বাংলাদেশের কবি নির্মলেন্দু গুণের কৃতিত্ব আলোচনা কর।
নির্মলেন্দু গুণ
পঞ্চাশ পরবর্তী ষাটের দশকের কবিরা আধুনিক যুগ সমস্যাকে সামনে রেখে কাব্যচর্চায় এগিয়ে আসেন। এ দশকের তরুণ কবিদের সামনে ঘটে যায় একের পর এক রাজনৈতিক সংঘাত। তাই ষাটের দশকের কবিদের রচনায় কেবল দেশ, মাটি, মানুষের কথাই নয় বরং আপোষহীন সংগ্রামের কথা বলিষ্ঠ কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে। এই দশকেরই অন্যতম প্রতিবাদী কবি নির্মলেন্দু গুণ (১৯৪৫-)। তাঁর কবিতার ছত্রে ছত্রে রয়েছে সংগ্রামের আহ্বান। বিশেষ করে ১৯৬৬-উত্তর পূর্ব পাকিস্তান ও স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অসহায়, দারিদ্র্যক্লিষ্ট জীবন ও নগর সভ্যতার বিকৃত মানসিকতা তাঁর কবিতায় বিদ্রোহী রূপ লাভ করেছে। তাঁর কবিতায় প্রতিবাদ সম্পর্কে তিনি বলেছেন— ‘‘আমার কবিতা আমার সংগ্রামী আত্মার হৃৎস্পন্দনচিত্র। আমার আত্মার আনন্দের সঙ্গে, উপলব্ধি ও আর্তির সঙ্গে একাকার হয়ে মিশেছে বলেই আমি যখন শ্রমিক-কৃষকের কথা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কথা বলি …দুর্বলের প্রতি অত্যাচার যখন ঘা দেয় আমার বুকে তখন আমার নয় বলে তাড়িয়ে দিই না তাকে, আপনার বলে সে অনায়াসে গৃহিত হয় আমার কবিসত্তার ভিতর-মহলে। এভাবেই আমার কবি চিত্ত অপরের নিতাদিনের জীবন সংগ্রামে যুক্ত হয়।’’ তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হলো— প্রেমাংশুর রক্ত চাই’ (১৯৭০), ‘না প্রেমিক না বিপ্লবী’ (১৯৭২), ‘কবিতা, অমীমাংসিত রমণী’ (১৯৭৩), ‘তার আগে চাই সমাজতন্ত্র’ (১৯৭৯), ‘দূর হ দুঃশাসন’ (১৯৮৩) প্রভৃতি। ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’ কাব্যে সমকালীন স্বদেশ, স্বদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজনীতির বৈষম্য, শোষণ-পরাজয় প্রভৃতি বর্ণিত হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৬৯-৭০ সাল গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সর্বত্র বিরাজ করছে রাজনৈতিক উৎকণ্ঠার ছাপ। এই রকম পরিস্থিতিতে কবি রচনা করেছেন ‘হুলিয়া’ কবিতাটি। কবিতাটিতে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনকে মিলিয়ে দিয়েছেন কবি। এই সময় কবি একটি মামলায় জড়িয়ে পড়ায় তাঁর নামে হুলিয়া জারি হয়েছিল। অন্যদিকে ১৯৬৯ সাল পূর্ব পাকিস্তানের ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ। এই সময় আইয়ুব খান দশ বছরের স্বৈরাচারী ক্ষমতা ভোগ করার পর সেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেন ইয়াহিয়া খানকে। তিনিও অত্যাচারের ধারা অব্যাহত রাখে। অসংখ্য রাজনৈতিক কর্মীদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি অনেকের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ হুলিয়া মাথায় নিয়েই স্বদেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রত্যাশা করেছেন। কবি বলেছেন—
ওরা প্রত্যেকেই জিজ্ঞেস করবে ঢাকার খবর:
-আমাদের ভবিষ্যৎ কী?
-আইয়ুব খান এখন কোথায়?
-শেখ মুজিব কি ভুল করছেন?
-আমার নামে আর কতদিন এরকম হুলিয়া ঝুলবে?
