রাজনৈতিক উপন্যাস কী? একটি রাজনৈতিক উপন্যাস আলোচনা কর।
রাজনৈতিক উপন্যাস
অধিকাংশ সাহিত্য-প্রকরণ জাতীয় গ্রন্থে রাজনৈতিক উপন্যাস নামে কোনও পৃথক শ্রেণীর উপন্যাসকে স্বীকার করা হয়নি, অথচ একথা অস্বীকার করবার উপায় নেই যে সাম্প্রতিককালে রাজনীতিমুখ্য উপন্যাসের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে এবং উপন্যাসের আলোচনায় এই শ্রেণীটির উল্লেখ আমাদের বার বার করতে হয়। বিখ্যাত রাজনৈতিক চরিত্র নিয়ে লেখা উপন্যাসের সংখ্যা ইংরেজিতে কম নয়। বাংলার চাণক্য সেনের ‘রাজপথ জনপথ’, ‘মুখ্যমন্ত্রী’ আধুনিক কালে এই জাতীয় উপন্যাসের উদাহরণ।
অবশ্য শ্রেণীটি স্বীকার না করলেও, বাংলায় যে রাজনীতি বা বিপ্লবকে কেন্দ্র করে রচিত উপন্যাস আছে, একথা বাংলা সাহিত্য-প্রকরণের পথিকৃৎ-গ্রন্থে স্বীকার করা হয়েছে। সমালোচক শ্ৰীশচন্দ্র দাস লিখেছেন—“বাংলার বৈপ্লবিক জাতীয় আন্দোলনকে উপলক্ষ্য করিয়া কয়েকখানা উপন্যাস লিখিত হইয়াছে। ইহাদের মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’, রবীন্দ্রনাথের ‘চার অধ্যায়’, শরৎচন্দ্রের ‘পথের দাবী’, সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘জাগরী’, গোপাল হালদারের ‘একদা’, বনফুলের ‘অগ্নি’, দীপক চৌধুরীর ‘পাতালে এক ঋতু’-র নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
প্রকৃতিতে রাজনৈতিক হলেও এই শ্রেণীটিকে ‘রাজনৈতিক উপন্যাস’ নামে তিনি যে স্বীকৃতি দেননি তার কারণ অবশ্য খুব অস্পষ্ট নয়। সম্ভবত রাজনীতির সঙ্গে সাহিত্যকে মিলিয়ে নেওয়া হবে কী সূত্রে, এ ব্যাপারে অস্বস্তি থাকার জন্যই শ্রীশচন্দ্র দাশ এবং পাশ্চাত্য সাহিত্যসমালোকগণ এই শ্ৰেণীটি সম্বন্ধে বিশেষ কিছু বলেননি। উপন্যাস যে-জীবনকে ধরে, রাজনীতি সেখানে থাকতে পারে কিনা, অথবা রাজনৈতিক জীবনকে উপন্যাসের বিষয়বস্তু ধরলে তা অত্যন্ত ব্যাপক হয়ে পড়ে কিনা এসব কথা উঠতেই পারে। প্রশ্ন উঠতে পারে রাজনৈতিক উপন্যাসের প্রকৃতি কী হবে—নিকোলাই অস্ট্রোস্কি-র ‘How steel was tempered’ জাতীয় উপন্যাসের সমাজ-বাস্তবতা বা এরকম কোনও রাজনৈতিক আদর্শমূলক রচনা, অথবা ডস্টয়ভস্কি-র ‘The Possessed’ উপন্যাসের মতো কেবল একটি রাজনৈতিক বাতাবরণ। এই সমস্যার যে কোনও সঠিক সমাধান এখনও হয়নি, সমালোচক কালো কপোলা একটি সাম্প্রতিক প্রবন্ধে তাই নিয়েই আক্ষেপ করেছেন— ‘‘The problem of defining the political novel has not dealt with in any definitive way; hence the very nature of this particular category of novel-its proper subject matter, its scope, its form remains open to question.’’
