//
//

পৌরাণিক নাটক কাকে বলে? একটি পৌরাণিক নাটক আলোচনা কর।

পৌরাণিক নাটক

নাটকের বিষয়ভিত্তিক বিভাগের অন্যতম, এবং সম্ভবত প্রধানতম বিভাগ পৌরাণিক নাটক। অন্তত বাংলা নাটক সম্বন্ধে এ কথা একশো ভাগ প্রযোজ্য, কারণ পৌরাণিক নাটক দিয়েই বাংলা নাটকের জয়যাত্রা শুরু। এই ধরনের নাটকেই আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য যাত্রাপালার সঙ্গে তার পার্থক্যের সূত্রগুলিও স্পষ্ট। পৌরাণিক নাটক আমাদের কাছে যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একথাও স্বীকার করতে হবে। পুরাণ মানেই ভক্তিমূলক বিষয় এবং ভক্তিমূলক কিছু পেলে বাঙালীর আবেগ উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে যে, তা আজকের দিনেও ধর্মমূলক কোনো যাত্রাপালা এমনকি ছায়াছবি এলেও বুঝতে পারা যায়। গিরিশচন্দ্র ঠিকই বলেছিলেন—“হিন্দুস্থানের মনে মর্মে ধর্ম, মর্মাশ্রয় করিয়া নাটক লিখিতে হইলে ধর্মাশ্রয় করিতে হইবে।”

ঐতিহাসিক দিক থেকে বিচার করলে লেবেডফের আকস্মিক এক নাটকীয় প্রয়াস বাদ প্রথম বাংলা পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক তারাচরণ শিকদারের ‘ভদ্রার্জুন’কে পৌরাণিক নাটকই বলতে হবে। প্রায় একই সময়ে, ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দেই লেখা হয় যোগেন্দ্রচন্দ্র গুপ্তের ‘কীর্তিবিলাস’ যদিও তাকে পুরাণকথা বলা হবে, না রূপকথা, এ নিয়ে সংশয় আছে। এই দুটি নাটকের অব্যবহিত পরেই আমরা পাই মধুসূদন দত্তের ‘শর্মিষ্ঠা’, মনোমাহন বসুর ‘রামাভিষেক’, রামনারায়ণ তর্করত্নের ‘রুক্মিণীহরণ’ প্রভৃতি। অবশ্য বাংলা পৌরাণিক নাটকের শ্রেষ্ঠ পুরুষ এখনও পর্যন্ত বলা হয় গিরিশচন্দ্র ঘোষকে।

পুরাণ বলতে সাধারণভাবে রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবত বোঝালেও পৌরাণিক অভিধানের মতে পুরাণ—“অতি প্রাচীনকালের প্রসিদ্ধ ব্যক্তি ও সমাজ-ধর্ম ইত্যাদি অবলম্বনে রচিত আখ্যায়িকা।…পুরাণ দুই ভাগে বিভক্ত—মহাপুরাণ ও উপপুরাণ। মহাপুরাণের সংখ্যা ১৮; যথা—ব্রহ্ম, পদ্ম, বিষ্ণু, শিব, ভাগবত, নারদ, মার্কণ্ডেয়, অগ্নি, ভবিষ্য, ব্রহ্মবৈবর্ত, লিঙ্গ, বরাহ, স্কন্দ, বামন, কূর্ম, মৎস্য, গরুড় ও ব্রহ্মাণ্ড।” নাটকের বিষয়বস্তু হিসাবে অবশ্য বিভিন্ন লৌকিক পুরাণও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

পুরাণ বলতে এই যে ব্যাপক বিষয়ের উল্লেখ করা হল, এর মধ্যে সাদৃশ্যসূত্র একটাই আছে, সেটা হল ভক্তিপ্রগাঢ় কাহিনী। পৌরাণিক নাটকেরও প্রধান লক্ষণ সেটাই—ভক্তিরসগাঢ়তা। সংস্কৃত আলংকারিকগণ যে নবরসের উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে ভক্তির স্থান না থাকলেও বৈষ্ণব তাত্ত্বিকগণ রতিভাবকে কৃষ্ণরতিতে রূপান্তরিত করে তার সিদ্ধিকে বলেছেন প্রেমরস বা ভক্তিরস। আমরা সেইভাবেই ভক্তিরস ব্যাপারটিকে বুঝে নিতে পারি।

