রঙ্গমঞ্চের ইতিহাসে প্রেডিডেন্সি থিয়েটারের অবদান আলোচনা কর।
প্রেসিডেন্সি থিয়েটার
(১৯১৭-১৮)
প্রেসিডেন্সি থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয় বেঙ্গল থিয়েটার মঞ্চে। প্রতিষ্ঠা করেন পি. সি. চ্যাটার্জি নামে এক ভদ্রলোক। থিয়েটার কোম্পানী লিমিটিড তৈরি করে তাঁর ম্যানেজিং ডিরেক্টার পি. সি. চ্যাটার্জী নতুন সব অভিনেতা-অভিনেত্রী নিয়ে নাট্যদল তৈরি করেন। তারাই বেঙ্গল থিয়েটার মঞ্চে থেসপিয়ান থিয়েটার বন্ধ হয়ে গেলে, সেখানে প্রেসিডেন্সি থিয়েটার চালু করলেন। শিল্পীদের মধ্যে তারক পালিত, ভুবনেশ মুস্তাফি, অবিনাশ চট্টোপাধ্যায়, চারুশীলা, গোলাপসুন্দরী প্রভৃতি ছিলেন।
১৯১৭ খ্রিস্টাব্দের ১৩ অক্টোবর থিয়েটারের উদ্বোধন হয়, অভিনীত নাটক ‘বাঙ্গালী পল্টন’ (সতীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) ও ‘নিশার স্বপন’ গীতিনাট্য। নিশার স্বপন গীতিনাট্যটি শেক্সপীয়রের ‘এ মিডসামার নাইটস ড্রিম’ অবলম্বনে তৈরি করা হয়। নাটক ও গীতিনাট্য দুটিরই প্রশংসা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়।
মোটামুটি ছয়মাস প্রেসিডেন্সি থিয়েটার চালু ছিল। তার মধ্যে গিরিশের ‘প্রফুল্ল’, অমৃতলালের ‘রাজাবাহাদুর’, রাজকৃষ্ণ রায়ের ‘মীরাবাঈ’, অমরেন্দ্রনাথ দত্তের ‘শ্রীকৃষ্ণ’, বরদাপ্রসন্ন দাশগুপ্তের ‘হাসনুহানা’, চুনীলালদেবের ‘কুজা ও দর্জি’ এখানে অভিনীত হয়। ১৯১৭-এর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলি অভিনীত হয়। তারপর মাস দুয়েক থিয়েটারে অভিনয় বন্ধ থাকে। আবার মার্চ মাস থেকে অভিনয় শুরু হয়। রণেন্দ্রনাথ গুপ্তের ‘কর্মবীর’, অতুল মিত্রের ‘হিরন্ময়ী’, গিরিশচন্দ্রের ‘দোললীলা’ প্রভৃতি নাটক ও গীতিনাট্যের অভিনয় হয়েছিল।
১৯১৮ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসেই এই থিয়েটার বন্ধ হয়ে যায়।
Leave a Reply