রাজনৈতিক উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য
এই পর্যালোচনা থেকে রাজনৈতিক উপন্যাসের চরিত্র সম্পর্কে কয়েকটি সংকেতসূত্র নিরূপণ করা সম্ভব—
- মূলত সমকালীন ঘটনাসমূহের আলোড়নে এ উপন্যাসের জন্ম;
- সামাজিক-রাজনৈতিক জীবনের সংকট, উদভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা এর ভিত্তিভূমি;
- পরস্পরবিরুদ্ধ মতবাদের সংঘর্ষ এবং নতুন রাষ্ট্রিক তথা সামাজিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বপ্নবিহ্বলতা ও আদর্শবাদ এ জাতীয় উপন্যাসের প্রাণ;
- সমসাময়িক উত্তেজনার তাড়নায় চিরন্তন মূল্যবোধ যেন লেখকের ভাবনায় কিছুটা আচ্ছন্ন;
- এক সুলভ আবেগপ্রবণতা ও ভাবালুতা পাঠক ও লেখককে গ্রথিত করে রাখে;
- ভাবের উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ভাষার দুর্বার জোয়ারে লেখক মোহাবিষ্ট করে ফেলেন পাঠককে;
- জনপ্রিয়তার নিশ্চিত আশ্বাসে আশ্বস্ত থাকেন লেখক। যে-যুগে সামাজিক জীবনের সংকট ও বিপর্যয় যত তীব্রতা পায়, রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক জটিলতা ও টানাপোড়েন যত বাড়তে থাকে, সে-যুগে ততই রাজনৈতিক উপন্যাস (এবং নাটক ও কাব্যও) গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। L. Blotner-এর কথায়—“As an art form and an analytical instrument, the political novel, now as ever before, offers the reader a means for understanding important aspects of the complex society in which he lives, as well as a record of how it evolved.” রাজনৈতিক ঘটনাক্রমের মধ্যে থেকেই, সংঘাত ও প্রতিবাদের পরিমণ্ডলেই রাজনৈতিক উপন্যাসের উদ্ভব।
আমরা অবশ্য আমাদের সাধারণ সাহিত্যবৃদ্ধিতে বুঝি যে, উপন্যাসকে যদি আগে উপন্যাস হতে হয় তবে মানবিক অনুভূতির কাহিনী, মানুষকে আলোড়িত করার কাহিনীই তাকে শোনাতে হবে। এরপর দেখতে হবে মানুষের যে জীবনের কথা উপন্যাসে বর্ণিত হয়েছে তার। প্রকৃতি রাজনৈতিক কিনা, অর্থাৎ রাজনীতিই এই উপন্যাসে কাহিনী ও চরিত্রের বিবর্তন নিয়ন্ত্রণ করছে কিনা। দ্বিতীয় উপায় হচ্ছে এটা বিচার করে দেখা, রাজনীতি এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় শক্তি কিনা—এর অর্থ, রাজনীতি এর সঙ্গে এমন অভ্রান্তভাবে জড়িয়ে আছে কিনা যাতে রাজনীতি বর্জন করলে উপন্যাসটি আর দাঁড়াতেই পারে না। আমাদের বিচারপদ্ধতি স্পষ্টতর হবে একটি বিশেষ উপন্যাসের পর্যালোচনা করলে।
একটি সার্থক রাজনৈতিক উপন্যাস
