প্রত্নকলাবৃত্ত ছন্দ কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্য উদাহরণসহ আলোচনা কর।
প্রত্নমাত্রাবৃত্ত/ প্রত্নকলাবৃত্ত
প্রত্নমাত্রাবৃত্ত/ প্রত্নকলাবৃত্তের বৈশিষ্ট্য
প্রত্নমাত্রাবৃত্ত/ প্রত্নকলাবৃত্তের বেশ কিছু রীতি সাধারণ মাত্রাবৃত্ত রীতির মতো হলেও, দীর্ঘস্বর সাধারণত দু-মাত্রার হয়। এর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যও আছে। যেমন—
- মুক্তদল গুলি প্রয়োজনানুসারে দু-মাত্রা হয়, বিশেষ করে প্রসারিত উচ্চারণে।
- রুদ্ধদল অনেক সময় একমাত্রা হয়, বিশেষ করে অপ্রসারিত উচ্চারণে।
- যৌগিক/যুগ্মস্বর, হসন্ত-অনুস্বরান্ত-বিসর্গান্ত অক্ষর প্রসারিত হয় এবং দ্বিমাত্রিক হয়।
- বিশেষ করে চরণের অন্তে মৌলিক স্বরান্ত বা দীর্ঘ স্বর বা অক্ষরদল থাকলে তা দ্বিমাত্রিক হয়।
- লয় মধ্যম হলেও স্পষ্ট সুর থাকে।
- স্বর/সুর ক্ষেপনের উপর এর মাত্রাবিন্যাস নির্ভর করে। আধুনিক কবি রবীন্দ্রনাথ। প্রত্নমাত্রাবৃত্ত রীতিতে বহু গান ও কবিতা রচনা করেছেন। ‘জনগণমন অধিনায়ক’ প্রত্নমাত্রাবৃত্তের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
- এর মূল পর্ব ৪, ৬, ৭ বা ৮, মাত্রার হয়ে থাকে।
উদাহরণ
কা আ | তরুবর | পঞ্চবি। ডাল ৪+৪+৪+৪
চঞ্চল চী এ | পইঠো | কাল। ৪+৪+৪+৪
লক্ষ্যণীয় কা, আ, ডাল, ল, চী, এ, ঠো, কা, ল, মুক্তদল হলেও প্রসারিত হয়েছে এবং দু-মাত্রা হয়েছে। সাধারণ মাত্রাবৃত্তে এমনটা হয় না। বিশেষ করে দীর্ঘস্বরগুলি সবই দু-মাত্রা হয়েছে।
Leave a Reply