এককথায় প্রকাশ আলোচনা কর।
এককথায় প্রকাশ
অ
অনুকরণ করবার ইচ্ছা = অনুচিকীর্ষা।
অনুকরণ করা যায় এমন = অনুকরণীয়।
অনুগমন করে যে = অনুগ, অনুগামী।
অনুসন্ধান করবার ইচ্ছা = অনুসন্ধিৎসা।
অনুসরণ করে যে = অনুসারী।
অন্বেষণ করবার ইচ্ছা = অন্বেষা।
অভ্রকে ভেদ করে যে = অভ্রভেদী।
অতি উচ্চ হাসি = অট্টহাস্য।
অগ্নিহোত্রীর ব্রাহ্মণ = সাগ্নিক।
অসৎ পথে গমন করে যে = উন্মার্গগামী।
অতিশয় হৃষ্ট = উৎফুল্ল।
অর্জুনের ধনুক = গাণ্ডীব।
অতি উচ্চ স্বর = তারস্বর।
অরণ্যে বৃক্ষে বৃক্ষে ঘর্ষণজাত অগ্নি = দাবাগ্নি, দাবানল।
অরণ্যের অ্গনির তাপ = দাবদাহ।
অত্যন্ত দুরন্ত = দামাল।
অতি কর্মকুশল ব্যক্তি = ধুরন্ধর।
অহনের পূর্বভাগ = পূর্বাহ্ন।
অহনের অপরভাগ = অপরাহ্ন।
অকর্মণ্য গবাদি পশু রাখার স্থান = পিঁজরাপোল।
অপূর্ব সৃষ্টিশীল ক্ষমতা = প্রতিভা।
অর্তহীন উক্তি = প্রলাপ।
অপর ব্যক্তির বদলে যে স্বাক্ষর করে = বকলম।
অস্থায়ী বাসস্থান = বাসা।
অন্য কাল = কালান্তর।
অন্য পক্ষ = পক্ষান্তর।
অন্য বার = বারান্তর।
অন্য মনু = মন্বন্তর।
অন্য লিপি = লিপ্যন্তর।
অন্য যুগ = যুগান্তর।
অন্য লোক = লোকান্তর।
অগ্রে জন্মেছে যে = অগ্রজ।
অগ্রে গমন করে যে = অগ্রগামী।
অরিকে জয় করেছে যে = অরিজিৎ।
অরিকে দমন করেছে যে = অরিন্দম।
অনায়াসে যা লাভ করা যায় = অনায়াসলভ্য।
অদূর ভবিষ্যতে যা হবার আশা নেই = সুদূর-পরাহত।
অন্য গতি নেই বলে = অগত্যা।
অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা = অত্যুদ্গমন।
যা হবেই = অবশ্যম্ভাবী।
অন্য গতি নেই যার = অনন্যগতি।
অন্য ব্যক্তিতে যা সাধারণ নয় = অনন্যসাধারণ।
অন্ধকার রাত্রি = তমসা।
অর্ধ রাত্রি = নিশীথ।
অতি মনোহর গন্ধ = আমোদ।
অগ্নিতে যিনি আহুতি দান করেছেন = আহিতাগ্নি।
অধ্যয়নের বিরতি = অনধ্যায়।
অনুভব করা যায় না এমন = অননুভবনীয়।
অন্তরে নিহিত বা গুপ্ত থাকা স্বভাব যার = অন্তঃশীল, [স্ত্রী] অন্তঃশীলা।
অন্তরে [স্বর্গ ও পৃথিবীর মধ্যে] দৃশ্য = অন্তরীক্ষ।
অন্তরকে [মনকে] নিয়ন্ত্রণ করেন যিনি = অন্তর্যামী।
অতিক্রম করা যা দুঃসাধ্য = দুরতিক্রম্য।
অপচয় হচ্ছে যে বস্তুর = অপচীয়মান।
অত্রিমুনির পত্নী = আত্রেয়ী।
অসূয়া নেই যার [স্ত্রী]= অনুসূয়া।
অচ্ছ উদক যার = অচ্ছোদ।
অক্ষির গোচর = প্রত্যক্ষ।
অক্ষির অগোচর = পরোক্ষ।
অগ্র-পশ্চাৎ চিন্তা না করে কাজ করে যে = অবিমৃষ্যকারিতা।
অবজ্ঞায় নাক উঁচু করা = উন্নাসিকতা।
অবিবাহিত জ্যেষ্ঠর বর্তমানে কনিষ্ঠকে কন্যাদান = পরিদান।
অশ্বের শাবক = কিশোর।
অস্ফূট মধুর হাসি = কলহাস্য।
অতি লজ্জাশীলা বধূ = কলাবধূ।
অনায়াসদোহ্য গাভী = সুব্রতা।
অতিশয় স্নিগ্ধ = মেদুর।
অপ্রাপ্ত ধনের প্রাপ্তি ধনের রক্ষণ = যোগক্ষেম।
অবিবাহিতা জ্যেষ্ঠ বিদ্যমানে বিবাহিতা কনিষ্ঠা = অগ্রেদিধিষু।
অলংকারের ধ্বনি = শিঞ্জন।
অল্পকথা বলে যে = অল্পভাষী।
অন্নের নিমিত্ত দাস = অন্নদাস।
অশ্বের ডাক বা চিৎকার = হ্রেষা।
অশ্বের বাসস্থান = মন্দুরা, ঘোড়শালা, আস্তাবল।
অগ্নি উৎপাদনের কাষ্ঠ = অরণি।
অন্যের কথা কানে দিয়ে যে কলহের সৃষ্টি করে = কানভাঙানে।
অগ্নির কন্যা = স্ফুলিঙ্গ।
অযথা, অন্যায় বা অশুদ্ধ প্রয়োগ = অপপ্রয়োগ।
অগ্র পশ্চাৎ ক্রমানুযায়ী = আনুপূর্বিক।
আ
আকাশ পৃথিবীর সঙ্গে যেখানে মিশেছে = দিগ্বলয়, চক্রবাল।
আয় বুঝে ব্যয় করে যে = মিতব্যয়ী।
আদি ও অন্ত নেই যার = অনাদ্যন্ত।
আদি থেকে অন্ত্য পর্যন্ত = আদ্যন্ত, আদ্যোপান্ত।
আপাততঃ মধুর যা = আপাতমধুর।
আকাশে ওড়ে যে = খেচর।
আঙুলে পরার অলংকার = অঙ্গুরীয়।
আকাশ ও পৃথিবী = ক্রন্দসী।
আড়চোখে দৃষ্টিপাত = কটাক্ষ।
আয়াস ছাড়াই যা লাভ করা যায় = অনায়াসলভ্য।
আত্মগোপনার্থে পরিধেয় = ছদ্মবেশ।
আমিষ খান যিনি = নিরামিষাশী।
আদব-কায়দা যে জানে না = বেয়াদপ।
আগুনে যে পোড়ে = অগ্নিসহ।
আজীবন অবিবাহিত = চিরকুমার, (স্ত্রী) চিরকুমারী।
আজীবন সধবা নারী = চিরায়ুষ্মতী।
আবহমান কাল ধরে যা প্রচলিত = চিরায়ত।
আকাশে উড়ন্ত ধূলিরাশি = ধূলিপটল।