সতীনাথ ভাদুড়ির ‘জাগরী’ এক সময়ের অত্যন্ত সাড়াজাগানো উপন্যাস। এই উপন্যাসটির শ্ৰেণী সম্বন্ধে বিভিন্ন সুধী সমালোচকের বিভিন্ন মত। কেউ মনে করেন রাজনীতির কথা প্রত্যক্ষভাবে বলা হয়েছে বলেই একে রাজনৈতিক উপন্যাস আখ্যা দেওয়া উচিত; কারো মতে কারাগারের অভ্যন্তরে সমগ্র উপন্যাস রচিত বলে একে কারা-উপন্যাস বলাই বিধেয়; কেউ মনে করেন এটি মনস্তত্ত্বমূলক উপন্যাস, সেই জন্য এই ধরনের উপন্যাসের পক্ষে সবচেয়ে উপযোগী যে উপস্থাপনরীতি (চরিত্রকথন মূলক) তাই এখানে ব্যবহার করা হয়েছে; আবার কেউ কেউ মনে করেন সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম মুহূর্তের বর্ণনায় এবং অবিরত অতীতকথন পদ্ধতির (ফ্ল্যাশ ব্যাক) প্রয়োগে এটি চেতনা-প্রবাহমূলক উপন্যাসের সার্থক সূচনা করেছে। এইসব মতের কোনটিই সম্পূর্ণ ভুল আমরা বলতে পারব না, অন্তত ভুল করার যথেষ্ট কারণ যে রয়েছে সে কথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে; কারণ প্রত্যেকটি ব্যাপারই উপন্যাসে উপস্থিত। কিন্তু শ্ৰেণীবিচারের যে বিশেষ পদ্ধতি আমরা নির্বাচন করেছি, তার দ্বারা বিচার করলেই সম্ভবত আমরা সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব।
‘জাগরী’ উপন্যাসের বিষয়বস্তু বিশেষ জটিল নয়। পূর্ণিয়াপ্রবাসী এক বাঙালী পরিবারকে কেন্দ্র করে এই উপন্যাসে ১৯৪২ সালের আগস্ট আন্দোলনের এক বিশিষ্ট রূপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পরিবারের কর্তা গান্ধীবাদি আদর্শে উদ্বুদ্ধ এক স্কুলশিক্ষক। আদর্শের কারণেই স্কুলের চাকরি ছেড়ে বাড়িতে গান্ধী-আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেন। তার স্ত্রী অর্থাৎ ‘মা’ চরিত্রটি স্বামীর আদর্শে অনুপ্রাণিত। যদিও রাজনীতি এবং রাজনৈতিক মতাদর্শের সূক্ষ্ম পার্থক্য তিনি বোঝেন, কিন্তু যে-কোন ব্যাপারেই অক্লান্ত সেবা ও পরিশ্রমে তিনি কাতর নন। বিলু ও নীলু তাদের। দুই ছেলে, এই দুই ছেলেকে নিয়ে আনন্দিত ও স্বপ্নসম্ভাবনাময় সংসার কেমন করে বিচ্ছিন্ন হতে থাকে-রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্য কেমন করে পরিবারের তিন সদস্যের মধ্যে ব্যবধান রচনা করতে থাকে, সেটাই উপন্যাসের প্রধান অবলম্বন। অবশ্য এর কালসীমা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত, একটি রাত্রিমাত্ৰ-কিন্তু ভয়াবহ রাত্রি, চারটি চরিত্রকেই জেগে বসে থাকতে হয় কিছু বিক্ষত স্মৃতির মুখোমুখি হবার জন্য। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে বন্দি বিলু কঁসির আসামী, রাত্রি প্রভাত হলেই সে আদেশ কার্যকর হবে। স্বামীর সঙ্গে যোগ দেবার অজুহাতে সেখানে ‘আওরৎ কিতা’-য় মা ও বন্দী বাবা তো আছেনই। কারার বাইরে আছে শুধু নীলু, কিন্তু এ রাত্রে নিদ্রা তার পক্ষে অসম্ভব, যেহেতু রাজনৈতিক মতের অমিলে সে-ই ধরিয়ে দিয়েছে দাদাকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ভয়াবহ পরিণতি ঘটেনি, কিন্তু চারটি চরিত্রের অন্তঃসমীক্ষণে বিচ্ছিন্ন চিন্তার মধ্যে দিয়েও যে মোটামুটি অখণ্ড কাহিনী পাওয়া গেছে তাতে বৃত্ত গঠন বা চরিত্র নির্মাণ, কারো প্রতিই অবিচার করা হয়নি।
