বাংলা গদ্যের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা কর।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
বীরসিংহের সিংহশিশু বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১) ছিলেন বাংলা গদ্যের জনক। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বাংলা গদ্যের তিনি প্রথম যথার্থ শিল্পী। তাঁর সাহিত্যরচনার উদ্দেশ্য ছিল জনকল্যাণ, নিছক সাহিত্যতত্ত্ব নয়, তিনি শিল্পসম্মত গদ্যরীতির উদ্ভাবয়িতা। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকাকে কেন্দ্র করে বিদ্যাসাগর, অক্ষয়কুমার ও দেবেন্দ্রনাথ কর্ম, জ্ঞান ও ভক্তির সমন্বয় সাধন করেছিলেন। অক্ষয়কুমার ছিলেন ‘তত্ত্ববোধিনী’র প্রথম সম্পাদক। তিনি অসুস্থ হলে বিদ্যাসাগর সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৮৪৭-১৮৬৫ পর্যন্ত যে পর্বটিকে ‘তত্ত্ববোধিনী পর্ব’ বলা হয় তা এক অর্থে বিদ্যাসাগর পর্ব। ১৮৬৫-তে বঙ্কিমচন্দ্রের ‘দুর্গেশনন্দিনী’র আত্মপ্রকাশ বা বাংলা উপন্যাস সাহিত্যের জয়যাত্রা শুরু। সুতরাং বঙ্কিমের আবির্ভাবের পথ প্রস্তুতির ব্যাপারে বিদ্যাসাগর এবং এই পর্বের গদ্য লেখকদের বিশিষ্ট একটি ভূমিকা ছিল।
কবি মধুসূদন বিদ্যাসাগরের শিল্পী ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে একটি পত্রে লিখেছিলেন— “The man to whom I have appealed has the genious and wisdom of an ancient sage, the energy of an Englishman and the heart of a Bengali mother.” সত্যই বিদ্যাসাগরের চারিত্রিক প্রকৃতি ছিল বাইরে কঠোর এবং অন্তরে কোমল। তিনি ছিলেন জনহিতব্রতী। তাই তাঁর সাহিত্যরচনার উদেশ্য ছিল জনকল্যাণ। পাণ্ডিত্য ও পৌরুষ, মনুষ্যত্ব ও কর্তব্যনিষ্ঠা, যুক্তি ও আবেগ প্রভৃতির সমন্বয়ে গঠিত ছিল তাঁর শিল্পীহৃদয়।
বিদ্যাসাগরের রচনাবলীকে অনুবাদমূলক এবং মৌলিক এই দুইভাগে বিভত যেতে পারে। মৌলিক রচনাসমূহ মুখ্যত তর্কবিতর্কমূলক। তুলনায় তাঁর ‘অনুবাদ গল্প’ বিচিত্র। হিন্দি, সংস্কৃত এবং ইংরেজি থেকে বিদ্যাসাগর বাংলায় গদ্যগ্রন্থ অনুবাদ করে গদ্যভাষাকে সরস এবং ভারবহনক্ষম করে তোলেন। ‘বাসুদেব চরিত’-এর লেখক কে—এ বিষয়ে মতভেদ আছে। কিন্তু ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’ (১৮৪৭) থেকে ১৮৯১-তে প্রকাশিত ‘প্রভাবতী সম্ভাষণ’ পর্যন্ত অজস্র অনুবাদ গ্রন্থের লেখক বিদ্যাসাগর। তাঁর অনুবাদ গ্রন্থগুলি মূলত ভাবানুবাদ বা মর্মানুবাদ। বিদ্যাসাগরের রচনাগুলি হল—
(ক) অনুবাদমূলক রচনা:-হিন্দী ‘বৈতাল পচ্চীসী’ থেকে অনুবাদ ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’ (১৮৪৭), কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম্’ নাটকের স্বচ্ছন্দ গদ্যানুবাদ ‘শকুন্তলা’ (১৮৫৪), ভবভূতির উত্তরচরিত এবং বাল্মীকির রামায়ণের উত্তরকারে আখ্যানের অনুসরণে ‘সীতার বনবাস’ (১৮৬০), শেক্সপীয়ারের Comedy of Errors-এর গল্পাংশের অনুবাদ ‘ভ্রান্তিবিলাস’ (১৮৬৯)। এছাড়াও তিনি কয়েকখানি পাঠ্যগ্রন্থেরও অনুবাদ করেছিলেন। মার্শম্যানের History of Bengal-এর কয়েক অধ্যায় অবলম্বনে ‘বাঙ্গালার ইতিহাস’ (১৮৪৮), চেম্বার্সের ‘Biographies’ ও ‘Rudiments of Knowledge’ অবলম্বনে যথাক্রমে ‘জীবনচরিত’ (১৮৪৯) ও ‘বোধোদয়’ (১৮৫১) এবং ঈশপের ফেবলস্ অবলম্বনে ‘কথামালা’ (১৮৫৬) রচনা করেন। এ অনুবাদগুলি যথার্থ মৌলিক গ্রন্থের মতো মর্যাদা পেয়েছে।