প্রচলিত ছক হিসাবে পৌরাণিক নাটকে কয়েকটি সাধারণ ব্যাপার আমরা লক্ষ করতে পারি, যেমন—অদৃষ্টবাদ, অলৌকিকতা, নীতির প্রতিষ্ঠা, অবতারত্ব, ভক্তি ও বিশ্বাসের জয়, ভগবৎ উচ্ছ্বাস থাকা সত্ত্বেও আলংকারিকদের শান্তরসের প্রভাব, মৃত্যু ও বিচ্ছেদ দ্বারা সমাপ্তি না ঘটিয়ে পরলোকে মিলন ও প্রশান্তি দেখানো প্রভৃতি। আসলে সাধারণ মানুষের মনে অনেক রকম সংস্কারের মতো দৈবী সংস্কারও থাকে, ধর্মভাব ও সংস্কারের যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তাদের মনে থাকে, পৌরাণিক নাট্যকার তার সদ্ব্যবহার করে থাকেন। তাই দেবদেবী চরিত্রের মতোই পৌরাণিক নাটকেও ভূত-প্রেত, ডাকিনী-যোগিনী, যমদূত-দেবদূত ইত্যাদিরাও ঘন ঘন আবির্ভূত হয়ে থাকে।

কিছুটা এই কারণে এবং কিছুটা ভিন্ন কারণে পৌরাণিক নাটককে কেউ কেউ আধুনিককালের সাহিত্য-প্রকরণ হিসাবে মানতে চান না। আধুনিক সাহিত্য যুক্তিলালিত, অথচ পেীরাণিক নাটকে যুক্তির স্থান গ্রহণ করে ভক্তি। যুক্তি দিয়ে যাকে কোনরকমেই ব্যাখ্যা করা যায় না, ভক্তি তাকে অনায়াসে গ্রহণ করতে পারে। ভক্তি যেহেতু পৌরাণিক নাটকে প্রাণরস সঞ্চার করে, সাহিত্য হিসাবে তাকে আধুনিক প্রকরণ বলে মানাটাই ঠিক নয় বলে অনেকের ধারণা। আবার কোনো কোনো সমালোচক বলেন ‘পৌরাণিক নাটক’ কথাটির মধ্যে এমন স্ববিরোধ আছে যে একে প্রায় অসম্ভব বলাই ভালো। নৈয়ায়িক শৃঙ্খলা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নাটকের বৈশিষ্ট্য, নির্বিচার গ্রহণ বা ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু’ গোছের মানসিকতা পুরাণের আসল কথা—সুতরাং এ দুয়ের সমন্বয়ে যে ‘সোনার পাথরবাটি’ তৈরি হতে পারে তাকে অত আধুনিক সমালোচকদের গ্রাহ্য করা উচিত নয়।

আমাদের মনে হয় এ সব যুক্তিই গভীরভাবে ভেবে দেখবার মতো, কিন্তু তার চেয়ে, বড়ো যে শৈল্পিক সমস্যা ঘটতে পারে সেটা এই যে, যে-দ্বন্দ্বময়তা নাটকের প্রাণ, পৌরাণিক নাটকে তা পরিস্ফুট করার অসুবিধা আছে। দেবতার আধিপত্যে মধ্যযুগীয় সাহিত্যে যেমন মানুষের প্রতিরোধী সত্তা ফুটে উঠবার বিশেষ অবকাশ ছিল না, এখানেও দর্শক যখন চান দেবতার মহিমা এবং অলৌকিক লীলা, তখন দ্বন্দ্বময়তা প্রদর্শনের সুযোগ তো সেখানে অল্প।