‘জাগরী’-কে আমরা চেতনাপ্রবাহ মূলক উপন্যাস বলবো কিনা সে প্রশ্ন এখানে সংগত নয়, কারণ এটি মূলত প্রয়োগগত একটি রীতি—যে রীতিতে বিভিন্ন বিষয়ের উপন্যাসই লেখা সম্ভব, মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস যার সবচেয়ে ভালো ক্ষেত্র। ঠিক এই কথাই বলা যায় এর চরিত্রকথনমূলক উপস্থাপনরীতি সম্পর্কে। এই রীতিটিও মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাসের পক্ষে সবচেয়ে উপযোগী হতে পারে কিন্তু অন্য শ্রেণীর উপন্যাসে এটি যে ব্যবহার করা যাবে না, এমন কোনও কথা নেই। কারা-উপন্যাস বলে উপন্যাসের একটি শ্রেণী সম্প্রতি স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছে, কিন্তু সেই ধরনের উপন্যাসে আমরা সাধারণত অন্ধকারের জগৎ বা underworldএর সংবাদই পেয়ে থাকি এবং চরিত্রগুলিও হয়ে থাকে ঘৃণ্য বা আপাতঘৃণ্য। জাগরী উপন্যাসের তিনটি চরিত্র কারাগারে আছে এই পর্যন্ত, কারাগারের সঙ্গে এই কাহিনীর অন্য কোনও সম্পর্ক নেই।
জাগরীকে মনস্তত্ত্বমূলক উপন্যাস মনে হওয়া সম্ভব। কিন্তু এর প্রধান কারণ চেতনাপ্রবাহমূলক পদ্ধতি এবং চরিত্রকথনমূলক উপস্থাপন রীতি। কাজেই এই বহিরঙ্গ উপকরণকে একবার সরিয়ে রেখে যদি চিন্তা করা যায়, এর শ্রেণীবিচারে তাতে কিছু সুরাহা হয়; সে ভাবে ভাবা আমাদের কাছে অসম্ভব বলে মনে হয় না। এক রাত্রির কাহিনী করতে গিয়েই ঔপন্যাসিককে অতীতচারণ, বিচ্ছিন্ন স্মৃতিচারণ এবং কার্যত চেতনাপ্রবাহ রীতির অনুসারী হতে হয়েছে। একই কারণে বিভিন্ন চরিত্রের মুখে জবানী দিতে হয়েছে, অন্যভাবে তা আকর্ষণীয় করা যেতো না। কিন্তু যদি এইভাবে অতীতচারিতার মধ্যে না গিয়ে ঘটনা যেমন ঘটে চলেছে—পিতার সুখী সংসার, বিলু ও নীলুর অন্য রাজনৈতিক মতের প্রতি ক্ষীণ উৎসাহ, সেই উৎসাহের বৃদ্ধি ও অন্য রাজনৈতিক দলে যোগদান, বিলু ও নীলুর রাজনৈতিক মনান্তর, শেষে চরম অকৃতজ্ঞ ঘটনা—এইভাবে কাহিনী অগ্রসর হওয়া একেবারে অসম্ভব ছিল না। এইরকম প্রত্যক্ষ রীতিতে উপন্যাস অগ্রসর হলে কিন্তু চেতনা প্রবাহমূলক রীতিও যেমন অনিবার্য মনে হতো না, চরিত্রকথন রীতির পরিবর্তে প্রথম পুরুষের উপন্যাসও আমরা খুব সহজেই মেনে নিতে পারতাম। সে ক্ষেত্রে একে মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস ভাবার সম্ভাবনা অনেক কমে যেতো। উপন্যাসটি এ ভাবে লিখলে এর রসসংবেদন কমে যেতো কিনা সে কথা কিন্তু আমরা ভাবছি না, এ বিষয়ে কোনও মন্তব্যও করছি না, আমাদের বক্তব্য এ ভাবেও উপন্যাসটি রচিত হতে পারতো—উপন্যাস লেখার পরিকল্পনা লেখককে বর্জন করতে হতো না।