আঘাতের বদলে আঘাত প্রতিঘাত = প্রত্যাঘাত।
আয়নায় প্রতিফলিত মূর্তি = প্রতিবিম্ব।
আড়ম্বরপূর্ণ কথারম্ভ = ভণিতা।
আভিধানিক অর্থ ভিন্ন অন্য অর্থের দ্যোতনা = ব্যঞ্জনা।
আগমনে প্রতিশ্রুত নায়কের অনাগমন হেতু দুঃখার্তা নায়িকা = বিরহোৎণ্ঠিতা।
আলোকরশ্মির বিবিধ বর্ণে বিশ্লেষণ = বিচ্ছুরণ।
আচ্ছাদনযুক্ত বৃহৎ বারান্দা = দরদালান।
আহ্বান করা হয়েছে যাকে = আহূত।
আগন্তুক সৈন্যের নিবাসস্থান = নিবেশ, শিবির।
ই
ইন্দ্রের অশ্ব = উচ্চৈঃশ্রবা।
ইন্দ্রের সারথি = মাতলি।
ইন্দ্রের হস্তী = ঐরাবত।
ইন্দ্রকে জয় করেছেন যিনি = ইন্দ্রজিৎ।
ইন্দ্রিয়কে জয় করেছেন যিনি = জিতেন্দ্রিয়।
ইষ্টক নির্মিত গৃহ = প্রাসাদ।
ইতিহাস জানেন যিনি = ঐতিহাসিক।
ঈ
ঈষৎ উষ্ণ = কবোষ্ণ, কদুষ্ণ।
ঈষৎ রক্তবর্ণ = অরুণ।
ঈশ্বরের অস্তিত্বে যে বিশ্বাসী = আস্তিক।
ঈশ্বরের অস্তিত্বে যে অবিশ্বাসী = নাস্তিক, নিরীশ্বর, নিরীশ্বরবাদী।
ঈশ্বর-প্রেরিত দূত = পয়গম্বর।
ঈশ্বরের জন্যে ব্যাকুল গায়ক, সাধক = বাউল।
ঈষৎ বক্র = বঙ্কিম।
ঈষৎ পাণ্ডুবর্ণ = ধূসর।
উ
উদরান্নের জন্যে খাটে যে = অন্নদাস, পেটভাতা।
উপেক্ষার যোগ্য = উপেক্ষণীয়।
উচ্চৈঃস্বরে কথন = ঘোষণা।
উই মাটির ঢিবি = বীক।
উচু নীচু যে স্থান = বন্ধুর।
উচ্চ বর্ণের পুরুষের সঙ্গে নিম্নবর্ণের স্ত্রীলোকের বিবাহ = অনুলোম।
উপকার করার ইচ্ছা = উপচিকীর্ষা।
উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে = কৃতজ্ঞ।
উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে = অকৃতজ্ঞ।
উপকারীর অপকার করে যে = কৃত।
উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োগ করার ক্ষমতা = প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব।
উচ্চরবে গীতকারী = উদগাতা।
উভয় তটের মধ্যবর্তী জলস্রোত = তটিনী।
উচ্চ নিনাদ = নির্ঘোষ।
উৎসব উপলক্ষে প্রদত্ত পারিতোষিক = পাবণি।
উভয় পাশে বৃক্ষশ্রেণীযুক্ত পথ = বীথি, বীথিকা, বীথী।
উপকারের বিনিময়ে উপকার = প্রত্যুকার।
উভয় তীর [পার] আছে যার = পারাবার।
উচ্চপদে প্রতিষ্ঠিত = পদস্থ।
উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্যে তোষণের দ্বারা কারও আমোদ সৃষ্টি = তোষামোদ।
উদ্দাম নৃত্য [পুরুষের] = তাণ্ডব।
উটের শাবক = করভ।
উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ধন = রিক্থ।
ঊ
ঊর্ধ্ব ও বক্রভাবে যা গমন করে = তরঙ্গ।
উর্ণা নাভিতে যার = ঊর্ণনাভ।
ঊর্ধ্ব থেকে নিম গমন = অবতরণ।
ঋ
ঋণ দান করে যে = উত্তমর্ণ।
ঋণ গ্রহণ করে যে = অধমর্ণ।
ঋষির দ্বারা উক্ত = আর্য।
এ
একই গুরুর শিষ্য = সতীর্থ।
একই মায়ের পুত্র = সহোদর।
একই সয়ে বর্তমান = সমসাময়িক।
একদিন তিন তিথির মিলন = ত্র্যহস্পর্শ।
একটুতে যে রেগে ওঠে = রগচটা, বদরাগী।
একসঙ্গে নৃত্য, গীত ও বাদ্য = তেত্রিক।
একবার কিছু দান করে যে পুনরায় তা ফেরত নেয় = দত্তাপহারী, দত্তহারী।
একান্ত গুপ্ত = নিগূঢ়।
এণ’র (হরিণের] মতো অক্ষি যার = এণাক্ষী।
ঐ
ঐশ্বর্যের অধিকারী = ঐশ্বর্যবান।
ও
ওজন পরিমাপের যন্ত্র = তুলাদণ্ড।
ঔ
ঔষধ পাওয়া যায় যেখানে = ঔষধালয়।
ক
ক্ষমা করবার ইচ্ছা = তিতিক্ষা।
কন্যাকালে [কুমারী অবস্থায়] জাত = কানীন।
কুন্তীর পুত্র = কৌন্তেয়।
কুরুর পুত্র = কৌরব।
কূলের বিরুদ্ধে = প্রতিকৃল।
কৃষি মাতা যে দেশের = কৃষিমাতৃক।
কর্ণ পর্যন্ত = আকৰ্ণ।
কণ্ঠ পর্যন্ত = আকণ্ঠ।
ক্রমাগত বৃদ্ধিশীল = ক্রমবর্ধমান।
কোকিলের ডাক = কুহু।
কর দেয় যে = করদ।
কনুই থেকে কবজি পর্যন্ত বাহুভাগ = প্রকোষ্ঠ।
কনুইর ওপরের বাহুভাগ = প্রগণ্ড।
কণ্ঠ পর্যন্ত আগত = কণ্ঠাগত। কৃত্তি [বাঘের ছাল] বাস যার = কৃত্তিবাস। ক্রমশঃ উচু যে পথ = চড়াই।
কানের [পুরুষের] অলংকার = কুণ্ডল।
কণ্ঠের [পুরুষের] অলংকার = কণ্ঠী।
ক্রমশঃ নীচু যে পথ = উতরাই।
যা ক্ষণকালের জন্যে স্থায়ী = ক্ষণস্থায়ী।
কুল ও শীল যার জানা নেই = অজ্ঞাতকুলশীল।
কাকের চক্ষুর মতো স্বচ্ছ = কাকচক্ষু।
কোন বিষয়ে যে শ্রদ্ধা হারিয়েছে = বীতশ্রদ্ধ।