এইসব সমস্যা মেনে নিয়েও বলতে হবে, পৌরাণিক নাটক রচনায় যাঁরা সামর্থ দেখিয়েছেন তাঁরা ভক্তি ও যুক্তির মধ্যে, নিদ্বন্দ্ব দৈবী আধিপত্য ও দ্বন্দময়তার সঙ্গে, একটা সুষ্ঠু সমন্বয়সাধনের শৈল্পিক প্রচেষ্টা করেছেন। পৌরাণিক নাটকের ঊষালগ্নে অলৌকিকতা ও মিথের বাড়াবাড়ি থাকলেও পরবর্তীকালে তাকে যুক্তি অনুশাসনে গ্রহণ করার একটা প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এই কারণে দেবত্ব অপেক্ষা পূর্ণ মানবত্বও ক্রমে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। যে দ্বন্দ্ব নাটকের প্রাণ, সেই দ্বন্দ্বও পৌরাণিক নাটকের উপজীব্য হয়ে উঠেছে কখনো দেবতার সঙ্গে মানুষের সংগ্রাম, কখনো আস্তিকতার সঙ্গে নাস্তিকতার, কখনো বা বিভিন্ন স্তরের ধর্মের মধ্যেই বিরোধ। একটি বাংলা পৌরাণিক নাটক বিশ্লেষণ করলে কথাটি ভালো করে বোঝা যাবে।

একটি সার্থক বাংলা পৌরাণিক নাটক

পৌরাণিক নাটকের প্রাণপুরুষ গিরিশচন্দ্র ঘোষের ‘বিল্বমঙ্গল’ নাটকটিকে পৌরাণিক নাটকের একটি ভালো দৃষ্টান্ত হিসাবে গ্রহণ করা যায় বলে আমাদের মনে হয়, কারণ এটিতে একদিকে যেমন পুষ্ট হয়েছে পৌরাণিক নাটকের ঈপ্সিত ভক্তিরস, অন্যদিকে এটি আধুনিক অর্থেই নাটক হয়ে উঠেছে।

নাট্যকার স্বয়ং অবশ্য এই নাটকের শ্রেণি উল্লেখ করতে গিয়ে বলেছেন, এটি ‘প্রেম ও বৈরাগ্যমূলক নাটক এবং যেহেতু বিল্বমঙ্গল চরিত্রটিকে নাভাজী-রচিত ‘ভক্তমাল’ গ্রন্থে অন্যতম ভক্ত হিসাবে পাওয়া যায়, একে অনেক চরিতনাটকও বলে থাকেন। তা সত্ত্বেও প্রকৃতিতে একে যে পৌরাণিক নাটক ছাড়া অন্য কিছু মনে করা সম্ভব নয় সে কথা ব্যাখ্যা কর। যেতে পারে।

‘বিল্বমঙ্গল’ নাটকের কাহিনী এক কথায়, একটি সাধারণ বেশ্যাসক্ত মানুষের ভগবৎ প্রেমে উন্মত্ত হওয়ার কাহিনি। অবশ্য সাধারণ মনে হলেও ‘বিল্বমঙ্গল’ যে চিন্তামণি নামক এক গণিকার কাছে দেহের প্রলোভনেই যেত না, তার মনে যে প্রকৃত প্রেম প্রচ্ছন্ন ছিল, তা চিন্তামণির কথা থেকেই বোঝা যায়—“কাছ থেকে নড়তে দেবে না; সমস্ত রাত ভ্যা ভ্যা মাথামুন্ডু নেই। ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি।”

প্রেমের এই প্রমত্ত আবেগ মনে লালন না করলে পিতৃশ্রাদ্ধের দিন সমস্ত বাধা উপেক্ষা চিন্তামণির কাছে আসার মতো অসাধ্যসাধন সে করতে পারতো না। এর পর সে যখন চিন্তার কাছে সে শুনেছে—“এই মন, আমি বেশ্যা, যদি আমায় না দিয়ে হরিপাদপদ্মে দিতে—তোমার কাজ হত!” তখনই বিল্বমঙ্গলের মনে কথাটি একেবারে আমূল গভীরতায় ঢুকে গিয়েছে। প্রেমেরই সার্থকতা খুঁজতে চেয়েছে সে তার পরমার্থ ঈশ্বর-প্রেমের মধ্যে, বলেছে—

কোথায় সে প্রেমের পাথার

মম প্রেমের প্রবাহ মিশে যাহে হবে লয়?

