//
//

ত্রিপদী ছন্দ কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্যগুলি উদাহরণসহ আলোচনা কর।

ত্রিপদী

যে ছন্দের প্রতি চরণে তিনটি পদ থাকে তাকে বলে ত্রিপদী ছন্দ।

ত্রিপদীর বৈশিষ্ট্য

ত্রিপদীর প্রধান বৈশিষ্ট্য

  • প্রতি চরণে তিনটি পদ থাকে। পদ গুলি সাধারণত স্বতন্ত্র পর্ব হয়।
  • প্রথম দুটি পর্ব বা পদ হয় সমমাত্রিক।
  • তৃতীয় চরণে পদ বেশী থাকতে পারে। ছন্দের ভারসাম্য রক্ষার জন্য এমন করা।
  • প্রথম পর্ব/পদ দুটি একই চরণে একটু ফাক অবস্থায় থাকে। তৃতীয় পর্ব। পদ দুটি পর্বের নীচে মধ্যভাগে বসে।
  • ত্রিপদীর শ্রেণিবিভাগ

ত্রিপদীর শ্রেণিবিভাগ

ত্রিপদী দু-প্রকার— (১) লঘু ত্রিপদী (২) দীর্ঘ ত্রিপদী

লঘু ত্রিপদী

চরণের পর্ব বিন্যাস সাধারণভাবে ৪+৪+৬ কিংবা ৬+৬+৮ হয়। তিন প্রকার প্রধান ছন্দেই লঘু ত্রিপদী হতে পারে।

(ক) শুধু বিঘে দুই। ছিল মোর ভুঁই ৬+৬

আর সবই গেছে। ঋণে ৬+২

বাবু কহিলেন। বুঝেছ উপেন ৬+২

এ জমি লইব । কিনে। ৬+৬

(খ) নমো নমো নমঃ সুন্দরী মম। ..

জননী বঙ্গভূমি। গঙ্গার তীর। স্নিগ্ধ সমীর। ৬+৬

জীবন জুড়ালে তুমি। ৮

দীর্ঘ ত্রিপদী

চরণের মাত্রা হয় ৮+৮+১০। অন্ত্যমিল থাকে।

(১) অঘ্রাণের শীতের রাতে। নিষ্ঠুর শিশিরাঘাতে ৮+৮

পদ্মগুলি গিয়াছে ঝরিয়া।

সুদাম মালীর ঘরে। কাননের সরোবরে ৮+৮

একটি ফুটেছে কি করিয়া। ১০

(২) কত বিদগ্ধ জন। রসে অনুগমন ৮+৮

অনুভব কাহু না পেখ। ১০

বিদ্যাপতি কহ। প্রাণ জুড়াইতে ৮+৮

লাখে না মিলল এক। ১০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!