কাজ করতে যে দেরী করে = দীর্ঘসূত্রী।
কি করতে হবে যে বুঝতে পারে না = কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
কোন কিছু থেকে যার ভয় নেই = অকুতোভয়।
কৃষিই জীবিকা যার = কৃষিজীবী।
কষ্টে যা বারণ করা যায় = দুর্বার।
ক্ষণকালের মধ্যেই যা ভেঙে যায় = ক্ষণভঙ্গুর।
কোন বিষয়ে সম্পূর্ণ না জেনে সব বিষয় কিছু কিছু জানা = পল্লবগ্রাহিতা।
কুকর্মে সহযোগ = সাজশ।
খ
খেয়া পার করে যে = পাটনি।
খেলায় পটু যে = খেলোয়াড়।
খরচের হিসাব নেই যার = বেহিসেবী।
খ-কে দ্যুতিময় করে যে = খদ্যোত।
গ
গমন করবার ইচ্ছা = জিগমিষা।
গৃহে থাকে যে = গৃহস্থ।
গৃহে পালিত হয় যে বা যারা = গৃহপালিত।
গাড়ী চালায় যে = গাড়োয়ান।
গোরুর ন্যায় বেচারী = গোবেচারী।
গাণ্ডীব ধনু যার = গাণ্ডীবধন্বা।
গঙ্গার পুত্র [থেকে জাত] = গাঙ্গেয়।
গর্জনকারী ও জলবর্ষী মেঘ = পর্জন্য।
গম্ভীর ধ্বনি = মন্দ্র।
গোরুর গাড়ি = গন্ত্রী।
গোষ্ঠের অধ্যক্ষ = গোবিন্দ।
গোরুর চোখের মতো ক্ষুদ্র বায়ুপথ = গবাক্ষ।
গরু থাকে যেখানে = গোষ্ঠ।
গোরুর পায়ের দ্বারা চিহ্নিত স্থান = গোষ্পদ।
গান করে যে = গায়ক।
গোপনে সংবাদ সংগ্রহ করে যে = গুপ্তচর।
গানের তাল সম্বন্ধে যার ধারণা নেই = তালকানা।
গম্ভীর শব্দ = নিঘোষ।
গুরুর বাসগৃহ = গুরুকুল।
গভীর রাত্রি =নিশীথ, নিশুতি।
গাছের পাতায় তৈরী পাত্র = পত্রপুট।
গৃহস্থের মঙ্গলের জন্যে পূজার্চনা = পৌরোহিত্য।
গৃহে স্থায়ীভাবে বাসকারী দুষ্ট ব্যক্তি = বাস্তুঘুঘু।
ঘ
ঘাম ঝরছে যার = গলদঘর্ম।
ঘর নেই যার = হা-ঘরে।
ঘোড়ার ঘাস কাটে যে = ঘেসেড়া।
ঘুরপাক খেয়ে উদ্দাম নৃত্য = তুর্কীনাচন।
চ
চীন দেশে প্রস্তুত রেশমী কাপড় = চীনাংশুক।
চক্ষুর প্রসাধন দ্রব্য = অঞ্জন।
চতুরঙ্গ সেনা-বিশিষ্ট বাহিনী = অক্ষৌহিণী।
চোখে যা দেখা যায় বা চক্ষুর দ্বারা যা দৃষ্ট বা লব্ধ = চাক্ষুষ।
চোখের পাতা ফেলতে যেটুকু সময় লাগে = পলক।
চক্রের প্রান্তভাগ = নেমি।
চতুরঙ্গ শক্তির উপযুক্ত স্থাপনা = ব্যূহ।
চিরকাল ধরে যা চলছে = চিরন্তন।
চোখের কোণ = অপাঙ্গ।
চিবিয়ে খাবার যা উপযুক্ত = চর্ব্য।
যা চুষে খাবার যোগ্য = চূষ্য, চোষ্য।
চৈত্র মাসে উৎপন্ন = চৈতালী।
চক্ষু ইত্যাদি ইন্দ্রিয়ের দ্বারা প্রাপ্ত = গোচর। চোখের তারা = কনীনিকা। চিরকাল মনে রাখার যোগ্য = চিরস্মরণীয়।
চোখের পাতা = নিমিষ, নিমেষ, পলক।
চোখের জল = অশ্রু।
চিতাবশেষের ওপর নির্মিত স্তৃপ = চৈত্য।
চার খণ্ডে চেরা = চৌচির।
ছ
ছবি আঁকে যে = চিত্রকর।
ছল করে কান্না = মায়াকান্না।
ছিদ্রপথে আগত আলোক রশ্মিতে দৃশ্যমান্ ধূলিকণা = ত্রসরেণু।
ছুতারের কাজ = তক্ষণ।
জ
জয় করবার ইচ্ছা = জিগীষা।
জানবার ইচ্ছা = জিজ্ঞাসা।
জয়সূচক [মাঙ্গল্য] উৎসব = জয়ন্তী।
জুয়া খেলে যে = জুয়াড়ী।
জল ধরে রাখার জায়গা = জলাধার।
জন্ম থেকে অন্ধ = জন্মান্ধ।
জন্ম থেকে = আজন্ম।
জানু পর্যন্ত = আজানু।
জানু পর্যন্ত যার বাহু লম্বিত = আজানুলম্বিতবাহু।
জ্বল জ্বল করছে যা = জাজ্বল্যমান।
জলে আর্দ যে ভূমি = জলা বা জলাভূমি।
জনপদের বাসিন্দা = জানপদ।
জলে চরে যে = জলচর।
জলে ও স্থলে চরে যে = উভচর।
জলে জন্মে যা = জলজ।
জরা নেই যার = অজর।
জাতি ও বর্ণ বিচার না করে = জাতিবর্ণনির্বিশেষে।
জাতি থেকে ভ্রষ্ট = জাতিভ্রষ্ট।
জীবিত থেকেও মৃতবৎ = জীবত।
জ্বলৎ যে শিখা = জ্বলদর্চি।
জলের মতো পাতলা = পয়রা।
জল-নিকাশের নালী = জলপ্রণালী, পয়ঃপ্রণালী।
জলমিশ্রিত চালবাটা = পিটালি।
জনকল্যাণের নিমিত্ত খনন ও নির্মাণকার্য = পূর্ত।
জাহাজের নিরাপদে থাকার স্থান = পোতাশ্রয়।
জলযানসমূহের শ্রেণী = বহর।
জয় উপলক্ষে নির্মিত স্তম্ভ = জয়স্তম্ভ।
জীবন ধারণের জন্যে গৃহীত বৃত্তি = জীবিকা।
জয়শীল যে = জয়িষ্ণু।
জরা কর্তৃক সন্ধ্যা যার = জরাসন্ধ।
জলসেচনের পাত্র = সেচনী।
জীর্ণ বস্ত্র = চীর।
জীবনের দৈনিক বিবরণ = রোজনামচা, দিনলিপি।
জ্যেষ্ঠ অবিবাহিত থাকতে যে কনিষ্ঠ বিবাহ করে = পরিবেত্তা।
জ্যেষ্ঠ অবিবাহিত থাকা সত্ত্বেও কনিষ্ঠের বিবাহ = পরিবেদন।
ঝ
