রঙ্গমঞ্চের ইতিহাসে সাঁ সুসি থিয়েটারের অবদান আলোচনা কর।
সাঁ সুসি থিয়েটার
উদ্বোধন: ২১ আগস্ট, ১৮৩৯
স্থায়িত্বকাল: ১৮৩৯-১৮৪৯
প্রতিষ্ঠাতা: স্টোকলার ও মিসেস লীচ
প্রথম নাটক: ইউ ক্যান্ট ম্যারি ইওর গ্র্যান্ডমাদার সঙ্গে দুটি প্রহসন—বাট হাই এভার এবং মাই লিটল এডপটেড
ক. অস্থায়ী মঞ্চ: প্রথম শ্রেণীর বহুখ্যাত রঙ্গালয় চৌরঙ্গী থিয়েটার পুড়ে যাওয়ার (১৮৩৯) তিন মাসের মধ্যেই কলকাতায় আরেকটি প্রথম শ্রেণীর থিয়েটার চালু হয়ে গেল। সাঁ সুসি থিয়েটার। অস্থায়ীভাবে এই নাট্যশালাটি তৈরি করা হলো ওয়াটারলু স্ট্রিট ও গভর্নমেন্ট হাউস ইস্টের কোণে। বর্তমান এজরা ম্যানসনের কাছাকাছি এর অবস্থান ছিল। তখন সেখানে ছিল থাকার কোম্পানীর বইয়ের দোকান। সেই দোকানের নিচের হল-এ রঙ্গালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। উদ্বোধন হয় ২১ আগস্ট, ১৮৩৯ খ্রিষ্টাব্দে। প্রথম রাত্রে অভিনীত হয় ইউ ক্যান্ট ম্যারি ইওর গ্র্যান্ডমাদার এবং সঙ্গে দুটি প্রহসনাবাট হাউএভার এবং মাই লিটল এডপটেড।
চৌরঙ্গী থিয়েটার পুড়ে যাওয়ায় স্বভাবতই ইংরেজরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিল। অভিনেতা ও সাংবাদিক স্টোকলার উদ্যোগী হয়ে নতুন থিয়েটার প্রতিষ্ঠার জন্য মঞ্চে পেলেন পুরনো অনেককে এবং বিশেষ করে প্রখ্যাত অভিনেত্রী মিসেস লীচকে। তখন তিনি ইংলন্ড থেকে আবার ফিরে এসেছেন।
বইয়ের দোকানের নীচের হলঘরটিকে সাজিয়ে-গুছিয়ে একটি সুদৃশ্য রঙ্গালয় তৈরি হলো। ছোট অথচ মনোরম। মঞ্চ, তার সম্মুখভাগ, দেওয়াল সবই সাজানো হলো সুদৃশ্যভাবে। সামনে অর্কেষ্ট্রার ব্যবস্থা ছিল। দর্শকাসন ছিল চারশো। স্টল ১০৮টি আসনের। দাম প্রতিটি ছয় টাকা। বক্স—পাঁচ টাকা। আপার বক্স—চার টাকা। হল-এ ধূমপান নিষিদ্ধ ছিল এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র বসানো হয়েছিল। মিসেস লীচের তত্ত্বাবধানে নকশা তৈরি; রঙ্গালয়ের সবকিছু নির্মাণ ও প্রস্তুতির দায়িত্ব নেন মিঃ বলিন এবং মিঃ বাৰ্টলেট। বাইরে ভেতরে সুদৃশ্য এই রঙ্গালয়ে প্রতি বৃহস্পতিবার অভিনয়ের সংবাদে উল্লসিত হয়ে উঠল সাহেবরা।
প্রথম রাতের অভিনয়ে ‘হাউস ফুল’। মিসেস লীচের এই অস্থায়ী মঞ্চে পর পর অভিনীত হলো—ইউ ক্যান্ট ম্যারি ইওর গ্র্যান্ডমাদার, বাট হাইএভার, মাই লিটল এডপটেড, দি ওয়েলচ গার্ল, দি ওরিজিনাল, দি ওয়েদার কক, দি হাঞ্চব্যাক, ক্যাথেরিন অ্যান্ড প্যাট্রসিও, মিন্সট্রেল, দি লেডি অব লায়ন্স, প্লেজেন্ট ড্রিমস, দি আইরিশ লায়ন প্রভৃতি কমেডি, প্রহসন, গীতিনাট্য অপেরা। এছাড়া কার্নিভাল বল, নেভাল এনগেজমেন্টস, শকিং ইভেন্টস প্রভৃতি প্রযোজনায় মিসেস লীচ, মিসেস ফ্রান্সিস অভিনয়ে নাচে গানে মাতিয়ে দিলেন। এই রঙ্গালয়ে এই সময়ে মিঃ বলিন তার বিখ্যাত ভাঁড়নৃত্য (clown-dance) দেখানো শুরু করেন এবং তার নাচ ও ক্যারিকেচারে দর্শকেরা মাতোয়ারা হয়ে গিয়েছিল। সাঁ সুসি থিয়েটার তার অস্থায়ী মঞ্চে সাফল্যের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেল।