(খ) মৌলিক রচনা:-‘প্রভাবতী সম্ভাষণ’ (১৮৯১) বন্ধু রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যার মৃত্যুতে রচিত। তা বাংলা গদ্যে লিখিত প্রথম শোকগ্রন্থ। ‘বিদ্যাসাগর চরিত’ (অসম্পূর্ণ)—১৮৯১। ‘সংস্কৃত ভাষা ও সংস্কৃত সাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব’ (১৮৫৩)।
(গ) সমাজসংস্কারমূলক রচনা:-‘বিধবাবিবাহ চলিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক প্রস্তাব’ (১৮৫৫), ‘বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কিনা এতদ্বিষয়ক বিচার’ (প্রথম—১৮৭১, দ্বিতীয়—১৮৭৩) শীর্ষক পুস্তিকাগুলিতে তাঁর অভ্রান্ত যুক্তি, তথ্যের সমারোহ এবং তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণ যথার্থ প্রাবন্ধিকের প্রতিভা সুপ্রমাণিত করেছে।
(ঘ) লঘু রচনা:-‘অতি অল্প হইল’ (১৮৭৩), ‘আবার অতি অল্প হইল’ (১৮৭৩) ‘কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য’ ছদ্মনামে রচিত বহু বিবাহ বিষয়ে তারানাথ তর্কবাচস্পতির প্রতিবাদের বেনামী উত্তর-প্রত্যুত্তর। ‘ব্রজবিলাস’ (১৮৮৪) গ্রন্থটি কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপোস্য ছদ্মনামে নবদ্বীপের ব্রজনাথ বিদ্যারত্নের বিধবা-বিবাহ বিরোধী সংস্কৃত বক্তৃতার উত্তর। ‘রত্নপরীক্ষা’ (১৮৮৬) কস্যচিৎ উপযুক্ত ভাইপো সহচরস্য ছদ্মনামে রচিত। এইসব রচনায় রঙ্গপ্রিয় বিদ্যাসাগরের উপস্থিতি চোখে পড়ে।
বিদ্যাসাগর গল্প শোনানোর ভাষা দিয়েছেন ‘অতি অল্প হইল’, ‘আবার অতি অল্প হইল’ এইসব গ্রন্থ রচনা করে। এই পুস্তিকা দুটির ভাষার মধ্যে শ্লেষ ও তির্যক দৃষ্টিভঙ্গি বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আচার্য কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য এই পুস্তিকাগুলি সম্বন্ধে বলেছিলেন— “এইরূপ উচ্চ অঙ্গের রসিকতা বাঙ্গালা ভাষায় অতি অল্পই আছে।”
(ঙ) শিক্ষামূলক রচনা:-‘বর্ণ পরিচয়’ (প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ—১৮৫৫) ও ‘সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা’। শিশুশিক্ষার ভিত্তি প্রস্তুত করতে এবং শিশু মনস্তত্ত্ব অনুযায়ী তাদের পঠন-পাঠনের উপযোগী পাঠ্যপুস্তক রচনার প্রয়াসে এই গ্রন্থগুলির রচনা। ‘বর্ণ পরিচয়’-এর দ্বিতীয় ভাগের ভূমিকায় বিদ্যাসাগর লিখেছেন— “বালকদিগের সংযুক্ত বর্ণ পরিচয় এই পুস্তকের উদ্দেশ্য। সংযুক্ত বর্ণের উদাহরণস্থলে যে সকল শব্দ আছে, শিক্ষক মহাশয়েরা বালকদিগকে উহাদের বর্ণবিভাগ মাত্র শিখাইবেন, অর্থ শিখাইবার নিমিত্ত প্রয়াস পাইবেন না। বর্ণ বিভাগের সঙ্গে অর্থ শিখাইতে গেলে, গুরু-শিষ্য উভয়পক্ষেরই বিলক্ষণ কষ্ট হইবেক এবং শিক্ষা বিষয়েও আনুষঙ্গিক অনেক দোষ ঘটিবেক।”
