//
//

বাংলা গদ্যে স্বামী বিবেকানন্দের অবদান আলোচনা কর।

স্বামী বিবেকানন্দ

প্রধানত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্ত্বেও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে নিশ্চিত আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছেন স্বামী বিবেকানন্দ। তার কারণ প্রধানত এটাই যে, রবীন্দ্রনাথ এবং প্রমথ চৌধুরীর আগেই তিনি বাংলা গদ্য ভাষা নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তা করেছেন এবং গদ্য লেখার একটি। বলিষ্ঠ রূপের সন্ধান দিয়েছেন। কাজেই বিবেকানন্দ ব্যতীত বাংলা গদ্য সাহিত্যের আলোচনা অসমাপ্ত থেকে যায়। হিন্দুধর্মের পুনরুভ্যুত্থানের অন্যতম শরীক হয়েও ধর্মীয় গোঁড়ামী তার ছিল না। ফলে ব্রাহ্ম সমাজে যাতায়াত করেছেন তিনি অনায়াসে, রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়েছেন। অপূর্ব দক্ষতায়, বুদ্ধের অনুরাগী ছিলেন তিনি, ছিলেন খ্রিস্ট্রভক্তও। রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং তাঁর সম্পর্কে বলেছেন, ‘In him everything is positive. আর তার প্রথম জীবনী রচয়িতা ভগিনী নিবেদিতা ‘The Master as I saw Him’ গ্রন্থে লিখেছেন, ধর্ম সংস্কারক হয়েও তিনি মনে করতেন, ‘Salvation will come through football and not through Gita.

১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ জানুয়ারি কলকাতার সিমুলিয়ার দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন স্বামী বিবেকানন্দ। শৈশবে নাম ছিল বিলে বা বীরেশ্বর। অন্নপ্রাশনের সময় নাম হয় নরেন্দ্রনাথ। পিতা বিশ্বনাথ দত্ত ছিলেন অ্যাটর্নি। ছোটবেলা থেকেই বিবেকানন্দের মেধার পরিচয় পাওয়া যায়। মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনে পড়াশোনা করেছেন, পরে প্রেসিডেন্সি কলেজে। ১৮৮৩-তে জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ থেকে বি.এ. পাশ করেন। তারপর আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। কিন্তু পিতার আকস্মিক মৃত্যুতে পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে হয় তাঁকে। সত্যানুসন্ধান ছিল তাঁর স্বভাবের ভিত্তি। দর্শন, ইতিহাস, সাহিত্য, বিজ্ঞান— সকল বিষয়েই তাঁর আগ্রহ ছিল প্রবল। কলেজে পড়ার সময় রামমোন রায়ের বেদান্ত দর্শন সংক্রান্ত গ্রন্থ পড়ে ব্রাহ্মসমাজের সভ্য হন। কিছুদিন মেট্রোপলিটন স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন বিবেকানন্দ। এফ.এ. পড়ার সময় রামকৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘটে। আর ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগষ্ট রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর বরানগরে মঠস্থাপন করেন তিনি এবং সন্ন্যাস নেন। সন্ন্যাস গ্রহণের পর তিনটি বছর দেশকে জানার জন্য ভারত ভ্রমণ করেন তিনি। পরিব্রাজক অবস্থায় তিনি জয়পুরের সভা পণ্ডিতের কাছ থেকে অষ্টাধ্যায়ী পাণিনি, ক্ষেত্রীর সভা পণ্ডিত নারায়ণ দাসের কাছে পতঞ্জলির মহাভাষ্য এবং পোরবন্দরের পাণ্ডুরঙের কাছে বেদান্ত শেখেন। মাদ্রাজে থাকাকালে শিষ্যদের অনুরোধে, সারদাদেবীর সম্মতি নিয়ে শিকাগোয় অনুষ্ঠিত বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। ১৮৯৩-এ প্রকৃত অর্থেই সেখানে তিনি বিশ্বজয় করলেন। ভারতে প্রত্যাবর্তনের পর ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে বিবেকানন্দ বেলুড় মঠ প্রতিষ্ঠা করেন। ঐ বছরই আমেরিকা যান বেদান্ত শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য। শুধু যে ধর্মীয় বা সমাজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন তিনি তা নয়, প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজে একজন রাজনীতিবিদ না হয়েও তৎকালীন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের উপর প্রভূত প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছিলেন। এমন এক প্রতিভাবান মানুষ বাংলা গদ্য ভাষায় যে নিজস্বতার চিহ্ণ রেখে গেছেন তা সত্যি বিস্ময়কর।

বিবেকানন্দের গ্রন্থ সংখ্যা খুব বেশি নয়, স্বাভাবিকভাবেই। তবে দেশে এবং দেশের বাইরে কখনো বাংলায়, বেশির ভাগ সময় ইংরাজিতে যে বক্তৃতা তিনি দিয়েছেন বা পত্র প্রেরণ করেছেন বিভিন্ন জনকে সেগুলি তাঁর রচনাবলির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর বাংলায় গ্রন্থের সংখ্যা চারটি— বর্তমান ভারত (১৯০৫), ভাববার কথা (১৯০৭), পরিব্রাজক (১৯০৫) এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য (১৯০২)।