ঝন ঝন শব্দ = ঝনক্কার।
ঝড় বা বাতাসের প্রবল ধাক্কা = ঝাপট।
ঠ
ঠাকুরের ভাব = ঠাকুরালি।
ঠেঙিয়ে যারা দস্যুতা করে = ঠ্যাঙড়ে।
ড
ডাক বহনকারী কর্মচারী = ডাক-হরকরা।
ডাকের মতো বুক যার = ডাকাবুকো।
ডুব দিতে পটু যে = ডুবুরি, ডুবারী।
ডানার অভ্যন্তর=পক্ষপুট।
ঢ
ঢাকের প্রবল আওয়াজ = ঢক্কানিনাদ।
ঢেউয়ের মতো উচু নীচু = ঢেউখেলানো।
ত
তনু থেকে জাত = তনুজ।
তন্তু থেকে জাত = তন্তুজ।
ত্বরায় গমন করে যে = তুরগ, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম।
তীর চালনায় যে পটু = তীরন্দাজ।
তটে থাকে যে = তটস্থ।
তীরের দ্বারা বিদ্ধ = তীরবিদ্ধ।
তিন তিথির মিলন = ত্র্যহস্পর্শ।
তিন দিকে = ত্রিধা।
তিন যামের সমাহার = ত্রিযামা।
তিন ফলের সমাহার = ত্রিফলা।
তিনবার অঞ্জলি দিয়ে তর্পণ = তিনাঞ্জলি।
তরঙ্গ আছে যার = রঙ্গিণী।
তন্তু বয়ন করে যে = তন্তুবায়।
তড়িৎ আছে যাতে = তড়িত্বান্।
তবলা বাজায় যে = তবলচী।
তিন স্রোত বিশিষ্টা নদী = ত্রিধারা, ত্রিস্রোতা।
তিন কালের বিষয় জানেন যিনি = ত্রিকালজ্ঞ।
তিন কালের ঘটনা যিনি দেখতে পান = ত্রিকালদর্শী।
তোপের ধ্বনি = গুড়ুম।
দ
দেখবার যোগ্য = দ্রষ্টব্য, দর্শনীয়।
দূরকে যিনি দেখতে পান না = অদূরদর্শী।
দূরকে দেখার শক্তি = দূরদৃষ্টি। দনুর পুত্র = দানব।
দিতির পুত্র = দৈত্য। দুদিকের হার [অনুপাত] সমান যার = দোহারা। দুয়ের মধ্যে একটি = অন্যতর।
দ্বার রক্ষা করে যে = দ্বারী, দৌবারিক।
দু’দিকে = দ্বিধা।
দু’দিকে জল আছে যার = দ্বীপ।
দু’বার জন্ম গ্রহণ করে যে = দ্বিজ।
দু’ভাবে জল পান করে যে = দ্বীপ।
দ্বীপের সদৃশ = উপদ্বীপ।
দুই রথীর যুদ্ধ = দ্বৈরথ।
দ্বীপে জন্ম যার = দ্বৈপায়ন।
দিনের শেষ ভাগ = অপরাহু।
দিনের আলো ও রাতের অন্ধকারের সন্ধিক্ষণ = গোধূলি।
দর্শন শাস্ত্রে যিনি পারদর্শী = দার্শনিক।
দশরথের পুত্র = দাশরথি।
দূতের কাজ = দূতালি।
দূতীর কাজ = দূতীয়ালি।
দৃষ্টির অগোচর = অদৃশ্য।
দু’রকম অর্থ যার = দ্ব্যর্থক।
দুহাত যার সমান ভাবে সচন [তীর নিক্ষেপ] করতে সক্ষম = সব্যসাচী। দাড়ি গোফ জন্মায়নি যার = অজাতশ্মশ্রু।
দান করা উচিত = দাতব্য।
দগ্ধ করা যায় যা = দাহ্য।
দার পরিগ্রহ করেনি যে = অকৃতদার।
দ্বারে থাকে যে = দ্বারস্থ।
ধ
ধূলায় পরিণত = ধূলিসাৎ।
ধূম উদ্গিরণ করছে যা = ধূমায়মান।
ধুর বা ভার বহন করে যে=ধুরন্ধর।
ধুরা বা চাকার মধ্যবর্তী দণ্ড ভেঙেছে যার = বিধুর।
ধনুকের শব্দ = টংকার, বিস্ফার।
ন
নিতান্ত দগ্ধ হয় যে সময় = নিদাঘ।
নদী মাতা যে দেশের = নদীমাতৃক।
নাভি পর্যন্ত লম্বিত হার = ললন্তিকা।
নীর [জল] দান করে যে = নীরদ।
নেই রদ [দাঁত] যার = নীরদ।
নেই শক্তি যার = অশক্ত।
নেই আসক্তি যার = অসক্ত, অনাসক্ত, নিরাসক্ত।
নগরের শান্তি রক্ষা করেন যিনি = নগরপাল।
নাটকের রচয়িতা = নাট্যকার।
নাটকের অভিনয় হয় যেখানে = নাট্যশালা।
নব রত্নের সমাহার = নবরত্ন। ন্যায়শাস্ত্রে পারদর্শী = নৈয়ায়িক।
নিদারুণ মনঃকষ্ট = অন্তর্দাহ, অন্তর্জালা।
নেই উপমা যার = অনুপ, অনুপম, [স্ত্রী] নিরুপমা।
নেই তুলনা যার = অতুলন, অপ্রতিম, [স্ত্রী] অতুলনা, নিরুপম [স্ত্রী] নিরুপমা।
নারীর নৃত্য = লাস্য।
নৌ-চলাচলের যোগ্য = নাব্য।
নৌ-চালনা করে যে = নাবিক।
নৌ-চালনার দণ্ড = অরিত্র, দাড়, হাল।
নতুন চাল খাবার অনুষ্ঠান = নবান্ন।
নেই অপরাধ যার = নিরপরাধ।
নেই দোষ যার = নির্দোষ।
নেই অভিমান যার = নিরভিমান।
নেই অলংকার যার = নিরলংকার।
নেই করুণা যার = নিষ্করুণ।
নীল আভা যার = নীলাভ।
নমস্কারের যোগ্য = নমস্য।
প
পঙ্কে জন্মে যে = পঙ্কজ
পান করবার ইচ্ছা = পিপাসা।
পুরু বংশে জাত = পৌরব।
পৃথার (কুন্তীর] পুত্র = পার্থ।
প্রস্তুতি ছাড়া যে বক্তৃতা = উপস্থিত বক্তৃতা।
প্রভাত হয়-হয় = প্রভাতকল্প।
পরিণামে যে কি হবে দেখার ক্ষমতা নেই যার = অপরিণামদর্শী।
পশ্চাতে জন্মে যে = অনুজ।
পা দিয়ে পান করে যে = পাদপ।
পা থেকে মাথা পর্যন্ত = আপাদমস্তক।
পানের অযোগ্য = অপেয়।
বক্র ভাবে গমন করে যে = ভুজগ, ভুজঙ্গ, ভুজঙ্গম।