এরপরই তার কঠোরকঠিন, যন্ত্রণাবিক্ষত ভগবৎ আরাধনা—শেষপর্যন্ত যা সার্থক হয়ে উঠেছে।

যে কোনও শ্রেণির নাটক-বিচারেই আমাদের প্রধান বিচার্য হওয়া উচিত তা নাটক হয়েছে। কিনা এবং সেই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় ‘বিল্বমঙ্গল’ অত্যন্ত উচ্চস্তরের নাটক, কারণ এখানে আমরা একেবারে আধুনিক দ্বন্দ্ব দেখতে পাই ব্যক্তির নিজের সঙ্গেই নিজের বিরোধ, তার প্রেমিক সত্তার সঙ্গে অধ্যাত্ম সত্তার বিরোধ এবং তার বিচিত্র এক সমীকরণ, যেখানে উপনীত হলে বিল্বমঙ্গল চিন্তামণিকে বলতে পারে তার প্রেমশিক্ষাদাতা।

প্রথাগত বিচারে ‘বিল্বমঙ্গল’-কে পৌরাণিক নাটক বলার অসুবিধা নিশ্চয়ই আছে কারণ এর বিষয়বস্তু পুরাণ হিসাবে নির্দিষ্ট কোনো গ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়নি, রামায়ণ বা মহাভারত থেকেও নাট্যকার এই আখ্যান গ্রহণ করেননি। কিন্তু পৌরাণিক নাটকের অঙ্গীরস যে ভক্তি, তা এই নাটকে সর্বাংশে আছে—আলংকারিকদের ভাষায় বলা যায়, এর ঔচিত্য কোনো মতেই ক্ষুণ্ন হয়নি। সেই হিসাবে বলতে হবে, পৌরাণিক নাটক হিসাবে এর আস্বাদ্যমানতা সম্পূর্ণই বজায় আছে। উপরন্তু নাটক হিসাবেও এটি অনেক প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। কারণ উপাদান যেখান থেকেই সংগৃহীত হোক, আধুনিক সাহিত্যে মানবিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত বা আশা-আকাঙ্ক্ষার কাহিনিই আমরা শুনতে চাই। ‘বিল্বমঙ্গল’ সেদিক থেকে আধুনিক দর্শকের কাছেও রুচিকর হবে, কারণ সাধারণ একটি মানুষের কামনা এবং সেই কামনার উর্ধায়নই এখানে পরিস্ফুট করার চেষ্টা করা হয়েছে—ফলে পৌরাণিক নাটকেও নাট্যকার আশ্চর্যভাবে মানবিক স্বার্থ ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন।

এই কৌশল আমরা অন্যত্রও দেখি। পৌরাণিক নাটকে অনেক অবাস্তব ও অপার্থিব লীলা দেখাতে হয় যাতে ভক্তপ্রাণ দর্শক তা উপভোগ করতে পারেন। দর্শক সম্বন্ধে অতিঅভিজ্ঞ গিরিশচন্দ্র তা স্মরণ রেখেছেন এবং শ্রীকৃষ্ণের অলৌকিক মহিমা এই নাটকে অনেক প্রদর্শন করেছেন। শ্রীকৃষ্ণকে রাখাল বেশে দেখিয়েও তার পরিতৃপ্তি হয়নি, শেষ দৃশ্যে দোলমঞ্চে তিনি রাধাকৃষ্ণের যুগললীলা দেখিয়েছেন। কিন্তু এই প্রসঙ্গেই একটা কথা স্মরণ রাখতে হবে, কুশলী নাট্যকার কখনো অলৌকিক লীলাকে নাটকের প্রত্যক্ষ কাহিনীর সঙ্গে যুক্ত করেন না। অলৌকিক বা অতিপ্রাকৃতকে তিনি জনরুচির স্বার্থে গ্রহণ করেন কিন্তু শিল্পের স্বার্থে তাকে করে রেখে দেন বহিরঙ্গ উপকরণ। এই নাটকেও আমরা অলৌকিক লীলা বেশ কয়েকবারই দেখতে পেয়েছি, তার মধ্যে প্রধান অবশ্য অন্ধ বিল্বমঙ্গলের পুনর্বার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া। কিন্তু একে যদি আমরা রূপক হিসাবে দেখি, ছদ্মবেশী শ্রীকৃষ্ণ জীবনে আবির্ভূত হবার পর তার চোখে এলো নতুন দৃষ্টি বা নতুন করে দেখবার ক্ষমতা তাহলে বোধহয় এই রকম জোরালো অলৌকিক ঘটনাকেও আমরা মেনে নিতে পারি।

