি আত্মসাৎকারী। সুতরাং যে পিসা ভেবেছিল শহরে এরা চারজন সুখীব্যক্তি, কিন্তু তারা তাদের নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য আদৌ সুখী ছিল না। কিন্তু সেই ছুটির দিনে পিপা যখন গান গাইতে গাইতে পথে বেরুল তখন উক্ত চারজন ব্যক্তি সহ সকলের মন পরিবর্তিত হয়ে গেল।
ব্রাউনিং-এর নাটকীয় একোক্তি বা ড্রামাটিক মনোলগ জাতীয় রচনা হল— ‘Bells and pomeghanates’, ‘porphyria’s Lover’; ‘Dramatic Lyrics’ প্রভৃতি। এইসব রচনায় নাট্যধর্মী কাব্যরীতির প্রয়োগ লক্ষণীয়। সেইসঙ্গে ব্রাউনিং এর আস্তিক্যবাদ, মানবতাবাদ ও প্রেমের অফুরন্ত শক্তির উপর বিশ্বাস এইসব রচনায় ব্যক্ত হয়েছে।
আঙ্গিকের ক্ষেত্রে ব্রাউনিং এর অভিনবত্ব হল এই ড্রামাটিক মনোলগ (Dramatic Monologue) বা আত্মবিশ্লেষণমূলক নাটকীয় স্বগতোক্তি-র মত কলাপ্রকরণের প্রয়োগ। এগুলি ঠিক নাটক না হলেও চরিত্রের মনোরাজ্যের আলোড়নজনিত চিত্র এতে বেশ স্পষ্ট। তাছাড়া এই শ্রেণীর কলাপ্রকরণে কোন কথোপকথন নেই, তবে তা একজন ব্যক্তির মানসস্বভাবের বৈশিষ্ট্যকেই সূচিত করে—যদিও দ্বিতীয় ব্যক্তির অদৃশ্য উপস্থিতি ব্যক্তির মনস্তাত্ত্বিক স্বরূপকে বেশি প্রকট করে তোলে। যেমনটি মধুসূদনের ‘বীরাঙ্গনা’ কাব্যে লক্ষ করা যায়। কেকয়ী যখন তার কথা বলেন তখন তার কাছে কেউ না থাকলেও অদৃশ্যভাবে রাজা দশরথ যেন সেখানে রয়েছেন—এভাবেই কেকয়ী তার মনোরাজ্যের কথাগুলি ব্যক্ত করে যান। রবীন্দ্রনাথের ‘সাধারণ মেয়ে’, যতীন্দ্রমোহন বাগচীর ‘চাষীর ঘরে’, মোহিতলাল মজুমদারের ‘নাদির শাহের শেষ’ প্রভৃতি বাংলা কবিতা নাটকীয় একোক্তির উদাহরণ।
ব্রাউনিং-এর কবিতার গদ্যছন্দ, কথোপকথনের লঘু সরসতা এবং আধফোটা কুঁড়ির মত প্রকাশভঙ্গি আমাদের বাংলা সাহিত্যের অনেক কবিকে প্রভাবিত করেছে। ব্রাউনিং-এর ‘Pippa Passes: A Drama’ কিংবা ‘Luria: A tragedy’ প্রভৃতি গ্রন্থের বিন্যাস নৈপুণ্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন অক্ষয় কুমার বড়াল। তাঁর ‘শঙ্খ’ কাব্যে এই ধরনের বিন্যাস লক্ষ করা যায়। ব্রাউনিং-এর ভক্ত পাঠক ছিলেন অক্ষয় কুমার বড়াল ও রবীন্দ্রনাথ। ব্রাউনিং-এর ঈশ্বর বিশ্বাস, সৃষ্টির কল্যাণময়তায় বিশ্বাসের দ্বারা অক্ষয়কুমার অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। তাঁর ‘প্রদীপ’ কাব্যের কবিতাগুলি ব্রাউনিং-এর আদর্শে ভাবের বিবর্তন অনুযায়ী সাজিয়েছিলেন। এমনকি ব্রাউনিং-এর ক্ষণিক প্রেমানুভূতির মধ্যেই শাশ্বত মুহূর্তকে আবিষ্কারের আনন্দে রবীন্দ্রনাথও মেতেছিলেন। বিরহের মধ্যেই ক্ষণিক প্রেমের উল্লাসে কেমন একটা সাহসের অনুভব রবীন্দ্রনাথের মধ্যে আমরা পেয়ে থাকি, তা মনে হয় ব্রাউনিং-এর অবদান। বিশেষ করে ব্রাউনিং-এর কাব্যনাট্যগুলিও রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্যের প্রেরণা বলে মনে হয়। (বাংলা কাব্যে পাশ্চাত্ত্য প্রভাব—ড. উজ্জ্বলকুমার মজুমদার)।
তবে একথাও ঠিক যে, ব্রাউনিং-এর কবিতার দুর্বোধ্যতা পাঠককে আনন্দ দেয় না। কিন্তু আস্তিক্যবাদী দর্শনে, চরিত্রের মনস্তত্ত্বের উদঘাটনে, অভিনব কলাপ্রকরণের উদ্ভাবনে এবং পরবর্তী কবিগোষ্ঠীর উপর প্রভাবে ব্রাউনিং ইংরাজি সাহিত্যে স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে থাকবেন।
তথ্যসূত্র:
ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস | Download |
ইংরাজী সাহিত্যের ইতিহাস – শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় | Download |
ইংরেজি সাহিত্য পরিচয় – অরবিন্দ পোদ্দার | Download |
ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস – কুন্তল চট্টোপাধ্যায় | Download |
ইংরেজি সাহিত্যের ইতিবৃত্ত ও মূল্যায়ন – বিমলকৃষ্ণ সরকার | Download |
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস – অরুণ ভট্টাচার্য | Download |
Leave a Reply