খ. স্থায়ী মঞ্চ: অভাবিত সাফল্যে উৎসাহিত মিসেস লীচ স্থায়ীভাবে রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হলেন। অস্থায়ী মঞ্চের দৃশ্যপট, সাজসজ্জা, পোষাক, আলো ইত্যাদি যাবতীয় সম্পত্তি স্থায়ী মঞ্চের জন্য দিয়ে দিলেন। অর্থদাতা ও পৃষ্ঠপোষকের জন্য বিজ্ঞাপনের উত্তরে বড়লাট অকল্যান্ড এবং দ্বারকানাথ ঠাকুর একহাজার টাকা করে দিলেন। অনেক ইংরেজ, ভারতীয়, বিশেষ করে বাঙালি এগিয়ে এলেন সাহায্যের জন্য।
পার্ক স্ট্রিটে জমি সংগ্রহ করে সেখানে স্থায়ী রঙ্গালয় তৈরি হল। স্থপতি ছিলেন মিঃ কলিনস। মিসেস লীচ, স্টোকলার প্রধান উদ্যোক্তা। শিল্পী নির্বাচন, সাজসজ্জা, দৃশ্যপট তৈরি হলো। ইংলন্ড থেকে এলেন জেমস ব্যারী ও তার স্ত্রী। দুজনেই লণ্ডনের বিখ্যাত শিল্পী। এলো লন্ডনের অ্যাডেলফি থিয়েটারের মিসেস ডীল, এলেন মিস কাউলি। সুপ্রশস্ত, সুরম্য ও সুদৃশ্য এই স্থায়ী রঙ্গালয়ে দুই তলার ওপর-নিচে দর্শকাসন ছিল। অর্কেস্ট্রার ব্যবস্থা ছিল। প্রবেশমূল্য, বক্স—ছয় টাকা, স্টল—ছয় টাকা, পিট—তিন টাকা।
উত্তম শিল্পী সমাবেশের সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রসঙ্গীত পরিচালনার জন্য আনা হলো পি. ডেলমারকে এবং দৃশ্যপট রচনার ভারও দেওয়া হলো উপযুক্ত শিল্পীদের। যবনিকা এঁকে দিলেন প্রসিদ্ধ চিত্রশিল্পী মিঃ পোট।
স্থায়ী সাঁ সুসি রঙ্গালয়ের উদ্বোধন হলো ৬ মার্চ, ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দে। প্রথম রজনীর অভিনয়—‘দি ওয়াইফ’ নাটক। অভিনয়ে—মিসেস লীচ, হিউম, হাওয়ার্ড, ক্যাপ্টেন সিউয়েল, স্টোকলার অসামান্য কৃতিত্ব দেখালেন। দৃশ্যপট, সঙ্গীত, আলো অভিনয় সবকিছুর উচ্চ প্রশংসা করা হলো পত্রিকায়।
পরের মাসেই অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত অভিনেত্রী মাদাম দেরাভিয়ে এখানে যোগ দেন। পরে লন্ডন থেকেও সব নতুন অভিনেতা অভিনেত্রী এসে গেল। সাঁ সুসি’র তখন সাফল্যের পর সাফল্যের পালা।
লন্ডনের ডুরিলেন থিয়েটারের প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা জেমস্ ভাইনিং ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দে এলেন এবং ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ নাটকে শাইলকের ভূমিকায় প্রথম অবতীর্ণ হয়েই সাড়া ফেলে দিলেন। পোর্শিয়া—মিসেস ডীকল, জেসিকা—মিসেস লীচ, নেরিমা—মিস্ কাউলি। এই নাটকের এবং ‘হ্যান্ডসাম হাজব্যান্ড’ প্রহসনের অভিনয় কলকাতার দর্শকদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা লাভ করলো। এই রাতেই অভিনয় চলাকালীন সাঁ সুসির প্রাণপ্রতিমা মিসেস লীচের পরিচ্ছদে আগুন লেগে যায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি মারা গেলেন, ১৮ নভেম্বর, ১৮৪১। মৃত্যুর আগেই তিনি সা সুসির মালিকানা দিয়ে যান মাদাম নিনা ব্যাক্সটার নামে অভিনেত্রীকে। মিসেস লীচের আমলে স্থায়ী মঞ্চে অভিনীত কয়েকটি নাটক হলো—দি ওয়াইফ, হিজ লাস্ট লেগস, চার্লস দি সেকেন্ড, হ্যামলেট, ম্যাকবেথ, দি মার্চেন্ট অব ভেনিস, রোমিও এ্যান্ড জুলিয়েট, দি জেন্টলম্যান ইন ব্লাক, দি ওয়েলচ গার্ল, দি আইরিশ লায়ন, ষ্ট্রেঞ্জার, স্কুল ফর স্ক্যান্ডাল প্রভৃতি।