‘বর্তমান ভারত’: সাধুভাষা যে কতখানি প্রাঞ্জল হতে পারে তার নিদর্শন এই গ্রন্থ। এটি যখন উদ্বোধন পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছিল (১ম বর্ষের ১৩০৫-০৬ ৬, ৭, ৮, ১০, (সংখ্যায় এবং ২য় বর্ষের ৭, ৮ সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে) তখন অনেকে এর ভাষার দুর্বলতা এবং দুর্বোধ্যতার কথা তুলেছিলেন। কালক্রমে সে অভিযোগের অবসান হয়েছে। এত অল্প কথায় এমন বিশ্লেষণী নৈপুণ্য খুব বিরল। ভারতবর্ষের সমাজ ব্যবস্থার একটি ধারাবাহিক আলোচনা এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যতের ভারত কল্পনা গ্রন্থটির বিষয়। তিনি দেখিয়েছেন এক সময় বৈদিক পুরোহিতের শক্তি প্রাধান্য পেয়েছে এদেশে। তারপর ছিল রাজার শক্তি। বৌদ্ধ বিপ্লব ঘটেছে, মুসলিম আধিপত্য এসেছে। তারপর ইংলণ্ডের ভারত অধিকার— বৈশ্য শক্তির অভ্যুদয়। পুরোহিত শক্তি, ক্ষত্রিয় শক্তি, বৈশ্য শক্তির পর প্রাচ্যপাশ্চাত্য দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে এবার ঘটবে শূদ্র জাগরণ। সেই আশা নিয়ে স্বদেশমন্ত্র দিয়ে গ্রন্থের সমাপ্তি ঘটেছে। এ গ্রন্থেই উদ্ধৃত সেই মন্ত্র—সদর্পে বল—আমি ভারতবাসী, ভারতবাসী আমার ভাই। বল—মুখ ভারতবাসী, দরিদ্র ভারতবাসী, ব্রাহ্মণ ভারতবাসী, চণ্ডাল ভারতবাসী আমার ভাই … হে জগদম্বে, আমায় মনুষ্যত্ব দাও, মা, আমার দুর্বলতা কাপুরুষতা দূর কর, আমায় মানুষ কর।

‘ভাববার কথা’: এই গ্রন্থের অধিকাংশ প্রবন্ধ ‘উদ্বোধন’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। গ্রন্থে সংকলিত প্রবন্ধগুলি হল হিন্দুধর্ম ও শ্রীরামকৃষ্ণ, রামকৃষ্ণ ও তাঁহার উক্তি, ঈশা-অনুসরণ, বর্তমান সমস্যা, বাঙ্গালী ভাষা, জ্ঞানগর্জন, ভাববার কথা, পারি প্রদর্শনী, শিবের ভূত এই নয়টি। নাম প্রবন্ধ ‘ভাববার কথা’য় সাতটি ভিন্ন ভিন্ন প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কিছুটা কৌতুকরসে। স্বামীজী ঠাকুরের স্বরূপ বোঝার কিছু কিছু পথ অন্বেষণ করেছেন। প্রথম প্রস্তাবটিতে সাধুভাষা, পরের গুলিতে চলিত বাংলা ভাষা ব্যবহৃত হয়েছে।

প্রথম প্রবন্ধটি ‘হিন্দুধর্ম কি?’ নামে ১৩০৪ বঙ্গাব্দে রামকৃষ্ণদেবের পঞ্চষষ্ঠিতম জন্মোৎসবের সময় পুস্তিকাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়। সাধুভাষায় বেদের প্রসঙ্গ বিবৃত হয়েছে এখানে। রামকৃষ্ণ ও তাঁহার উক্তি প্রবন্ধটি ম্যাকসমুলারের লেখা ‘A Real Mahatman’ পুস্তকের সমালোচনা, ম্যাক্সমুলারের প্রবন্ধটি ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে Ninteenth Century পত্রিকার আগস্ট সংখ্যায় বেরিয়েছিল। ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে বেরোয় ‘Ramkrishna: His Life and Saying’. একজন বিদেশির পক্ষে ভারতীয় সংস্কৃতি বোঝা যে প্রায় দুঃসাধ্য— প্রবন্ধের সূচনা অংশেই সেকথা প্রকাশ করেছেন স্বামীজী। অতঃপর ম্যাক্সমুলারের বক্তব্য সমর্থন করে বলেছেন যে, ‘একদিকে মিশনারী, অন্যদিকে ব্রাহ্ম-কোলাহল— এ উভয় আপদের মধ্য দিয়ে অধ্যাপকে নৌকা চলিয়াছে। আর রামকৃষ্ণ সম্পর্কে উভয় শ্রেণীর অভিযোগের উত্তর দিয়েছে মধুরভাবে। ম্যাক্সমুলারের গ্রন্থের বিশ্লেষণ করে স্বামীজীর মন্তব্য, ‘শ্রীরামকৃষ্ণ কথা অটি সংক্ষেপে সরল ভাষায় পুস্তক মধ্যে অবস্থিত। … জীবনী অপেক্ষা উক্তি সংগ্রহ এ পুস্তকের অধিক স্থান অধিকার করিয়াছে।”— গ্রন্থ সমালোচনার একটি আদর্শ এখানে পাওয়া যায়।

স্বামীজীর উদারতার আরও এক প্রমাণ ঈশা অনসুরণ রচনাটি। গ্রন্থটি জগদ্বিখ্যাত গ্রন্থ ‘Imitation of Christ’ গ্রন্থের অনুবাদ। ‘সূচনা’ অংশটি লেখকের মৌলিক রচনা। এছাড়া আরও ছয়টি পরিচ্ছেদ টীকাটিপ্পনিসহ লিখিত। সূচনা অংশে গ্রন্থের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে তিনি লিখেছেন, এ অদ্ভুত বিলাসী, অতি দাম্ভিক, মহা অত্যাচারী, বেরুস ও ব্রুমে চড়া, প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টিয়ান সম্প্রদায় দেখিয়া খ্রীষ্টিয়ান সম্বন্ধে আমাদের যে অতি কুৎসিত ধারণা হইয়াছে, এই পুস্তক পাঠ করিলে তাহা সম্যকভাবে দূরীভূত হইবে। এদেশীয় খ্রিষ্টানরা যখন হিন্দুধর্মকে নস্যাৎ করে ক্রিশ্চিয়ানিটির মহত্ব প্রচারে ব্যস্ত তখন এক হিন্দু সন্ন্যাসী অসাম্প্রদায়িকতার নিদর্শন দেখিয়ে খ্রীষ্টধর্মের মূল নীতিগুলির সঙ্গে আমাদের পরিচয় করাতে চাইলেন। নিজ ধর্ম সম্পর্কে গভীর আত্মবিশ্বাস না থাকলে এ জাতীয় কর্মোদ্যোগ সম্ভব নয়। ১২৯৬ বঙ্গাব্দে আমেরিকা যাত্রার বহুপূর্বে তিনি এই অনুবাদ কর্মে হাত লাগিয়েছেন।

