চূড়ামণি দাসের গৌরাঙ্গ বিজয় বা গোবিন্দ বিজয় সম্পর্কে আলোচনা কর।
চূড়ামণি দাসের গৌরাঙ্গ বিজয় বা গোবিন্দ বিজয়
সুকুমার সেন ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে চূড়ামণি দাসের ‘গৌরাঙ্গ বিজয়’ প্রকাশ করেন। গ্রন্থটি ‘ভুবনমঙ্গল’ নামেও গ্রন্থ মধ্যে অভিহিত হয়েছে। পাঁচালি রীতিতে রচিত এই কাব্য লোচনদাসের কাব্যের মতো জনপ্রিয় হয়েছিল। বিভিন্ন পদসংকলনে চুড়ামণি দাসের পদ সংকলিত হয়েছে।
কাব্যটি অসম্পূর্ণ। সম্ভবত সপ্তদশ শতকের শেষার্ধে গ্রন্থটি রচিত। গ্রন্থটি আদি, মধ্য ও শেষ এই তিন খণ্ডে সমাপ্ত। গ্রন্থটির মধ্যে বহু জায়গায় ব্রজবুলির ভাষার প্রয়োগ লক্ষ করা যায়। কবি নিত্যানন্দের অনুচর ধনঞ্জয় পণ্ডিতের অনুপ্রেরণায় কাব্য রচনা করেন। চূড়ামণি দাসের উদ্দেশ্য ছিল চেতন্যের সংসার জীবনের বর্ণনা দান। তাই বর্ণনার মধ্যে রয়েছে বাস্তবতা। এই বাস্তবতার সঙ্গে কবির রসদৃষ্টি মিলিত না হওয়ায় কাব্যটি খুব একটা উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি।
Leave a Reply