পূর্বজন্মের কথা যে স্মরণ করতে পারে = জাতিস্মর।
পা ধোবার জল = পাদ্য।
পরিতুষ্ট হয়ে যা দেওয়া হয় = পারিতোষিক।
পুরাকালের বিষয় যিনি জানেন = পুরাতাত্ত্বিক।
পার হবার জন্য যে মূল্য = পারানি।
পতিপুত্রহীনা নারী = অবীরা।
পণ্ডিত হয়েও যিনি মূখ = পণ্ডিতমূর্খ।
পত্নী যার মৃত = বিপত্নীক, মৃতদার।
প্রথমে মধুর = আপাতমধুর।
পরিমিত কথা বলে যে = মিতভাষী।
পূর্বে অপরের বাগদত্তা বা স্ত্রী ছিল যে = অন্যপূর্বা।
পথে সৌভাগ্যে যে কাতর = পরশ্রীকাতর।
প্রিয়বাক্য বলে যে নারী = প্রিয়ংবদা।
প্রত্যাখ্যান নায়কের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর যে নারী মনস্তাপ করে = কলহান্তরিতা।
পুরুষের উদ্দাম নৃত্য = তাণ্ডব।
পাখির কলরব = কাকলি, কুজন।
মৃগের [পশুর] চামড়া =অজিন।
মৃগের [পশুর] চলার পথ = মার্গ।
পরিব্রাজকের বৃত্তি = প্রব্রজ্যা।
পরিব্রাজকের ভিক্ষা = মাধুরী।
পল মিশ্রিত অন্ন = পলান্ন।
পথ চলার খরচ = পাথেয়।
পরস্পর আলিঙ্গন = কোলাকুলি।
পা-ধোওয়া জল = পাদোদক।
পাটের মত রং = পাটল।
পাখীর ডানার ঝাপট = পাখনাট।
প্রভাতের নবোদিত সূর্য = বালার্ক, বালসূর্য।
প্রভাতে গেয় সংগীত = প্রভাতী।
পরের মুখ চেয়ে থাকে যে = পরমুখাপেক্ষী।
পরের অন্নে যে জীবন ধারণ করে = পরান্নজীবী।
পূর্বে যা শোনা যায়নি = অশ্রুতপূর্ব।
পূর্বে যা দেখা যায়নি = অদৃষ্টপূর্ব।
পুনঃ পুনঃ যা জ্বলছে = জাজ্বল্যমান।
পুনঃপুনঃ যা দীপ্তি পাচ্ছে = দেদীপ্যমান।
পুনঃ পুনঃ যে রোদন করছে = রোরুদ্যমান।
পিষ্ট দ্রব্যের গন্ধ = পরিমল।
পুত্র কামনায় অনুষ্ঠেয় যজ্ঞ = পুত্রেষ্টি।
ফ
ফল পাকলে যে গাছ মরে যায় = ওষধি।
ফেলে দেবার যোগ্য = ফেলনা।
ফুলের গন্ধে সুবাসিত = ফুলেল।
ব
বার্ধক্যহেতু শুভ্রতা প্রাপ্ত = পলিত।
বৃদ্ধি পাচ্ছে যা = বর্ধিষ্ণু।
বর্ধিষ্ণু গ্রাম = কসবা, গণ্ডগ্রাম।
বলা হবে যা = বক্ষ্যমাণ।
বলা হয়েছে যা = উক্ত।
বাক্যে যা প্রকাশ করা যায় = অনির্বচনীয়।
বহু দেখেছেন যিনি = বহুদর্শী, ভূয়োদর্শী।
বিদেশে যে থাকে = প্রবাসী।
বিনাশ নেই যার = অবিনশ্বর।
বেঁচেও যে মরে আছে = জীবমৃত।
বুকে হেঁটে গমন করে যে = উরগ।
ব্যাকরণ জানেন যিনি = বৈয়াকরণ।
বিনা বেতনে কাজ করে যে = অবৈতনিক।
বালকের অহিত = বালাই।
বারো মাসের কাহিনী = বারমাস্যা, বারমাসিয়া।
বহু [বেশী] কথা বলে যে = বাচাল।
বিচার না করে কাজ করে যে = অবিমৃষ্যকারী, অবিমৃশ্যকারী।
বিধবা যে নারীর সন্তান নেই = বেওয়া।
বর্ণমালার পারম্পর্য রক্ষা করে = বর্ণানুক্রমিকভাবে।
বাক্য ও মনের অতীত = অবাঙ্মনসগোচর।
বলার যোগ্য নয় যা = অকথ্য।
বন্দোবস্তের অভাব = বেবন্দোবস্ত।
ব্যবস্থার অভাব = অব্যবস্থা।
বেদান্ত জানেন যিনি = বৈদান্তিক।
বেদ জানেন যিনি = বেদজ্ঞ।
বাঘের ছাল = কৃত্তি।
বীণার ধ্বনি = ঝংকার।
বিষ্ণুর শঙ্খ = পাঞ্চজন্য।
বিল ডোবা ইত্যাদি ক্ষুদ্র জলাশয় = পল।
বৃহৎ পুষ্করিণী = বাপী।
বনে প্রস্থান করা হয় যে আশ্রমে = বানপ্রস্থ।
বিহায়সে (আকাশে] গমন করে যে = বিহগ, বিহঙ্গ, বিহঙ্গম।
বয়সে সকলের বড় = বয়োজ্যেষ্ঠ।
বয়সে সকলের ছোট = কনিষ্ঠ।
বেলাভূমিকে অতিক্রম করেছে যে = উদ্বেল।
বিধিকে অতিক্রম না করে = যথাবিধি।
পাপ দূর করে যে = পাপঘ্ন, পাপহর।
বিদেশে যার পত্নী [ভার্যা] থাকে = প্রোষিতপত্নীক [প্রোষিতভার্য]।
বয়ে চলেছে যা = বহতা, বহমান।
বৃহৎ বৃক্ষ = বনম্পতি।
বৃহৎ অরণ্য = অরণ্যানী।
বিক্রয়ের দলিল = বয়নামা।
বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান = বিদ্রোহ।
বিধবা হওয়ার পর পুনরায় বিবাহিত নারী = পুনর্ভ।
বাগদত্তা হওয়ার পর ভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহিতা নারী =পুনর্ভূ।
ভ
ভিক্ষার অভাব = দুর্ভিক্ষ।
ভূষণাদির শব্দ = শিঞ্জন, টুংকার।
ভ্রমরের শব্দ = গুঞ্জন।
ভবিষ্যতে যা ঘটবে = ভবিতব্য।
ভগীরথের আনীত নদী = ভাগীরথী।
ভাবা যায় না যা = অভাবনীয়।
ভেতর থেকে গোপনে ক্ষতিসাধন = অন্তর্ঘাত।
ভোজনের ইচ্ছা = বুভুক্ষা।
ভ্রমণ করানো হচ্ছে যাকে = ভ্রাম্যমাণ।