১৯০০ খ্রিস্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি আমেরিকা থেকে উদ্বোধন পত্রিকার সম্পাদককে বাংলা চলিত ভাষার পক্ষ নিয়ে যে পত্র লেখেন স্বামীজী, ‘বাঙ্গলা ভাষা’ প্রবন্ধটি তার থেকে উদ্ধৃত। ‘শিবের ভূত’ স্বামীজীর মৃত্যুর পর প্রাপ্ত একটি অসমাপ্ত রচনা। গ্রন্থটির নব্বই শতাংশ প্রবন্ধ সাধুভাষায় লেখা।

‘পরিব্রাজক’: চলিত রীতির গদ্যশিল্পীরূপে স্বামীজীর কৃতিত্বের পূর্ণ পরিচয় মুদ্রিত আছে এই গ্রন্থটিতে। ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুন স্বামীজী গোলকোণ্ডা নামক জাহাজে কলকাতা থেকে দ্বিতীয়বার পশ্চিমে যাত্রা করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বামী তুরীয়ানন্দ এবং ভগিনী নিবেদিতা। ‘উদ্বোধন’ পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক স্বামী ত্রিগুণাতীতানন্দ স্বামীজীকে নিয়মিত ভাবে তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্ত লিখে পাঠানোর অনুরোধ করেন। স্বামীজী সম্মত হন। পত্রিকার ১ম ও ২য় বর্ষের বিভিন্ন সংখ্যায় স্বামীজীর অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ সেই, ভ্রমণ বৃত্তান্ত পত্রাকারে প্রকাশিত হতে থাকে। কয়েক বৎসর পর স্বামী সারদানন্দের তত্ত্বাবধানে লেখাগুলি ‘পরিব্রাজক’ নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থের ভূমিকা অংশে স্বামীজী তার কুড়েমির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ডায়েরি লেখা তার পক্ষে সম্ভব নয়। রোজ লিখবার ইচ্ছে তার হয় না আর বেশ কয়েকদিন পরপর লিখতে গেলে তারিখ ইত্যাদি তার মনে থাকে না, ফলে তাঁর লেখাগুলি দিনপঞ্জির আকারে সাজানো যাবে না। গঙ্গার শোভা ও বাংলার রূপ বর্ণনা করে লেখার সূচনা, অতঃপর গঙ্গা থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে যেমন যেমন যাত্রা এগিয়েছে, তার রসগ্রাহী বর্ণনা দিয়েছেন স্বামীজী। তারপর লিখেছেন জাহাজের কথা, দক্ষিণী সভ্যতা, সিংহল ও বৌদ্ধধর্মের কথা, সেখান থেকে এডেন, রেড-সী, সুয়েজ খালের হাঙ্গর শিকার, ভূমধ্যসাগর, ইউরোপ, ফ্রান্স, জার্মানী, অষ্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, তুরস্কের এথেন্স, গ্রীসের কথা। এটি কোনো বাসনার কলমে লেখা গ্রন্থ নয়। একজন আপাদমস্তক সাহিত্যিকের কলম থেকেই এ লেখা উৎসারিত পরে। হাঙ্গর শিকারের অনবদ্য বর্ণনা স্থান পেয়েছে এখানে। লেখকের রসিকতাবোধ

পরতে পরতে জড়িয়ে। অন্যদিকে এ শুধু প্রকৃতিপ্রেমিকের লেখা নয়, একজন গ্রহে কর বিশ্লেষণী শক্তির পরিচয় আছে এখানে। অথচ লেখার ভাষা অত্যন্ত প্রাঞ্জল— ‘ভারতবর্ষের বাহিরে এমন স্মৃতিপূর্ণ স্থান আর নেই—এশিয়া, আফ্রিকা—প্রাচীন, অবশেষে এক জাতীয় রীতি-নীতি, খাওয়া-দাওয়া শেষ হল, আর এক প্রকার আহার-বিহার, পরিচ্ছদ, আচার-ব্যবহার আরম্ভ হল— ইউরোপ এল।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য: উদ্বোধন পত্রিকার ২য়, ৩য় বর্ষে এটি ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত এবং গ্রন্থাকারে মুদ্রিত হয়। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির তুলনামূলক আলোচনা করেছেন তিনি বৈজ্ঞানিকের মতো নিরাসক্ত ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে। রবীন্দ্রনাথের অল্প বয়সে লেখা য়ুরোপ যাত্রীর ডায়ারি অপেক্ষা বিশ্লেষণ নৈপুণ্য এখানে বেশি। এর বিষয় ও ভাষা বাংলা গদ্য সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। ভূমিকাংশের পর পূর্ব ও পশ্চিমের যে যে বিষয়গুলি স্বামীজীর আলোচ্য ছিল তা হল— ধর্ম ও মোক্ষ, স্বধর্ম বা জাতিধর্ম, শরীর ও জাতিতত্ত্ব, পোশাক ও ফ্যাশন, পরিচ্ছন্নতা, আহার ও পানীয়, বেশভূষা, রীতিনীতি, পাশ্চাত্যে শক্তিপূজা, ইউরোপের নবজন্ম, পারি ও ফ্রান্স, পরিণামবাদ, সমাজের ক্রমবিকাশ, দেবতা ও অসুর, দুই জাতির সংঘাত, তাতার জাতি, উভয় সভ্যতার তুলনা এবং পরিশিষ্ট অংশ।