এ প্রশ্ন কবির একার নয় সমগ্র বাঙালি জাতির জিজ্ঞাসা কবির কলমে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। ব্যক্তিগত জীবনের চাওয়া পাওয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক জীবন সমান্তরাল ভাবে মিশে গেছে। ষাটের দশকের তরুণদের রাজনৈতিক সক্রিয়তা, বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীদের আত্মগোপন, তাঁদের উপর সরকারি নির্যাতন, আইয়ুব শাসনের দীর্ঘ অত্যাচার, শেখ মুজিবুর রহমানের রাজর্নতিক কর্মকাণ্ড প্রভৃতির মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির সামগ্রিক চিত্র ফুটে উঠেছে।
ধারাবাহিক রাজনৈতিক আন্দোলনের চাপে ইয়াহিয়া খান সাধারণ মানুষের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করেন। ১৯৭০ সালের ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে আওয়ামী লিগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে দেশের শাসন ক্ষমতা দখলের অন্যতম দাবিদার হয়ে ওঠেন। কিন্তু ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তরে অনীহা দেখালে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানকে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের উদ্দেশ্যে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে গণ-আন্দোলনের ডাক দেন। তিনি বলেন— ‘‘রক্ত যখন দিয়েছি আরো রক্ত দেবো। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে তুলবো ইনশাআল্লা। এবারের সংগ্রাম আমদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’’ আর এই ঘটনাকে কবিতায় রূপ দান করেছেন কবি যেখানে মুজিব এসেছেন রবীন্দ্রনাথের বেশে সমগ্র জাতিকে ইয়াহিয়া খানের সরকারের বিরুদ্ধে জাগিয়ে তুলতে—
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত
পায়ে হেঁটে
অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হৃদয়ে লাগিল দোলা
জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার সকল দুয়ার খোলা
কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি:
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
মুক্তিযুদ্ধ কীভাবে বাংলাদেশের কবিদের প্রভাবিত করেছিল তার প্রমাণ রয়েছে উপরোক্ত উচ্চারণে। বাংলাদেশকে স্বৈরাচারী বর্বরতার হাত থেকে মুক্ত করার সর্বাত্মক যুদ্ধে দেশবাসীর সঙ্গে কবিরাও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ ছিল বাঙালির অস্তিত্বের লড়াই।
মানুষ যে পরিবেশে জন্মগ্রহণ করে সেই পরিবেশ তাঁর মনন গঠন করে। কবি নির্মলেন্দু গুণ বেড়ে উঠেছেন অশান্ত রাজনৈতিক পরিবেশে। তাঁর চিন্তা-চেতনা, মননে স্বদেশ, স্বদেশের-সংগ্রামী মানুষ এবং রাজনৈতিক চক্রান্তের রোষানলে পতিত সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ। জীবনে বহু মানুষের সঙ্গে মেশার ফলে বিচিত্র অভিজ্ঞতা তাঁর হয়েছে। সর্বত্রই তাঁর তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। এমনকি স্বদেশের মাটিতে শান্তিতে বসবাস করার অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। তাই শাসকের বিরুদ্ধে তিনি বিষোদ্গার করেছেন। কবির কাম্যবস্তু ‘স্বাধীনতা’। সে স্বাধীনতা নামমাত্র একটি ভূ-খণ্ডের স্বাধীনতা নয়। স্বাধীনতার অর্থ বাক্ স্বাধীনতা, বেঁচে থাকার স্বাধীনতা। স্বাধীন দেশের মানুষ আজও পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ। কবি আক্ষেপ করে বলেন—
ব্রিটিশেরা দ্যাশ ছাড়িল
বিদায় হইল পাকিস্তান
বাংলাদেশও হইল তবু
হয় না দুঃখের অবসান।
স্বাধীন হইলাম মুক্তি পাইলাম না।
এই মুক্তির জন্য কবি রক্ত ঝরিয়ে মিছিলে দাঁড়িয়েছেন, আন্দোলন করেছেন। তিনি দেখেছেন বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও বাতাসে শোষণের বিষবাষ্প ছড়িয়ে আছে। শোষক শ্রেণিকে তিনি সরাসরি তিরস্কার করেছেন। ধিক্কার দিয়েছেন। একরাশ ঘৃণার মধ্যে দিয়ে শোষকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন,‘দূর হ দুঃশাসন’। শোষিত-বঞ্চিত মানুষগুলোকে মাথা তুলে দাঁড়াবার শক্তি জুগিয়েছেন তাঁর কবিতার মধ্য দিয়ে। তিনি বলেছেন—
আমরা হানিব
মরণ আঘাত দুর্নীতির,
আমরা হানিব লোহার হাতুড়ী
অত্যাচারীর উচ্চশির।