ভেকের ডাক = মকমক।
ম
মুক্তি লাভের ইচ্ছা = মুমুক্ষা।
মৃত্যু যার নিকটবর্তী = মুমূর্ষ।
মর্মকে পীড়া দেয় যা = মর্মন্তুদ, মর্মপীড়।
মর্মে আঘাত দেয় যে = মমঘাতী।
মাথা পেতে নেবার যোগ্য = শিরোধার্য।
মনুর পুত্র = মানব।
ময়ূরের কণ্ঠের মত রং যার = ময়ূরকণ্ঠী।
মমতা নেই যার = নির্মম।
মায়া [ছলনা] জানেন না যিনি = অমায়িক। মৃত্যু [মরণ] পর্যন্ত = আমৃত্যু [আমরণ]।
মৃত্যু কামনায় উপবাস = প্রায়োপবেশন।
ময়ূরের ডাক = কেকা।
মজুরের পারিশ্রমিক = মজুরী।
মিথ্যা প্রবোধ = স্তোক।
মৃগের জলভ্রমে তৃষ্ণা যাতে = মৃগতৃষ্ণা, মৃগতৃষ্ণিকা।
মধু পান করে যে = মধুপ
মান্য ব্যক্তির বিদায়কালে কিয়দ্র তার সহগমন = অনুত্ৰজন।
মুনির ভাব = মৌন।
মৃতবৎ স্পন্দহীন = ম্রিয়মাণ।
মুষ্টির দ্বারা পরিমাপের যোগ্য = মুষ্টিমেয়।
য
যা বৃদ্ধি পাচ্ছে = বর্ধিষ্ণু।
যা ক্ষয় পাচ্ছে = ক্ষয়িষ্ণু।
যা পুনঃ পুনঃ দুলছে = দোদুল্যমান।
যা পুনঃ পুনঃ জ্বলছে = জাজ্বল্যমান।
যে পুনঃ পুনঃ কাঁদছে = রোরুদ্যমান।
যা উড়ে যাচ্ছে = উড়ন্ত, উড্ডীয়মান।
যে শুয়ে আছে = শয়ান।
যা আসবে = আগামী।
যা হবে = ভাবী।
যা লঙ্ঘন করা যায় না = অলঙ্ঘ্য।
যা অতিক্রম করা যায় না = অনতিক্রম্য।
যা সহ্য করা যায় না = অসহ্য।
যা আরোহণ করতে কষ্ট হয় = দুরারোহ।
যাকে সহজে দমন করা যায় না = দনীয়, দুর্দম।
যাতে একবার মাত্র মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়েছে = একমেটে।
যাতে দুবার মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়েছে = দোমেটে।
যে কষ্ট সইতে পারে = কষ্টসহিষ্ণু।
যারা একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াত করে = যাযাবর।
যে নিজেকে পণ্ডিত মনে করে = পণ্ডিতম্মন্য।
যে নারী সূর্যকে দেখেনি = অসূর্যম্পশ্যা।
যে নারীর বিবাহ হয়নি = অনূঢ়া, অবিবাহিতা।
যা সহজে ভেঙে যায় = ভঙ্গুর।
যে সম্পত্তি স্থানান্তরিত করা যায় না = স্থাবর।
যে সম্পত্তি স্থানান্তরিত করা যায় = অস্থাবর।
যাতে বিসংবাদ নেই = অবিসংবাদিত, অবিসংবাদী।
যা বপন করা হয়েছে = উপ্ত।
যে হাতে কলমে কাজ করে দক্ষতা লাভ করেছে = করিতকর্মা।
যা চিন্তা করা যায় না = অচিন্ত্যনীয়, অচিন্ত্য।
যা গতিশীল = জঙ্গম।
যে লাফিয়ে চলে = প্লবগ।
যা সহজে লঙঘন করা যায় না = দুর্লঙ্ঘ্য।
যা পরিহার করা যায় না = অপরিহার্য।
যা নিবারণ করা যায় না = অনিবার্য।
যার পরিমাণ করা যায় না = অপরিমেয়।
যা সহজে লাভ করা যায় = সুলভ।
যা কষ্টে লাভ করতে হয় = দুলর্ভ।
যা সহজে জানা যায় না = দুর্ভেয়।
যা অদূর ভবিষ্যতে হবার কোন আশা নেই = সুদূরপরাহত।
যা আতপ থেকে রক্ষা করে = আতপত্র।
যে সুপথ থেকে বিচলিত হয়েছে = উন্মার্গগামী।
যে নারীর সম্প্রতি বিবাহ হয়েছে = নবোঢ়া।
যে পায়ে হেঁটে গমন করে না = পন্নগ (পদ+ন+গ]।
যে নারী একবার মাত্র গর্ভ ধারণ করে = কাকবন্ধ্যা।
যে নারীর সন্তান বাঁচে না = মৃতবৎসা।
যে পরিমিত কথা বলে = মিতভাষী।
যে জনরব শুনে হাজির হয় = রবাহুত।
যার জিভ লকলক করে = লেলিহান।
যে অর্থ নিয়ে কারবার শুরু হয় = মূলধন।
যে শিক্ষা করছে = শিক্ষানবিশ।
যে বালিতে পা দিলে পা ডুবে যায় = চোরাবালি।
যার বিবাহ হয় নি = অকৃতদার।
যে নদীর জল পূণ্যদায়ক = পুণ্যতোয়া।
যে শোনা মাত্র মনে রাখতে পারে = শ্রুতিধর।
যে সব সহ্য করতে রে = সর্বংসহ।
যা পূর্বে ঘটেনি = অভূতপূর্ব।
যা পূর্বে হয়নি = অপূর্ব।
যার শত্রু জন্মেনি = অজাতশত্রু।
যা অস্বীকার করা যায় না = অনস্বীকার্য।
যা হেমন্ত কালে জন্মে = হৈমন্তিক।
যে সাপ ধরতে পটু = সাপুডে সাপুড়িয়া।
যা সারাদিন ব্যবহৃত হয় = আটপৌরে।
যার সর্বস্ব অপহৃত হয়েছে = হৃতসর্বস্ব
যার কুল ও শীল জানা নেই = অজ্ঞাতকুলশীল।
যা অতি [খুব] দীর্ঘ নয় = নাতিদীর্ঘ।
যা অতি শীতও নয়, উষ্ণও নয় = নাতিশীতোষ্ণ।
যা হতে পারে না = অসম্ভব।
যে গলায় কাপড় দিয়েছে = গললগ্নীকৃতবাস।
যে ভূমির উৎপাদিকা শক্তি নেই = অনুর্বরা।
যে জমির মাটি লবণাক্ত বা ক্ষারময় বা যে জমিতে ফসল ফলে না = উষর।