স্বামীজী বলেছেন, “ঐ যে ইউরোপী পণ্ডিত বলেছেন যে, আর্যেরা কোথা হতে উড়ে এসে ভারতের ‘বুনো’দের মেরে কেটে জমি ছিনিয়ে বাস করলেন— ওসব আহাম্মকের কথা। আমাদের পণ্ডিতরাও দেখছি সে গোঁয়ে গো—আবার ঐ সব বিরূপ মিথ্যা ছেলেপুলেদের শোনানো হচ্ছে। এ অতি অন্যায়।

আমি মুখ মানুষ, যা বুঝি তাই নিয়েই এ পারিসভায় বিশেষ প্রতিবাদ করেছি। এদেশী ও স্বদেশী পণ্ডিতদের জিজ্ঞাসা করছি। সময় পেলে আরও সংশয় ওঠাবার আশা আছে। একথা তোমাদেরও বলি—তোমরা পণ্ডিত-মনিষ্যি, পুঁথি-পাতড়া খুঁজে দেখ।

এই গ্রন্থটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বইখানি তিনি তাঁর বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিভুক্ত করেছিলেন। দীনেশচন্দ্র সেন মহাশয়কে একটি চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘‘আপনি এখনি গিয়ে বিবেকানন্দের প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য বইখানি পড়বেন। চলিত ভাষা কেমন জীবন্ত, প্রাণময়রূপে প্রকাশিত হতে পারে তা পড়ে বুঝবেন। যেমন ভাব তেমনি ভাষা, তেমনি সূক্ষ্ম উদার দৃষ্টি আর পূর্ব ও পশ্চিমের সমন্বয় আদর্শ দেখে অবাক হতে হয়।’’

বিবেকানন্দের গদ্যরীতির বৈশিষ্ট্য

১. স্বচ্ছতা আর বলিষ্ঠতা তাঁর গদ্যশৈলীর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। বিদগ্ধ অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বলেছেন, শাক্ত পদাবলীর আদলে বিবেকানন্দের গদ্যকে আমি বলি শাক্ত গদ্য। অপর কোনো লেখকের গদ্যে এতখানি শক্তির প্রকাশ নেই।

২. হুতোমী গদ্যে যে লঘুতা ছিল, বিবেকানন্দের চলিত ভাষা সম্পর্কে সে অভিযোগ তোলা যায় না। তাঁর চলিত গদ্যও পরিশীলিত।

৩. সাবলীলতা এবং স্বতঃস্ফূর্ততার চূড়ান্ত প্রকাশ বিবেকানন্দের গদ্য। অথচ শৈথিল্য তাঁর বাক্য গঠনে।

৪. বিবেকানন্দের সমকালে এমন সাহিত্যগুণান্বিত চলিত গদ্য আর কারো কলমে পাওয়া যায়নি।

৫. বাংলা কবিতায় নজরুল যে স্বভাব কবিত্ব বা স্বতঃস্ফূর্ততার পরিচয় দিয়েছেন, বাংলা গদ্যে তদনুরূপ স্বভাব-গদ্যময়তা দেখিয়েছেন বিবেকানন্দ। কিন্তু নজরুলের চিন্তায় কখনো কখনো যে অপরিণতির ছাপ আছে, বিবেকানন্দের গদ্যে তা সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত। সে গদ্য প্রতি পদক্ষেপে সুচিন্তিত, যুক্তিনিষ্ঠ এবং বিশ্লেষণপ্রবণ।

৬. সংক্ষিপ্ত কাটা কাটা বাক্য তাঁর গদ্যে এনেছে ঋজুতা।

৭. তাঁর অধিকাংশ লেখাতে বক্তৃতার ঢঙটি অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ফলে অধিকাংশ লেখাতেই তাঁর ব্যক্তিত্ব উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে।

তথ্যসূত্র:

বাঙ্গালা সাহিত্যের কথা – সুকুমার সেনDownload
বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস – সুকুমার সেন (১ম খণ্ড)Download
বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস – সুকুমার সেন (২য় খণ্ড)Download
বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস – সুকুমার সেন (৩য় খণ্ড)Download
বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস – সুকুমার সেন (৪র্থ খণ্ড)Download
বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস – সুকুমার সেন (৫ম খণ্ড)Download
বাংলা সাহিত্যের ইতিকথা (১ম) – ভূদেব চৌধুরীDownload
বাংলা সাহিত্যের ইতিকথা (২য়) – ভূদেব চৌধুরীDownload
বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত – অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়Download
বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (১ম) – অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়Download
বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (২য়) – অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়Download
বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (৩য়) – অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়Download
বাংলা সাহিত্যের নানাদিক – ব্রজেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যDownload
বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস – ভূদেব চৌধুরীDownload
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – নির্মলেন্দু দাশDownload
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – আশুতোষ ভট্টাচার্যDownload
বাংলা সাহিত্যের খসড়া – প্রিয়রঞ্জন সেনDownload
বাংলা সাহিত্যের ভূমিকা – নন্দগোপাল সেনগুপ্তDownload
বাংলা সাহিত্যের কথা – নিত্যানন্দবিনোদ গোস্বামীDownload
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (আদি ও মধ্যযুগ) – তুষারকান্তি মহাপাত্রDownload
প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের ইতিকথা – আজাহার ইসলামDownload
প্রাচীন বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস – তমোনশ চন্দ্র দাশগুপ্তDownload
প্রাচীন বাঙ্গালা সাহিত্যের প্রাঞ্জল ইতিহাস – দেবেন্দ্রকুমার ঘোষDownload
মধ্য যুগের কবি ও কাব্য – শঙ্করীপ্রসাদ বসুDownload
বাংলা সাহিত্যের বিকাশের ধারা – শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়Download
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – আশুতোষ ভট্টাচার্যDownload
বাঙলা সাহিত্যের রূপরেখা (১ম খণ্ড) – গোপাল হালদারDownload
বাঙলা সাহিত্যের রূপরেখা (২য় খণ্ড) – গোপাল হালদারDownload
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (১-৪) প্রাচীন পর্যায় – নিখিলেশ পুরকাইতDownload
বাংলা সাহিত্য পরিচয় (প্রাচীন ও মধ্যযুগ) – পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্যDownload
প্রাচীন ও মধ্য যুগ – গোপাল হালদারDownload
হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহাDownload
চর্যাগীতি-পদাবলী – সুকুমার সেনDownload
চর্যাগীতি পরিক্রমা – নির্মল দাশDownload
চর্যাগীতির ভূমিকা – জাহ্নবীকুমার চক্রবর্তীDownload
চর্যাগীতি পরিচয় – সত্যব্রত দেDownload
মধ্য যুগের কবি ও কাব্য – শঙ্করীপ্রসাদ বসুDownload
মধ্য যুগে বাংলা সাহিত্যের তথ্য ও কালক্রম – সুখময় মুখোপাধ্যায়Download
চণ্ডীমঙ্গল – সুকুমার সেনDownload
কবি ভারতচন্দ্র – শঙ্করীপ্রসাদ বসুDownload
চণ্ডীদাস ও বিদ্যাপতি – শঙ্করীপ্রসাদ বসুDownload
জ্ঞানদাস ও তাহার পদাবলী – বিমানবিহারী মজুমদারDownload
চণ্ডীদাসের পদাবলী – বিমানবিহারী মজুমদারDownload
গোবিন্দদাসের পদাবলী ও তাহার যুগ – বিমানবিহারী মজুমদারDownload
পাঁচশত বৎসরের পদাবলি – বিমানবিহারী মজুমদারDownload
বৈষ্ণব রসপ্রকাশ – ক্ষুদিরাম দাসDownload
বৈষ্ণব কবি প্রসঙ্গে – দেবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়Download
বৈষ্ণব রস-সাহিত্য – খগেন্দ্রনাথ মিত্রDownload
ভারতের শক্তি-সাধনা ও শাক্ত সাহিত্য – শ্রীশশিভূষণ দাশগুপ্তDownload
শাক্ত পদাবলী – শ্রীঅমরেন্দ্রনাথ রায়Download
শাক্তপদাবলী ও শক্তিসাধনা – শ্রীজাহ্নবীকুমার চক্রবর্তীDownload
শাক্ত পদাবলী – ধ্রুবকুমার মুখোপাধ্যায়Download
শ্রীচৈতন্যভাগবত – শ্রীবৃন্দাবন দাস ঠাকুরDownload
চণ্ডীমঙ্গল – সুকুমার সেনDownload
কবিকঙ্কণ চণ্ডী – মুকুন্দরাম চক্রবর্তীDownload
চণ্ডীমঙ্গল বোধিনী – চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়Download
চণ্ডীমঙ্গল – বিজন বিহারী ভট্টাচার্যDownload
চণ্ডীমঙ্গল – শ্রীঅনিল বরণ গঙ্গোপাধ্যায়Download
ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল – জয়িতা দত্তDownload
ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল – শ্রীব্রজেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যDownload
অন্নদামঙ্গল – রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রDownload
ভারতচন্দ্র – মদনমোহন গোস্বামীDownload
কবি ভারতচন্দ্র – শঙ্করীপ্রসাদ বসুDownload