মাদাম ব্যাক্সটারের মালিকানায় অভিনয় চলল। অন্য সব অভিনেত্রী এখানে অভিনয় চালিয়ে গেলেন কিন্তু মিসেস লীচের অভাব পূর্ণ হলো না। নতুন মালিক প্রচুর খরচ করে লন্ডন থেকে মিঃ ও মিসেস আরমন্ডকে নিয়ে এলেন, নতুন নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রী জোগাড়ের ব্যবস্থা করলেন। সাঁ সুসির সুনাম বজায় রাখতে এইসব শিল্পীদের দিয়ে রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট, হ্যামলেট, স্ট্রেঞ্জার প্রভৃতি নাটক অভিনয়ের চেষ্টা চালিয়ে গেলেন। কিন্তু সে অবস্থা আর ফিরে এলো না। দেনা বেড়ে যেতে লাগল। সাঁ সুসির দুরবস্থায় ইংরেজি সংবাদপত্রের সঙ্গে বাংলা পত্রিকা পূর্ণ চন্দ্রোদয়ও খুবই সহানুভূতি প্রকাশ করেছিল। মিসেস ডীকল চলে গেলেন, চার্লস ভাইনিং ছেড়ে দিলেন, মিসেস আরমন্ড কলেরায় মারা গেলেন। নিত্যনতুন অভিনয়ের আয়োজন করে, টিকিটের দাম কমিয়েও অবস্থা ফিরিয়ে আনা গেল না। শেষ পর্যন্ত এখানে ঘোড়ার খেলা দেখাবারও ব্যবস্থা করা হলো। অবশ্য তা কার্যকরী হয়নি। তবে নাটকের মাঝখানে দড়ির ওপর নৃত্য জাতীয় সার্কাসের খেলা দেখিয়ে দর্শকাকর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল। মাদাম ব্যাক্সটারের আমলে সাঁ সুসিতে অভিনীত কয়েকটি নাটক হলো—স্ট্রেঞ্জার, ম্যাকবেথ, রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট, হ্যামলেট, ভেনিস প্রিজার্ভড, মার্চেন্ট অব ভেনিস, সি স্টপস টু কঙ্কার, রাইভ্যাল্স, রেজিং দি উইন্ড প্রভৃতি।
তবু চলল না, তখন মাদাম ব্যাক্সটার রঙ্গালয়টি হস্তান্তরিত করলেন জেমস ব্যারীর কাছে। তিনিও সাঁ সুসির অভিনেতা ছিলেন। পূর্বের গৌরব তাও ফিরল না, বরং আরো অবনতি হলো। অভিনয় প্রায় বন্ধ থাকত। ভালো শিল্পী আর কেউ ছিলেন না। শুধু ছিলেন মিসেস ফ্রান্সিস, মিসেস ব্যারী এবং জেমস ব্যারী নিজে। শেষ চেষ্টা হিসেবে লন্ডন থেকে আনা হল মিসেস লীচের সুযোগ্য কন্যা মিসেস এন্ডারসনকে। ওথেলো নাটকে ডেসডিমোনার ভূমিকায় তার অভিনয় বহুদিন মুখে মুখে ফিরেছে।
জেমস ব্যারী কোনোরকমে অভিনয় চালিয়ে সাঁ সুসিকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে যেতে লাগলেন। তার সময়ে এখানে অভিনীত হয়েছিল—ম্যাকবেথ, দি ওয়েলচ গার্ল, মার্চেন্ট অব ভেনিস, দি মেড অফ ক্রয়সী, ওথেলো প্রভৃতি পূর্ব-অভিনীত নাটকগুলি।