যে গাছে বছরে দুবার ফল ধরে = দোলা।
যে জমিতে বছরে দু’বার ফসল ধরে = দোফসলী।
যার উদ্দেশ নেই = নিরুদ্দেশ।
যার খাজনা দিতে হয় না = নাখেরাজ।
যে নারীর হাসি শুচি = শুচিস্মিতা।
যে কোন অবলম্বন ছাড়াই থাকে = নিরালম্ব।
যার কিছুই নেই = নিঃস্ব, অকিঞ্চন।
যাকে শাসন করা কঠিন = দুঃশাসন।
যে বৃক্ষের ফুল হয় না, ফল হয় = বনস্পতি।
যার নীচে জল থাকে = অন্তঃসলিলা।
যে অন্যের কথা কানে দিয়ে কলহ সৃষ্টি করে = কান-ভাঙনে।
যুদ্ধে স্থির থাকেন যিনি = যুধিষ্ঠির।
যার তলদেশ স্পর্শ করা যায় না = অতলস্পর্শী।
যা শেখা হয়েছে = অধিগত।
যা লেহন করা হয়েছে = লীঢ়।
যে উড়তে পারে=উড়ক্কু।
যে অস্ত্র কেবল একজনকে হত্যা করতে পারে = একাঘ্নী।
যা কষ্টে কল্পনা করা হয়েছে = কষ্টকল্পিত।
যে অপরের রচিত সাহিত্যের ভাব-ভাষা চুরি করে নিজের বলে চালায় = কুম্ভিলক, কুম্ভীলক।
যে সাফল্যের সঙ্গে কর্ম সম্পাদন করেছে = কৃতকার্য, কৃতকৃত্য।
যিনি বিদ্যার্জন করেছেন = কৃতবিদ্য।
যে কান-ভাঙানি দিয়ে বিবাদ বাধায় = কোটনা, (স্ত্রী) কুটনী।
যুদ্ধের ঢাকের শব্দ = পটহ।
যে ব্যক্তি কর্মে আসক্ত = তৎপর।
যে ব্যক্তি অলস = কুণ্ঠ।
যে নায়িকার নায়ক সংকেত-স্থানে আসে না = বিপ্রলব্ধা।
যে নারীর নিঃশ্বাসে পুরুষের মৃত্যু হয় = বিষকন্যা।
যে হ্রদ সমুদ্রের সঙ্গে সংযুক্ত = উপহ্রদ।
যে যুদ্ধ থেকে পলায়ন করে না = সংশপ্তক।
যে অবিবাহিতা জ্যেষ্ঠা বিদ্যমানে কনিষ্ঠাকে বিবাহ করে = অগ্রেদিধিষু। যে স্ত্রীর স্বামী পুনরায় বিবাহ করে = অধ্যূঢ়া।
যে বৃক্ষের পত্র সকল ঋতুতে হরিদ্বর্ণ = চিরহরিৎ।
যার স্পর্শে মৃত জীবন লাভ করে = জিয়নকাঠি।
যুদ্ধে ব্যবহৃত শঙা = তূরী, তূর্য।
যা, ক্রমিক পরম্পরাযুক্ত = ধারাবাহিক।
যে পরের বুদ্ধিতে চলে = পরচ্ছন্দ।
যে ব্রাহ্মণ সর্বদা অগ্নি প্রজ্বলিত রাখে = সাগ্নিক।
যে নিত্য, হোম করে = অগ্নিহোত্রী।
যজ্ঞকারী পুরোহিত = হোতা।
যার সর্বস্ব হৃত হয়েছে = হৃতসর্বস্ব।
যে একের ভাষা অপরকে বুঝিয়ে দেয় = দোভাষী।
র
রাত্রিকালীন যুদ্ধ = সৌপ্তিক।
রাজ্য ও সিংহাসন = রাজ্যপাট।
রক্তবর্ণ পদ্ম = কোকনদ।
রাজপথে যে ডাকাতি করে = রাহাজানি।
রাত্রির মধ্যভাগ = মহানিশা।
রাজ পরিবারের লোক = রাজন্য।
রাত্রির সূচনাকাল = প্রদোষ।
ল
লাভ করবার ইচ্ছা = লিপ্সা।
লক্ষ করবার যোগ্য = লক্ষণীয়
[স্ত্রীলোকের] ললাটের অলংকার = ললাটিকা, ললাম।
লাঠি খেলায় যে পটু = লেঠেল, লাঠিয়াল।
লুট করে যে = লুঠেরা।
লকলকে জিহ্বা যার = লেলিহান ।
শ
শুনবার ইচ্ছা = শুশ্রষা।
শত্রুকে বধ করে যে = শত্রুঘ্ন।
শত্রুকে জয় করে যে = শত্রুজিৎ।
শশকের মতো ব্যস্ত = শশব্যস্ত।
শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী।
শুভক্ষণে জন্মেছে যে = ক্ষণজন্মা।
শোক নেই যার = অশোক।
শোক দূর হয়েছে যার = বীতশোক।
শব্দ শুনে যে লক্ষ্য-ভেদে সমর্থ = শব্দভেদী।
শষ্পাবৃত ভূমি = শাদ্বল।
শৃঙ্গ নির্মিত খাদ্য = শিঙা।
শৃঙা বাজায় যে = শৃঙ্গনাদী।
শুষ্কপত্রের ধ্বনি = মর্মর।
স
সহ্য করা যার স্বভাব = সহিষ্ণু।
সন্ন্যাস নিয়ে ভ্রমণ = প্রব্রজ্যা।
সরোবরে জন্মে যে = সরোজ, সরসিজ।
সাক্ষাৎ দ্রষ্টা = সাক্ষী।
স্মৃতি জানেন যিনি = স্মার্ত।
সামান্য উষ্ণ = কবোষ্ণ।
সর্বজন সম্বন্ধীয় = সার্বজনীন।
সর্বজনের কল্যাণকার = সর্বজনীন।
সুহৃদের ভাব = সৌহার্দ্য, সৌহৃদ্য।
সকুলে জাত = কুলীন।
সাপের খোলস = নির্মোক।
স্ত্রীলোকের কেশবিন্যাস = কবরী।
স্বামীর চিতায় আরোহণ পূর্বক প্রাণত্যাগ = সহমরণ।
সর্বভূমিতে বিদিত = সার্বভৌম।
সকল লোক কর্তৃক স্বীকৃত = সর্বদিসম্মত।
সৌভাগ্যবতীর পুত্র = শ্রীবৎস।
হ
হনন [হত্যা বা বধ] করবার ইচ্ছা = জিঘাংসা।
হৃদয়ের প্রীতিকর = হৃদ্য।
হস্তী, অশ্ব, রথ ও পদাতিকের সমাহার = চতুরঙ্গ।
হস্তীর চিৎকার = বৃংহণ, বৃংহিত।
হরিণের চামড়া = অজিন।
হস্তমুখ প্রক্ষালন = আচমন।
হস্তীর থাকার স্থান = বারী, পিলখানা।
হস্তী বন্ধনের স্তম্ভ = আলান।
হস্তী বন্ধনের শৃঙ্খল = নিগড়।
হস্তীর শাবক = করভ।