বাঙলা মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস – শ্রীআশুতোষ ভট্টাচার্যDownload
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – আশুতোষ ভট্টাচার্যDownload
বাঙলা সাহিত্যের রূপরেখা (১ম খণ্ড) – গোপাল হালদারDownload
বাঙলা সাহিত্যের রূপরেখা (২য় খণ্ড) – গোপাল হালদারDownload
বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত – অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়Download
মধ্য যুগের কবি ও কাব্য – শঙ্করীপ্রসাদ বসুDownload
পাঁচশত বৎসরের পদাবলি – বিমানবিহারী মজুমদারDownload
বৈষ্ণব রসপ্রকাশ – ক্ষুদিরাম দাসDownload
বৈষ্ণব কবি প্রসঙ্গে – দেবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়Download
আধুনিক বাংলা কবিতা – বুদ্ধদেব বসুDownload
আধুনিক বাংলা কবিতা: বিচার ও বিশ্লেষণ – জীবেন্দ্র সিংহ রায়Download
আধুনিক বাংলা কবিতা – আবু সায়ীদ আইয়ুবDownload
আধুনিক কবিতার ভূমিকা – সঞ্জয় ভট্টচার্যDownload
আধুনিক কবিতার দিগবলয় – অশ্রুকুমার শিকদারDownload
বাংলা সাহিত্যের বিকাশের ধারা – শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়Download
বাংলা কাব্য-সাহিত্যের কথা – কনক বন্দ্যোপাধ্যায়Download
আধুনিক বাংলা কাব্য (১ম পর্ব) – তারাপদ মুখোপাধ্যায়Download
আধুনিক বাংলা কাব্যপরিচয় – দীপ্তি ত্রিপাঠীDownload
বাংলা কবিতার নবজন্ম – সুরেশচন্দ্র মৈত্রDownload
বাংলা সাহিত্যে গদ্য – সুকুমার সেনDownload
বাংলা সাহিত্যের নবযুগ – শশিভূষণ দাশগুপ্তDownload
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – ক্ষেত্র গুপ্তDownload
বাংলা  গদ্যরীতির ইতিহাস – অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়Download
বাংলা গদ্যের শিল্পী সমাজ – অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়Download
সাহিত্য-সন্ধান – অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়Download
বাংলা গদ্য সাহিত্যের ইতিহাস – জহরলাল বসুDownload
বাংলা গদ্যসাহিত্যের ইতিহাস – সজনীকান্ত দাশDownload
বাংলা গদ্যের পদাঙ্ক – প্রমথনাথ বিশীDownload
আধুনিক বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যের ধারা – অধীর দেDownload
বাংলা গদ্যের চারযুগ – শ্রীমনোমোহন ঘোষDownload
বাংলা কবিতার নবজন্ম – সুরেশচন্দ্র মৈত্রDownload
আধুনিক বাংলা কবিতা – বুদ্ধদেব বসুDownload
আধুনিক বাংলা কবিতা: বিচার ও বিশ্লেষণ – জীবেন্দ্র সিংহ রায়Download
আধুনিক বাংলা কবিতা – আবু সায়ীদ আইয়ুবDownload
আধুনিক কবিতার ভূমিকা – সঞ্জয় ভট্টচার্যDownload
আধুনিক কবিতার দিগবলয় – অশ্রুকুমার শিকদারDownload
বাংলা কাব্য-সাহিত্যের কথা – কনক বন্দ্যোপাধ্যায়Download
আধুনিক বাংলা কাব্য (১ম পর্ব) – তারাপদ মুখোপাধ্যায়Download
আধুনিক বাংলা কাব্যপরিচয় – দীপ্তি ত্রিপাঠীDownload
ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলা গীতিকাব্য  – অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়Download
রবীন্দ্রানুসারী কবিসমাজ – অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়Download
সমালোচনা সাহিত্য পরিচয় – শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়Download
শকুন্তলা ও সীতার বনবাস – উজ্জ্বলকুমার মজুমদারDownload
বাংলা ছন্দ – শশিভূষণ ভট্টাচার্যDownload
ছন্দ-তত্ত্ব ও ছন্দ বিবর্তন – তারাপদ ভট্টাচার্যDownload
ছন্দ-জিজ্ঞাসা – প্রবোধচন্দ্র সেনDownload
ছন্দ – প্রবোধচন্দ্র সেনDownload
বাংলা পদাবলীর ছন্দ – আনন্দমোহন বসুDownload
বাংলা ছন্দের মূলসূত্র – অমূল্যধন মুখোপাধ্যায়Download
আধুনিক বাংলা ছন্দ (১ম পর্ব) – নীলরতন সেনDownload
আধুনিক বাংলা ছন্দ (২য় পর্ব) – নীলরতন সেনDownload
নূতন ছন্দ পরিক্রমা – প্রবোধচন্দ্র সেনDownload
ছন্দ – আবদুল মান্না সৈয়দDownload
বাংলা ছন্দ  – শ্রীসুধীভূষণ উট্টাচার্যDownload
বাংলা কবিতার ছন্দ – শ্রীমোহিতলাল মজুমদারDownload
আধুনিক বাংলা কবিতা: বিচার ও বিশ্লেষণ – জীবেন্দ্র সিংহ রায়Download
ছন্দ ও অলংকার – অতীন্দ্র মজুমদারDownload
ছন্দ ও অলংকার – অজয় কুমার চক্রবর্তীDownload
বাংলা অলংকার – জীবেন্দ্র সিংহ রায়Download
অলংকার-চন্দ্রিকা – শ্যামাপদ চক্রবর্তীDownload
আধুনিক বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যের ধারা – অধীর দেDownload
বাংলা  গদ্যরীতির ইতিহাস – অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়Download
বাংলা গদ্যের শিল্পী সমাজ – অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়Download
বাংলা গদ্যসাহিত্যের ইতিহাস – সজনীকান্ত দাশDownload
চিন্তানায়ক বঙ্কিমচন্দ্র – ভবতোষ দত্তDownload
বঙ্কিম-প্রসঙ্গ – সুরেশচন্দ্র সমাজপতিDownload
রামেন্দ্রসুন্দর জীবন-কথা – শ্রীআশুতোষ বাজপেয়ীDownload
বুদ্ধদেব বসু: স্রস্টা ও সৃষ্টি – ধ্রুবকুমার মুখোপাধ্যায়Download
আধুনিক বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যের ধারা – অধীর দেDownload
বাংলা  গদ্যরীতির ইতিহাস – অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়Download
বাংলা উপন্যাসের কালান্তর – সরোজ বন্দোপাধ্যায়Download