রামমোহনের রচনায় বাংলা গদ্যের দুর্বোধ্যতা দূর হয়ে তার স্থানে সরল ও সুষম অর্থাৎ balanced বাক্যভঙ্গী স্থাপিত হয়েছিল, কিন্তু তার মধ্যে সাহিত্যরস ছিল না— তাঁর মধ্যে সংস্কারের স্পর্শ ছিল, শিল্পীর স্পর্শ ছিল না। বক্তব্যের প্রকাশ ঘটলেও সারস্বত প্রকাশ ঘটেনি। বিদ্যাসাগরের রচনার মধ্যেই প্রথম তা দেখা গেল। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়— “বিদ্যাসাগর বাংলাভাষার প্রথম যথার্থ শিল্পী ছিলেন। তৎপূর্বে বাংলায় গদ্য সাহিত্যের সূচনা হয়েছিল, কিন্তু তিনিই সর্বপ্রথম বাংলা গদ্যে কলানৈপুণ্যের অবতারণা করেন।”
ধ্বনিঝঙ্কার অনুসরণ করে উপযুক্ত স্থানে যতিচিহ্ন স্থাপন করে বাক্যাংশগুলিকে সাজিয়ে তিনিই প্রথম গদ্যছন্দকে আবিষ্কার করেছিলেন। মোহিতলাল মজুমদার তাই বলেছেন—“যাহা ছিল না তাহা সৃষ্টি করা যে কত বড় প্রতিভার কাজ— ‘‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’র ভাষা তাহারই পরিচয় দিতেছে।” রামমোহন বাংলা গদ্যের দুর্বোধ্যতা দূর করেছিলেন, অক্ষয়কুমার তার আড়ষ্টতা দুর করেছিলেন, বিদ্যাসাগর তাকে লালিত্য দান করলেন, অনাবশ্যক সমাসাড়ম্বর থেকে মুক্ত করে— “গ্রাম্য পাণ্ডিত্য এবং গ্রাম্য বর্বরতা, উভয়ের হস্ত হইতেই উদ্ধার করিয়া তিনি ইহাকে পৃথিবীর ভদ্রসভার উপযোগী আর্যভাষারূপে গঠিত করিয়া দিয়াছে।” (রবীন্দ্রনাথ)
বিদ্যাসাগর সংস্কারান্ধ ব্রাহ্মণ পণ্ডিত ছিলেন না; তাই সংস্কৃত সাহিত্যে অশেষ জ্ঞান থাকলেও ইংরেজি গদ্যের প্রাঞ্জলতা, প্রসাদগুণ, পরিমাণবোধ ও স্বাভাবিকতা সাহিত্যরসিক বিদ্যাসাগরকে মুগ্ধ করেছিল। সংস্কৃত ও ইংরেজি—এই উভয় ধারার সম্মিলনে বিদ্যাসাগরের স্টাইল বাংলা গদ্যের সাধুভাষার আদর্শ স্টাইল গঠিত হয়েছিল। ‘বেতালপঞ্চবিংশতি’তে বাংলা গদ্যের এই আদি সাধুভাষার প্রথম সাহিত্যিক প্রকাশ এবং শকুন্তলায় এর শ্রেষ্ঠ প্রকাশ। ‘শকুন্তলা’র ভাষা যেমন লালিত্যপূর্ণ তেমনি শিল্পশ্রীমণ্ডিত। ‘শকুন্তলা’র ভাষাতেই বিদ্যাসাগরের স্টাইল চরমোকর্ষ লাভ করেছে। শকুন্তলা’র ভাষার যে মাধুর্য ও সুরভির পরিচয় পাওয়া যায় সীতার বনবাস.. তা দুর্লভ না হলেও, শকুন্তলা’র ভাষার সেই লঘুতা ও নমনীয়তা নেই। ভবভূতির উত্তরচরিত অবলম্বন করে সীতার বনবাস’ রচনা করতে গিয়ে তিনি ভবভূতির ভাষায় সমাসাড়ম্বরপূর্ণ গাম্ভীর্যকে অতিক্রম করতে পারেন নি।
বিদ্যাসাগর বাংলা সাধু গদ্যের প্রথম সচেতন শিল্পী এই অর্থে যে, তিনি বাংলা সাধু গদ্যের কাঠামো কী হওয়া উচিত তা নিয়ে পরীক্ষা চালান এবং চলতি গদ্যের সম্ভাবনা নিয়েও পরীক্ষা করেন। বিদ্যাসাগর দেখিয়েছেন, গদ্যচর্চা সাধনার বস্তু, শব্দনিবাচন সতর্ক শিল্পচেতনানির্ভর। বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যকে দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও আভিজাত্য। তিনি বাংলা গদ্যের একটি রাজপথ তৈরি করে দিয়েছিলেন, সে পথে পরবর্তীকালে বহুতর পদাতিকের আগমন হয়েছে। বিদ্যাসাগরের এটাই প্রধান কীর্তি। রবীন্দ্রনাথের কথায়— “বিদ্যাসাগরের প্রধান কীর্তি বঙ্গভাষা।”