হস্তী চালনার অস্ত্র = অঙ্কুশ।
হাতের গ্রন্থী = মণিবন্ধ।
হাতে লেখা পুস্তকের খসড়া = পাণ্ডুলিপি।
হাতীর পায়ের মতো মোটা থাম = পিলপা।
হাস্যরসাত্মক নাটক = প্রহসন।
প্রয়োগ দৃষ্টান্ত
১. ধনীদিগের অর্থ লাভের ইচ্ছা অত্যন্ত প্রবল। > ধনীদিগের অর্থলিপ্সা অত্যন্ত প্রবল।
২. জানিবার ইচ্ছার দীপশিখা জ্বালিয়া মানুষ অজানার অন্ধকারে পাড়ি দিয়াছে। > জিজ্ঞাসার দীপশিখা জ্বালিয়া মানুষ অজানার অন্ধকারে পাড়ি দিয়াছে।
৩. নেতাজী সুভাষচন্দ্রের নাম ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে চিরকাল পুনঃ পুনঃ জ্বল জ্বল করিতে থাকিবে। > নেতাজী সুভাষচন্দ্রের নাম ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে চির-জাজ্বল্যমান থাকিবে।
৪. ভারতের উত্তরে হিমালয় > আকাশকে লেহন করিতেছে। > ভারতের উত্তরে অভ্রংলিহ হিমালয়।
৫. সমুদ্রের তীরে সূর্যোদয়ের শোভা সত্যই ভাষায় প্রকাশ করা যায়। > সমুদ্রের তীরে সূর্যোদয়ের শোভা সত্যিই অনির্বচনীয়।
৬. দ্বিজেন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথের অগ্রে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। > দ্বিজেন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথের অগ্রজ।
৭. মানুষের মন কি কাচের মতো সহজে ভাঙ্গিয়া যায়? > মানুষের মন কি কাচের মতো ভঙ্গুর?
৮. এই সামান্য দোষত্রুটি উপেক্ষার যোগ্য। > এই সামান্য দোষত্রুটি উপেক্ষণীয়।
৯. অহংকারের পতন অবশ্যই হইবে। > অহংকারের পতন অবশ্যম্ভাবী।
১০. যুগের যন্ত্রণায় বর্তমানের যবনিকা। কাপিতেছে। > যুগের যন্ত্রণায় বর্তমানের যবনিকা কম্পমান।
১১. আদর্শ উদ্যাপনের পথে রয়েছে বাধা, যা দুঃখে লঙ্ঘন করতে হয়। > আদর্শ উদ্যাপনের পথে রয়েছে দুর্লঙ্ঘ্য বাধা।
১২. যা নিবারণ করা যায় না, তা মাথা পেতে নিতে হয়। > যা অনিবার্য, তা শিরোধার্য।
১৩. যাহারা শুনিবার ইচ্ছা করিতেছিল, তাহারা মরিতে ইচ্ছুককে ঘিরিয়া বসিল। > যাহারা শুশ্রূষা করিতেছিল, তাহারা মুমূর্ষকে ঘিরিয়া বসিল।
১৪. বীটপাল আর ধীমান যাদের নামের বিনাশ নেই । >‘বীটপাল আর ধীমান যাদের নাম অবিনশ্বর।’
১৫. অনাহারে, অনিদ্রায় ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে তিনি আজ বাচিয়াও মরিয়া আছেন। > অনাহারে, অনিদ্রায় ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে তিনি আজ জীবন্মৃত।
১৬. পরিণাম চিন্তা না করে কাজ করার জন্যে যারা পরিণাম চিন্তা না করে কাজ করে, পরে তাদের দুঃখ পেতে হয়। > অবিমৃষ্যকারিতার জন্য অবিমৃষ্যকারীদের পরে দুঃখ পেতে হয়।
১৭. তিনি চিরকাল মাটির তৈরি ঘরেই বাস করতেন। > তিনি চিরকাল মেটে ঘরেই বাস করতেন।
১৮. পুরাকালের বিষয় যারা জানেন, তাদের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ভারতীয় সভ্যতা অতি সুপ্রাচীন। > পুরাতাত্ত্বিকদের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ভারতীয় সভ্যতা অতি সুপ্রাচীন।
১৯. কণ্ঠে নিলেম গান, আমার শেষ হবার কড়ি। > ‘কণ্টে নিলেম গান, আমা শেষ পারানির কড়ি।’
২০. অযোধ্যাবাসীরা রামচন্দ্রকে বিদায় জানাতে তাঁর অনুসরণ করে চলল। > অযোদ্যাবাসীরা রামচন্দ্রের অনুব্রজন করে চলল।
২১. ঈশ্বরীরে জিজ্ঞাসিল খেয়া পারাপারকারী ঈশ্বরী। > ঈশ্বরীরে জিজ্ঞাসিল ঈশ্বরী পাটনী।
২২. মধুসূদন ও বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন একই কালে বর্তমান। > মধুসূদন ও বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন সমসাময়িক।
২৩. শিশুরা আগন্তুকের পা থেকে মাথা পর্যন্ত নিরীক্ষণ করতে লাগল। > শিশুরা আগন্তুকের আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করতে লাগল।
২৪. তিনি ছিলেন ঘটনার সাক্ষাৎদ্রষ্টা। > তিনি ছিলেন ঘটনার সাক্ষী।
২৫. তাহার ভাগ্যে জুটিল এমন ভূমি, যাহার মাটি লবণাক্ত, ক্ষারময়, যাহাতে ফসল ফলে না। > তাহার ভাগ্যে জুটিল ঊষর ভূমি।
২৬. তিনি যা শুনতেন, তা মনে রাখতে পারতেন। > তিনি ছিলেন শ্রুতিধর।
Leave a Reply