বঙ্গসাহিত্যে উপন্যাসের ধারা – শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়Download
সমালোচনা-সাহিত্য-পরিচয় – শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়Download
চিন্তানায়ক বঙ্কিমচন্দ্র – ভবতোষ দত্তDownload
বাংলা নাটকের ইতিহাস – অজিত কুমার ঘোষDownload
বাংলা নাটকের ইতিবৃত্ত – হেমেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তDownload
বাংলা নাট্য সাহিত্যের ইতিহাস (১ম খণ্ড) – আশুতোষ ভট্টাচার্যDownload
বাংলা নাট্য সাহিত্যের ইতিহাস (২য় খণ্ড) – আশুতোষ ভট্টাচার্যDownload
সামাজিক নাটকের বিবর্তন – আশুতোষ ভট্টাচার্যDownload
নাট্য সাহিত্যের আলোচনা ও নাটক বিচার – সাধনকুমার ভট্টাচার্যDownload
উনিশ শতকের সমাজ আন্দোলন ও বাংলা নাটকের আদিপর্ব  – শম্ভুনাথ বীটDownload
শত বছরের বাংলা নাটকে নারীর অবস্থান – সুনীতি বিশ্বাসDownload
বাংলা নাটকের বিবর্তন – সুরেশচন্দ্র মৈত্রDownload
বাংলা সাহিত্যে নাটকের ধারা – বৈদ্যনাথ শীলDownload
রবীন্দ্র নাটকের ভারধারা – মনোরঞ্জন জানাDownload
রবীন্দ্র-নাটক-প্রসঙ্গDownload
রবীন্দ্র নাট্যধারা – আশুতোষ ভট্টাচার্যDownload
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন বাংলা নাটক ও নাট্যশালা – সুপ্রভাত চক্রবর্তীDownload
দেশাত্মবোধক ও ঐতিহাসিক বাংলা নাটক – প্রভাত কুমার গোস্বামীDownload
উনিশ শতকের দর্পণ নাটক  – প্রভাতকুমার গোস্বামীDownload
রবীন্দ্র নাট্য-পরিক্রমা – উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যDownload
বাংলা উপন্যাস – কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়Download
বাংলা উপন্যাসের উৎস সন্ধানে – অশোককুমার দেDownload
বাংলা উপন্যাসের কালান্তর – সরোজ বন্দোপাধ্যায়Download
বঙ্গসাহিত্যে উপন্যাসের ধারা – শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়Download
বিষয়: বাংলা উপন্যাস – বীরেন চন্দDownload
কালের প্রতিমা (বাংলা উপন্যাসের পঞ্চাশ বছর) – অরুণ কুমার মুখোপাধ্যায়Download
বাংলা সাহিত্যে ঐতিহাসিক উপন্যাস – বিজিতকুমার দত্তDownload
সাহিত্যকোষ: কথাসাহিত্য – অলোক রায়Download
বাংলা কথাসাহিত্য প্রসঙ্গ: গোপিকানাথ রায়চৌধুরীDownload
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সমকালীন বাংলা কথাসাহিত্য – গোপিকানাথ রায়চৌধুরীDownload
কালের পুত্তলিকা – অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়Download
বাংলা সাহিত্যের ছোটগল্প ও গল্পকার – ভূদেব চৌধুরীDownload
বাংলা সাহিত্যে ছোটগল্পের ধারা: উত্তরভাগ – কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়Download
সাহিত্যে ছোটগল্প – নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়Download
বাংলা গল্প বিচিত্রা – নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়Download
বাংলা ছোটগল্প (১৮৭৩-১৯২৩) – শিশিরকুমার দাশDownload
কবি শ্রীমধুসূদনের বীরাঙ্গনা কাব্য – অমরেন্দ্র গণাইDownload
গীতিকবি শ্রীমধুসূদন – আশুতোষ ভট্টাচার্যDownload
কাব্যসাহিত্যে মাইকেল মধুসূদন দত্ত – কনক বন্দ্যোপাধ্যায়Download
মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনচরিত – সুখময় মুখোপাধ্যায়Download
মধুসূ্দন: সাহিত্যপ্রতিভা ও শিল্পী-ব্যক্তিত্বDownload
মাইকেল মধুসূদন দত্ত: জীবন ও সাহিত্য – সুখময় মুখোপাধ্যায়Download
মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনচরিত – যোগীন্দ্রনাথ বসুDownload
মধুসূদনের কবি-আত্মা ও কাব্যশিল্প – ক্ষেত্র গুপ্তDownload
কবি মধুসূদন ও তাঁর পত্রাবলী – ক্ষেত্র গুপ্তDownload
রবীন্দ্রনাথের বলাকা: গতিরাগের কাব্য – সুজয়কুমার মাইতিDownload
বলাকা কাব্য পরিক্রমা – ক্ষিতিমোহন সেনDownload
জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (১ম খণ্ড)Download
আধুনিক বাংলা কবিতা – হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়Download
রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-জীবনানন্দ – ইন্দুভূষণ দাশDownload
কপালকুণ্ডলা – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়Download
কথাসাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র – সুধাকর চট্টোপাধ্যায়Download
বঙ্কিমচন্দ্র ও উত্তরকাল – প্রমথনাথ বিশীDownload
বঙ্কিমচন্দ্র জীবন ও সাহিত্য: গোপালচন্দ্র রায়Download
রবীন্দ্র উপন্যাস সংগ্রহDownload
রবীন্দ্রবিচিত্রা – প্রমথনাথ বিশীDownload
রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস – মনোরঞ্জন জানাDownload
রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস – পুলকেশ দে সরকারDownload
কবি – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়Download
ঔপন্যসিক তারাশঙ্কর – মুক্তি চৌধুরীDownload
তারাশঙ্কর স্মারকগ্রন্থ – ভীষ্মদেব চৌধুরীDownload
সোনার মলাট: তারাশঙ্কর – শ্যামল চক্রবর্তীDownload
তারাশঙ্কর: সমকাল ও উত্তরকালের দৃষ্টিতে – ধ্রুবকুমার মুখোপাধ্যায়Download
তারাশঙ্কর: দেশ-কাল-সাহিত্য – উজ্জ্বলকুমার মজুমদারDownload
তারাশঙ্কর অন্বেষা – সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়Download