কিন্তু সে চিন্তা সত্যিই বর্জন করতে হতো যদি লেখক রাজনীতি বাদ দিয়ে এই উপন্যাস লেখার চেষ্টা করতেন। চারটি চরিত্রের গূঢ় মনস্তত্ত্ব এই উপন্যাসে নিশ্চয়ই ফুটেছে, কিন্তু এই মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার উৎস তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্যেই নিহিত আছে। দুই ছেলে নিয়ে বাবা-মার সুন্দর সংসারে ফাটল ধরার অন্য কোনো রাস্তাই ছিল না—এই ঘনিষ্ঠ সম্প্রীতির মধ্যে সংশয়, বিদ্বেষ ও অসহনীয়তার ব্যবধান সৃষ্টি করেছে রাজনীতি। সুতরাং রাজনীতিই এই উপন্যাসের নিয়ন্ত্রা, তার কেন্দ্রীয় শক্তি, যাকে বাদ দিলে উপন্যাসটি লেখা সতীনাথ ভাদুড়ির পক্ষে একেবারেই সম্ভব ছিল না। এই কারণেই আমরা মনে করি, শ্রেণী বিচার করতে গিয়ে রাজনীতিকেই আমাদের এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। মনের কথা এ উপন্যাসে অনেক আছে, তার খুঁটিনাটি পরিচয় দেবার সামর্থ্যও আমাদের দৃষ্টি এড়ায়নি, কিন্তু যে দ্বন্দ্ব ও জটিলতা থাকলে সেই বিশ্লেষণ মনস্তাত্ত্বিক অভিধা পেতে পারে, এখানে সেই দ্বন্দ্ব ও আন্তরিক সংঘাত ছিল না। অতীত স্মৃতিরোমন্থন, আসন্ন সর্বনাশের কথা ভেবে সকলের কথা ও শৈশবের ঘটনা মনে পড়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। এর সঙ্গে দুটি চরিত্রের মানসিক দ্বন্দ্ব বা একটি চরিত্রের দুটি প্রবণতার জটিল সংঘাতের তেমন কোনো মিল নেই। ‘জাগরী’ উপন্যাসের চালিকা শক্তি রাজনীতি, এর ফলেই চারটি চরিত্র কারাগারে এসেছে, এর জন্যই চরিত্রগুলির জাগর বিষাদ উপন্যাসের কল্পশরীর গঠন করতে পেরেছে, এবং একমাত্র এর অভাবেই উপন্যাসের পক্ষে অস্তিত্ব রক্ষা সম্ভব ছিল না। সুতরাং জাগরী’-কে রাজনৈতিক উপন্যাস আখ্যা দিতে আমাদের কোনো দ্বিধা থাকা উচিত নয়।
তথ্যসূত্র:
কাব্যজিজ্ঞাসা – অতুলচন্দ্র গুপ্ত | Download |
কাব্যতত্ত্ব: আরিস্টটল – শিশিরকুমার দাস | Download |
কাব্যমীমাংসা – প্রবাসজীবন চৌধুরী | Download |
ভারতীয় কাব্যতত্ত্ব – নরেন বিশ্বাস | Download |
ভারতীয় কাব্যতত্ত্ব – অবন্তীকুমার সান্যাল | Download |
কাব্যজিজ্ঞাসার রূপরেখা – করুণাসিন্ধু দাস | Download |
কাব্য-শ্রী – সুধীরকুমার দাশগুপ্ত | Download |
সাহিত্যের রূপরীতি ও অন্যান্য – কুন্তল চট্টোপাধ্যায় | Download |
সাহিত্য ও সমালোচনার রূপরীতি – উজ্জ্বলকুমার মজুমদার | Download |
কাব্যালোক – সুধীরকুমার দাশগুপ্ত | Download |
কাব্যপ্রকাশ – সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত | Download |
নন্দনতত্ত্ব – সুধীর কুমার নন্দী | Download |
প্রাচীন নাট্যপ্রসঙ্গ – অবন্তীকুমা সান্যাল | Download |
পাশ্চাত্য সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্যভাবনা – নবেন্দু সেন | Download |
সাহিত্য প্রকরণ – হীরেণ চট্টোপাধ্যায় | Download |
সাহিত্য জিজ্ঞাসা: বস্তুবাদী বিচার – অজয়কুমার ঘোষ | Download |
Leave a Reply