সচেতন দর্শককে এ কথাটা বোঝাবার জন্য, অথবা মানবিক নাটকের মধ্যে অলৌকিক গরবেশ তৈরি করবার জন্য, আর একটি কৌশলের প্রয়োগ করেছেন নাট্যকার। নাটকে তিনি সাধারণভাবে ব্যবহার করেছেন গদ্য সংলাপ এবং সে গদ্য একেবারেই মুখচলতি ভাষা, অথচ যে-মুহূর্তে নাটকে আধ্যাত্মিক ব্যঞ্জনা সৃষ্টির প্রয়োজন ঘটেছে অথবা অলৌকিকের ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে, নাট্যকার প্রয়োগ করেছেন তার বিশিষ্ট গৈরিশ ছন্দ। যেমন বিল্বমঙ্গলের প্রথম কাব্যছন্দের ব্যবহারের উল্লেখ করা যায়। অত্যন্ত সাধারণ সংলাপই নাট্যকার ব্যবহার করেছেন তার মুখে, অথচ যে মুহূর্তে তাকে আন্দোলিত করার মতো কথা সে শোনে চিন্তার মুখে, সেই মুহূর্তে তার মুখের সংলাপের চরিত্র-পরিবর্তন ঘটে—

এই পরিণাম।

এই নরদেহ

জলে ভেসে যায়,

ছিড়ে খায় কুকুর শৃগাল,

কিম্বা চিতাভস্ম পবন উড়ায়।

এই নারী—এরও এই পরিণাম।

নশ্বর সংসারে,

তবে হায়! প্রাণ দিছি কারে?

কাজেই, অলৌকিক লীলাকে বহুল পরিমাণে ব্যবহার করা সত্ত্বেও তাকে নাটকের বহিরঙ্গ উপাদানে পরিণত করে, দর্শকের রুচিকে মান্য করেও শিল্পের দাবী অক্ষুণ্ন রেখে এবং মানুষের অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রখরতায় একে আধুনিক দর্শকের উপভোগ্য করে গিরিশচন্দ্র যে এই নাটকে সার্থক পৌরাণিক নাটকের সংবেদন সৃষ্টি করতে পেরেছেন এ বিষয়ে কোনও সংশয় নেই।

তথ্যসূত্র:

কাব্যজিজ্ঞাসা – অতুলচন্দ্র গুপ্তDownload
কাব্যতত্ত্ব: আরিস্টটল – শিশিরকুমার দাসDownload
কাব্যমীমাংসা – প্রবাসজীবন চৌধুরীDownload
ভারতীয় কাব্যতত্ত্ব – নরেন বিশ্বাসDownload
ভারতীয় কাব্যতত্ত্ব – অবন্তীকুমার সান্যালDownload
কাব্যজিজ্ঞাসার রূপরেখা – করুণাসিন্ধু দাসDownload
কাব্য-শ্রী – সুধীরকুমার দাশগুপ্তDownload
সাহিত্যের রূপরীতি ও অন্যান্য – কুন্তল চট্টোপাধ্যায়Download
সাহিত্য ও সমালোচনার রূপরীতি – উজ্জ্বলকুমার মজুমদারDownload
কাব্যালোক – সুধীরকুমার দাশগুপ্তDownload
কাব্যপ্রকাশ – সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তDownload
নন্দনতত্ত্ব – সুধীর কুমার নন্দীDownload
প্রাচীন নাট্যপ্রসঙ্গ – অবন্তীকুমা সান্যালDownload
পাশ্চাত্য সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্যভাবনা – নবেন্দু সেনDownload
সাহিত্য প্রকরণ – হীরেণ চট্টোপাধ্যায়Download
সাহিত্য জিজ্ঞাসা: বস্তুবাদী বিচার – অজয়কুমার ঘোষDownload

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!