সমাজ ও স্বদেশ চেতনা কবিকে উদ্বুদ্ধ করেছে অসীম সাহসী হতে। এদের কৃষক-মজুর-শ্রমিকশ্রেণিই অর্থনীতির মূলস্তম্ভ। গায়ের রক্ত জল করে এরা সভ্যতার বুনিয়াদ রচনা করে নিজেরাই প্রদীপের অন্ধকারে থেকে যায়। কবি দেখেছেন এদের শ্রম নিয়ে এক শ্রেণির মানুষ বিত্তের পাহাড় তৈরি করেছেন। এদের মুখে অহরহ শোনা যায় গণতন্ত্রের কথা, সমাজতন্ত্রের কথা। রাজনৈতিক নেতাদের এই ফাঁপা বুলি কবির কাছে প্রহসনের মতো শোনায়। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের মানুষের মতো কবিও প্রত্যাশা করেছেন গণতন্ত্রের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা। কারণ বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্রের ভিত্তিতে। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ জন্মলগ্ন থেকেই সংকটের মধ্যে দিয়ে অগ্রসর হয়েছে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ এর মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। সেইসঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতাও সমান্তরালে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর শাসন ক্ষমতা দখল করেন জিয়াউর রহমান। তিনি ১৯৮১ সালে নিহত হলে শাসন ক্ষমতা দখল করেন জেনারেল এরশাদ। তাঁর আমলে শোষণ, স্বৈরতন্ত্রের স্বেচ্ছাচারিতা, প্রশাসনের সামরিকীকরণ, সাম্প্রদায়িকতা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পায়। তাঁর আমলে তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৮৫-৯০) মূলত বেসরকারি বিনিয়োগকে লক্ষ করেই রূপায়িত হয়েছিল।ফলে বিদেশি রাষ্ট্রের সাহায্যের উপরেই বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হয়েছিল। দেশীয় শিল্পকে তিনি গুরুত্ব না দেওয়ায় দেশীয় অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল। পূর্ববর্তী শাসক জিয়াউর রহমান বাঙালির রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চেতনা ধ্বংসের যে চক্রান্ত শুরু করেছিলেন তাকে সফল রূপদান করেন তার উত্তরসূরি এরশাদ। সামরিক প্রধান এরশাদ দেশের এমন কোনো মাধ্যম বাকি রাখেন নি যেখানে তাঁর হস্তক্ষেপ ঘটেনি। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলি ছিল তার করায়ত্ত, টেলিভিশনের সংবাদ শিরোনামে সর্বদাই তাঁর স্তাবকতা চলত। অন্যদিকে সাদারণ মানুষ ছিল অতিষ্ঠ। তাঁর এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঝলসে উঠল কবির কলম—
সংবিধান স্থগিত রেখে, গণপরিষদকে বাতিল ঘোষণা করে
আপনি যখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক মঞ্চে প্রবেশ করেন
তখন মধ্যরাত। চতুর্দিকে চিকচিক করছে অন্ধকার।
আপনার পরিচয় তখনও অস্পষ্ট।
……………………………….
কিন্তু আপনার পরিচয় খসিয়ে দিতে শুরু করলো সময়।
আপনার দুর্নীতিবিরোধী অভিযান রূপান্তরিত হলো
দল ভেঙে নিজস্ব দল গড়ার এক মোক্ষম হাতিয়ার।
কবরে শায়িত মৃত, পরিত্যক্ত শিক্ষানীতিকে পাকিস্তানের
বাতিল বাসকেট থেকে তুলে আনলেন আপনি।
বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের বুকের উপর চেপে বসা
পুঁজিবাদের জগদ্দল পাথরে দাঁড়িয়ে আপনি আজ যতই
পাহাড় থেকে নেমে আসা দুর্বার নদীর দিকে তাকান,
দেখবেন সমুদ্র খুব দূরে নয়। আমরা অপেক্ষা করতে জানি,
আমরা পাথর সরাতে জানি।
নির্মলেন্দু গুণের জীবন পরিক্রমায় লক্ষ করা যায় একটি বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে তিনি এক একটি পরিবর্তনের দিকে ক্রমশ এজিয়ে গিয়েছেন সামনের দিকে। তাঁর মননের এই ক্রমবিবর্তনের কারণ যুগের প্রভাব। তরুণ বয়সে রাজনৈতিক আন্দোলন তাঁর চিত্তে যে উদ্দীপনা তৈরি করেছে তার পরিচয় তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলো থেকে পাওয়া যায়। আপোষহীন কণ্ঠে কবি উচ্চারণ করলেন ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’ (১৯৭০)। কবির এই কাব্যভাবনা সম্পর্কে সমালোচক বলেছেন—‘‘তীব্র গণচেতনায় নির্মলেন্দু গুণ বৃহত্তর মানবিক দায়বোধে নেমে আসেন স্বদেশ, সমাজ, মানুষের জীবনের প্রাপ্য মিটিয়ে দিতে।’’ ১৯৭১-এর উত্তাল দিনগুলোকে পার করতে গিয়ে ১৯৭২-এ রচনা করলেন ‘না প্রেমিক না বিপ্লবী’। কবিতার পট পরিবর্তিত হলো। বিপ্লবের সঙ্গে এল নারী, প্রতিবাদের সঙ্গে যুক্ত হল প্রেম। এই ঘোরের মধ্যে কবি লিখলেন— ‘কবিতা, অমীমাংসিত রমণী’ (১৯৭৩), ‘দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী’ (১৯৭৪), ‘চৈত্রের ভালোবাসা’ (১৯৭৫)। কিন্তু ১৯৭৫ পরবর্তী রাজনৈতিক পটভূমিতে মার্কসবাদী ভাবনায় প্রভাবিত হলেন কবি। শোষিত, নিপীড়িত মানুষের হয়ে কমল ধরলেন, রচিত হল ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ (১৯৭৮), ‘তার আগে চাই সমাজতন্ত্র’ (১৯৭৯), ‘চাষাভূষার কাব্য’ (১৯৮১), ‘পৃথিবী জোড়া গান’ (১৯৮২), ‘দূর হ দুঃশাসন’ (১৯৮৩), ‘১৯৮৭’ (১৯৮৮) প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ। আসলে অন্যায়, উৎপীড়ন, দুঃশাসন কবির মনে ঘৃণার সঞ্চার করেছে। যা তাঁকে প্রতিবাদী করে তুলেছে।
Leave a Reply