ভারতশিল্পী তারাশঙ্কর – জগদীশ ভট্টাচার্যDownload
তারাশঙ্কর – হরপ্রসাদ মিত্রDownload
সধবার একাদশী – দীনবন্ধু মিত্রDownload
দীনবন্ধু মিত্র – সুশীলকুমার দেDownload
দীনবন্ধু মিত্র: কবি ও নাট্যকার – মিহিরকুমার দাসDownload
দীনবন্ধু মিত্র – অজিতকুমার ঘোষDownload
রায় দীনবন্ধু মিত্র বাহাদুরের জীবনী – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়Download
সাজাহান – দ্বিজেন্দ্রলাল রায়Download
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়: কবি ও নাট্যকারDownload
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় – শ্রীনবকৃষ্ণ ঘোষDownload
উদাসী দ্বিজেন্দ্রলাল – দিলীপকুমার রায়Download
ডাকঘর – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরDownload
রবীন্দ্র নাট্যপ্রবাহ (১ম খণ্ড) – প্রমথনাথ বিশীDownload
রবীন্দ্র নাট্যপ্রবাহ (২য় খণ্ড) – প্রমথনাথ বিশীDownload
রবীন্দ্র নাট্যপরিক্রমা – উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যDownload
রবীন্দ্র নাট্য সমীক্ষা – কনক বন্দ্যোপাধ্যায়Download
রবীন্দ্র নাট্য সাহিত্যের ভূমিকা – সাধনকুমার ভট্টাচার্যDownload
রবীন্দ্র-নাট্যকল্পনা: অন্যান্য প্রসঙ্গ – কানাই সামন্তDownload
রবীন্দ্রনাথের রূপকনাট্য – শান্তিকুমার দাশগুপ্তDownload
বাংলা থিয়েটারের ইতিহাস – দর্শন চৌধুরীDownload
রঙ্গমঞ্চ – অমরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়Download
নাট্যভাবনা – অমর বন্দ্যোপাধ্যায়Download
শ্রীরামকৃষ্ণ ও বঙ্গ রঙ্গমঞ্চ – আবুল বারক আলভীDownload
বাংলা পেশাদারি থিয়েটার: একটি ইতিহাসDownload
নাট্যমঞ্চ নাট্যরূপ – পবিত্র সরকারDownload
নাট্যতত্ত্ব বিচার – দুর্গাশঙ্কর মুখোপাধ্যায়Download
রঙ্গালয়ে ত্রিশ বছর – অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়Download
বাংলা সাময়িক পত্র (১ম খণ্ড) – ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়Download
বাংলা সাময়িক পত্র (২য় খণ্ড) – ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়Download
সংবাদপত্রে সেকালের কথা (১ম খণ্ড) -ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়Download
সংবাদপত্রে সেকালের কথা (২য় খণ্ড) -ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়Download
সংবাদপত্রে সেকালের কথা (৩য় খণ্ড) -ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়Download
বাংলা সংবাদপত্র ও বাঙালির নবজাগরণ – পার্থ চট্টোপাধ্যায়Download
রবীন্দ্র নাট্যপ্রবাহ (১ম খণ্ড) – প্রমথনাথ বিশীDownload
রবীন্দ্র নাট্যপ্রবাহ (২য় খণ্ড) – প্রমথনাথ বিশীDownload
রবীন্দ্র নাট্যপরিক্রমা – উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যDownload
রবীন্দ্র নাট্য সমীক্ষা – কনক বন্দ্যোপাধ্যায়Download
রবীন্দ্র নাট্য সাহিত্যের ভূমিকা – সাধনকুমার ভট্টাচার্যDownload
রবীন্দ্র-নাট্যকল্পনা: অন্যান্য প্রসঙ্গ – কানাই সামন্তDownload
রবীন্দ্রনাথের রূপকনাট্য – শান্তিকুমার দাশগুপ্তDownload
রবীন্দ্রবিচিত্রা – প্রমথনাথ বিশীDownload
রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস – মনোরঞ্জন জানাDownload
রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস – পুলকেশ দে সরকারDownload
কবিমানসী (১ম খণ্ড: জীবনভাষ্য) – শ্রীজগদীশ ভট্টাচার্যDownload
কবিমানসী (২য় খণ্ড) – শ্রীজগদীশ ভট্টাচার্যDownload
রবীন্দ্র কবিতাশতক – শ্রীজগদীশ ভট্টাচার্যDownload
রবীন্দ্র কাব্য-পরিক্রমা – উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যDownload
রবীন্দ্র কাব্য প্রবাহ – প্রমথনাথ বিশীDownload
রবীন্দ্রনাথ: জীবন ও সাহিত্য -সজনীকান্ত দাশDownload
রবীন্দ্র সৃষ্টি-সমীক্ষা – শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়Download
রবীন্দ্র-মণীষা – অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়Download
রবীন্দ্র সাহিত্যের ভূমিকা – নীহাররঞ্জন রায়Download
কবিগুরু – অমূল্যধন মুখোপাধ্যায়Download
রবি-প্রদক্ষিণ – চারুচন্দ্র ভট্টাচার্যDownload
কবি রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রকাব্য – মোহিতলাল মজুমদারDownload
রবীন্দ্র-স্মরণী – প্রমথনাথ বিশীDownload
রবি-রশ্মি (১ম) – চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়Download
রবি-রশ্মি (২য়) – চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়Download
প্রকৃতির কবি রবীন্দ্রনাথ – অমিয়কুমার সেনDownload
বাংলা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা – সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়Download
বাংলা ভাষাপ্রসঙ্গে – সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়Download
ভাষা-প্রকাশ বাংলা ব্যাকরণ – সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়Download
সাধারণ ভাষাবিজ্ঞান ও বাংলা ভাষা – রামেশ্বর শDownload
ভাষার ইতিবৃত্ত – সুকুমার সেনDownload
ভারতের ভাষা ও ভাষা-সমস্যা – সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়Download

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!