বাংলা গদ্যে বিদ্যাসাগরের অবদান
বাংলা গদ্যরীতিতে বিদ্যাসাগরের দান সূত্রাকারে সাজানো যায়—
- বিদ্যাসাগরের হাতে সাহিত্যিক গদ্যের জন্ম।
- তিনি ভারসাম্য রক্ষা করতে মধ্যপন্থা অনুসরণ করেছিলেন।
- অ্যাডিসন ইংরেজি সাহিত্যের গদ্যে যা করেছেন, বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্য সাহিত্যের জন্য সেই কাজ করলেন। আতিশয্যহীন, বিশেষ কোন একদিকের প্রবণতাহীন গদ্যই হচ্ছে তার গদ্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
- বঙ্কিমচন্দ্রের আগেই বিদ্যাসাগর বিষয়ের প্রয়োজন অনুসারে ভাষাকে জটিল ও সরল করেছিলেন।
- ভাষার মধ্যে অনতিলক্ষ্য ছন্দচেতনা এনেছে। গদ্যে সুর, তাল, লয়, যতি ইত্যাদির প্রয়োগকুশলতায় গদ্যের মধ্যে প্রবহমানতা এনেছেন—যা মৃত্যুঞ্জয়ের ছিল না।
- বাক্পুঞ্জকে বিরতি ও যতি চিহ্ন দ্বারা শাসিত ও সংশোধিত করে বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যে বোধের ভাষাকে রসের পর্যায়ে উন্নীত করেন।
- গদ্যকে উপবাক্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত করে, বাক্যকে ভাবানুসারে অন্বয়ীভূত করে, ধ্বনি সামঞ্জস্য ও গতির মধ্যে অনতিলক্ষ্য ছন্দস্রোত এনে, বাক্যের গতির মধ্যে পূর্ণতা এনে বাংলা গদ্যের সম্পূর্ণতা এনেছেন বিদ্যাসাগর।
- বাংলা ক্লজ এবং ফ্রেজ বাক্যাংশে প্রয়োগ করে ভাষার ব্যবহারযোগ্যতা সম্পাদন করেছেন তিনি।
- বাংলা ভাষায় অসমাপিকা ক্রিয়ার দ্বারা জটিল বাক্যবন্ধ নির্মাণ করার সম্ভাবনাকে তিনি যেমন ব্যবহার করেছেন, আবার ভাষার সহজ স্বরূপও তার মধ্যে আনতে চেয়েছেন। এক্ষেত্রে বিদ্যাসাগর মৃত্যুঞ্জয়ের উত্তরসুরি।
- বাংলা গদ্যকে সংহত করার জন্য সমাসবদ্ধ পদ ব্যবহার করলেও তিনি গদ্যকে প্রতিকূলতা থেকে মুক্ত করেছেন ও অনেক পরিমাণে সরল করে দিয়েছেন।
- সংযুক্ত ক্রিয়াপদের ব্যবহার তার গদ্যে বিশেষভাবে চোখে পড়ে—যেমন, গমন করিলেন, শ্রবণ করিলেন ইত্যাদি।
- কমা ও সেমিকোলনের ব্যবহার বিদ্যাসাগরই প্রথম যথার্থ অধিকারীর ঢঙে করতে পেরেছিলেন।
- ইংরেজি Sentence Structure বা বাক্য গঠনরীতি বিদ্যাসাগরের প্রথম চোখে পড়ে।
- ক্রিয়াপদের শেষে অনাবশ্যক ‘ক’-এর ব্যবহার। যেমন—করিতে যাইবেক ইত্যাদি সুপ্রচুর।
- তিনি বাংলা গদ্যভাষাকে তর্কবিতর্কের ভারবহনক্ষম যেমন করেছিলেন তেমনি সরস অনুবাদের জন্য যে ভাষার প্রয়োজন সেই ভাষাও ব্যবহার কবেচে
- বিদ্যাসাগর শুধু সাধু গদ্যরীতির গদ্য রচনা করলেও কথ্য বাংলার প্রাণধর্মকে তিনি আয়ত্ত করতে পেরেছিলেন।
বাংলা সাহিত্যে বিদ্যাসাগরের কৃতিত্ব সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন— “বিদ্যাসাগর গদ্যভাষার উচ্ছ্বঙ্খল জনতাকে সশস্থল, সুবিভক্ত, সুবিন্যস্ত, সুপরিচ্ছন্ন এবং সুসংযত করিয়া তাহাকে সহজ গতি ও কার্যকুশলতা দান করিয়াছে।”
Leave a Reply