১৮৪৮-এর ১৬ আগস্ট শেক্সপীয়রের ‘ওথেলো’ নাটকের অভিনয়ে ‘এ নেটিভ এমেচার’ বৈষ্ণবচরণ আঢ্য ওথেলোর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ডেসডিমোনা মিসেস লীচ কন্যা এডারসন। অভিনয়ের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন বাঙালিদের মধ্যে রাধাকান্ত দেব, মহারাজা বৈদ্যনাথ রায়, মহারাজা প্রতাপচন্দ্র সিংহ প্রমুখ। সংবাদ প্রভাকরের বিবরণে (২১.৮.১৮৪৮) জানা যায় যে, সাহেবদের প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সাহেবদের থিয়েটারে নেটিভ বৈষ্ণবচরণের অভিনয় সেদিন সাড়া ফেলে দিয়েছিল কলকাতায়। ইংরেজি কাগজেও অভিনয়ের, বিশেষ করে চলাফেরা, ইংরেজি উচ্চারণ, অঙ্গভঙ্গির এবং ভাবপ্রকাশের জড়তাহীন অভিব্যক্তির জন্য ‘দি হিন্দু’ ওথেলোর খুবই প্রশংসা করা হয়েছিল। ১২ সেপ্টেম্বরের (১৮৪৮) অভিনয়ে বৈষ্ণবচরণ আবার ওথেলো করলেন।
সাহেবদের থিয়েটারে বাঙালিরা দর্শক হিসেবে আসতে শুরু করেছিল। ক্রমে পৃষ্ঠপোষক, সদস্য, উদ্যোক্তা এবং মালিকানার অংশীদার থেকে খোদ মালিক পর্যন্ত হয়েছিল, এবারে বাঙালি বৈষ্ণবচরণ সাহেবদের থিয়েটারে মূল ভূমিকায় অভিনয় পর্যন্ত করে ফেললেন সাফল্যের সঙ্গে। বিদেশী রঙ্গালয়ের ইতিহাসে এটি একটি উল্লেখযোগ্য সংবাদ।
তবু সাঁ সুসির দৈন্যদশা ঘুচলো না। মিসেস এন্ডারসন ছেড়ে দিলেন সাঁ সুসি। ১৮৪৯-এর ২১ মে অভিনয় হলো মালিক জেমস ব্যারীর ফেয়ারওয়েল নাটক হিসেবে। সাঁ সুসির সেই শেষ অভিনয়।
এখন সেখানে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ।
দশ বৎসরের অধিককাল স্থায়ী সাঁ সুসি থিয়েটার ইংরেজদের প্রতিষ্ঠিত থিয়েটারের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছিল। একমাত্র চৌরঙ্গী থিয়েটারের সঙ্গেই এর তুলনা চলে।
সুদৃশ্য ও মনোরম প্রেক্ষাগৃহ, সুসজ্জিত মঞ্চ, উজ্জ্বল দৃশ্যপট, নতুন পোষাক-পরিচ্ছদ, রঙীন যবনিকা—সব দিক দিয়ে অভিজাত ও উন্নত এই রঙ্গালয় বিশেষ আকর্ষণীয় ছিল। সম্ভ্রান্ত, উচ্চপদস্থ ও শিক্ষিত ইংরেজ এই রঙ্গালয়ের দর্শক ছিল। এখানে শেক্সপীয়রের উচ্চাঙ্গের ট্রাজেডিগুলির অভিনয় খুবই সার্থকভাবে অভিনীত হতো। এই মঞ্চে কমেডি এবং হাল্কা প্রহসনও সাফল্য লাভ করেছিল। লন্ডনের বিখ্যাত থিয়েটার থেকে সব খ্যাতিমান অভিনেতা অভিনেত্রী আনিয়ে অভিনয় করানো হতো। মিসেস লীচ, স্টোকলার, জেমস ভাইনিং, মিঃ ও মিসেস ব্যারী, মিসেস ডাকল, মিসেস কাউলি, মিসেস ফ্রাঙ্কলিং, মিসেস এন্ডারসন প্রভৃতির অভিনয়ের উন্নত ও রুচিশীল মান দর্শকদের আপ্লুত করে রাখতো।
বাঙালির সঙ্গে এই থিয়েটারের নানাভাবে যোগাযোগ হতে থাকে। মালিকানার অংশীদার থেকে অভিনেতা পর্যন্ত সব পর্যায়েই বাঙালি এর সঙ্গে জড়িত ছিল। বাঙালির নিজস্ব নাট্যশালা গঠনে ও নাটক অভিনয়ে চৌরঙ্গী থিয়েটারের মতো এই সাঁ সুসি থিয়েটারের প্রভাবও অনেকখানি কার্যকরী হয়েছিল।
লন্ডনের প্রথম শ্রেণীর রঙ্গালয়ের মতো সাঁ সুসির প্রথম শ্রেণীর অভিনয় শিল্পীদের দ্বারা উচ্চাঙ্গের নাটকাভিনয় বিদেশী থিয়েটারের ইতিহাসে স্মরণীয় কৃতিত্ব।
Leave a Reply