রঙ্গমঞ্চের ইতিহাসে বেলগছিয়া নাট্যশালার অবদান আলোচনা কর।
বেলগাছিয়া নাট্যশালা
বেলগাছিয়া নাট্যশালা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে। পাইকপাড়ার বিখ্যাত রাজভ্রাতৃদ্বয় প্রতাপচন্দ্র সিংহ ও ঈশ্বরচন্দ্র সিংহ উদ্যোগী হয়ে তাঁদের বেলগাছিয়ার বাগানবাড়িতে একটি স্থায়ী রঙ্গমঞ্চ প্রতিষ্ঠা করেন। নাম দেন বেলগাছিয়া নাট্যশালা। এই নাট্যশালার প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন সে যুগের বিখ্যাত ধনী ও বিদ্বজ্জন এবং নাট্য উৎসাহী যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর। যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের চেষ্টাতেই ওরিয়েন্টাল থিয়েটারের অভিনেতারা এই রঙ্গমঞ্চে এসে যোগ দেন এবং আর ইংরেজি নাটকের অভিনয় নয়, এবার বাংলা নাটকের অভিনয়ে প্রস্তুত হন। এই প্রস্তুতি তারা প্রথমে নিয়েছিলেন রামজয় বসাকের বাড়িতে নাট্যশালা স্থাপন করে ‘কুলীনকুলসর্বস্ব’ নাটক অভিনয়ের মাধ্যমে। এদের মধ্যে প্রধান ছিলেন কেশবচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়। সহযোগী ছিলেন অভিনেতা প্রিয়নাথ দত্ত, দীননাথ ঘোষ। এঁরা ওরিয়েন্টাল থিয়েটারে ইংরেজি নাটকের অভিননে অংশগ্রহণ করেন এবং মিঃ ক্লিঙ্গার ও মিসেস ক্লেরা ইলিস-এর কাছে নাট্যাভিনয় শিক্ষা করে ইংরেজি থিয়েটারের মঞ্চব্যবস্থা ও মঞ্চোপকরণ ব্যবহার এবং অভিনয়-কলা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করেন। কেশবচন্দ্র বেলগাছিয়া নাট্যশালায় নাট্য পরিচালনা ও অভিনয়ে অংশগ্রহণ করেন। প্রিয়নাথ ও দীননাথ সক্রিয় সহযোগিতা করেন এবং অভিনয়ে অংশ নেন। এই সময়কার অনেক ইংরেজি শিক্ষিত তরুণ বাঙালিও এই নাট্যশালার সঙ্গে নানাভাবে জড়িত ছিলেন।
রঙ্গালয়টি ইংরেজি থিয়েটারের আদর্শে বিপুল অর্থ ব্যয়ে স্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়। ইংরেজ শিল্পীদের দিয়ে এর দৃশ্যপট আঁকানো হয়। থিয়েটারে অভিজ্ঞ ইংরেজ শিল্পীদের ব্যবস্থাপনায় মঞ্চ পরিকল্পিত হয়। পাদপ্রদীপে গ্যাসের আলো দেওয়া হয়। নানারকমের গীতবাদ্যের সহযোগে প্রথম দেশীয় ঐকতানবাদন চালু করা হয়। নাট্যাভিনয়ের সময়ে প্রচুর খরচ করে চরিত্রানুগ সাজসজ্জা প্রস্তুত করা হয়। অভিনেতারা সবাই শিক্ষিত ও নাট্যরসবোদ্ধা ছিলেন। স্ত্রী ভূমিকায় পুরুষরাই অংশগ্রহণ করেছিল। রঙ্গমঞ্চের বিবিধ ব্যবস্থার, শুধুমাত্র ঐকতানবাদন ও নাট্যবিষয় ছাড়া, সব কিছুতেই, যেমন, মঞ্চসজ্জা, সাজসজ্জা, দৃশ্যপট, আলো এবং স্টেজ নির্মাণে কলকাতার সাহেবদের থিয়েটারের অনুবর্তন লক্ষ করা যায়।
রঙ্গমঞ্চের বহিরঙ্গগত কাঠামো ইংরেজদের থিয়েটার থেকে গ্রহণ করলেও, বেলগাছিয়া নাট্যশালায় প্রথম নাটক অভিনয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু সংস্কৃত নাটকের অনুবাদের দিকেই হাত বাড়াতে হলো। শ্রীহর্ষের সংস্কৃত নাটক ‘রত্নাবলী’র বাংলা অনুবাদ করে দিলেন রামনারায়ণ তর্করত্ন। অনুবাদের জন্য পেলেন দুইশো টাকা। এই নাটকটি দিয়েই বেলগাছিয়া থিয়েটারের নাট্যাভিনয়ের উদ্বোধন হলো—১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ জুলাই, শনিবার। এই নাটকটি অভিনয় করার জন্য রাজারা দশ হাজার টাকা খরচ করলেন।
মঞ্চ, সাজসজ্জা, আলো, সঙ্গীত এবং অভিনয়ের গুণে রত্নাবলীর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল, উপস্থিত দর্শকবৃন্দ ও পৃষ্ঠপোষক-উদ্যোক্তারা পরিতৃপ্ত হলেন। দর্শকের বারংবার অনুরোধে ‘রত্নাবলী’র ছয়-সাতবার অভিনয় করতে হচ্ছে। বারংবার দৃশ্যসজ্জা ও মঞ্চকৌশলের মাধ্যমে রাজা উদয়নের প্রাসাদে আগুন লাগা, পূর্ণচন্দ্রের প্রকাশ, যাদুকরের মন্ত্র উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে আলোর বিচ্ছুরণ দর্শকদের চমৎকৃত করেছিল।
রত্নাবলীর অভিনয় দেখতে এসেছিলেন ছোটলাট হেলিডে সাহেব, মিঃ হিউম, ডাঃ গুডইব চক্রবর্তী। অন্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, নাট্যকার রামনারায়ণ, রামগোপাল ঘোষ, প্যারীচাঁদ মিত্র, কালীকৃষ্ণ বাহাদুর প্রমুখ। রত্নাবলী নাটকের ভূমিকালিপি—
রাজা উদয়ন—প্রিয়নাথ দত্ত। বিদূষক—কেশব গঙ্গোপাধ্যায়। রুমজ্বান—ঈশ্বরচন্দ্র সিংহ। যৌগন্ধরায়ণ—গৌরদাস বসাক, দীননাথ ঘোষ, তারাচাদ গুহ। দৰ্ভব্যা—নবীন মুখখাপাধ্যায়। বাহুভূতি—গিরিশ চট্টোপাধ্যায়। বাসবদত্তা—মহেন্দ্রনাথ গোস্বামী, চুনীলাল বসু। রত্নাবলী—হেমচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। কাঞ্চনমালা—শ্রীরামপুরের জনৈক ব্রাহ্মণ। সুসঙ্গতা—অঘোরচন্দ্র দিঘরিয়া। বাজিকর—শ্রীনাথ সেন। দ্বারবান—যদুনাথ ঘোষ। সূত্রধর—ক্ষেত্ৰনাথ গোস্বামী। নট—রমানাথ লাহা। নর্তকী—কালিদাস সান্যাল ও কালীপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তোপদার—দ্বারকানাথ মল্লিক ও কৃষ্ণগোপাল বসু।
সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন রাজা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর। দেশীয় ঐকতানবাদনে ছিলেন ক্ষেত্রমোহন পাল ও যদুনাথ গোস্বামী। সঙ্গীত রচয়িতা—গুরুদয়াল পাল। নাট্যশিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন কেশবচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়।
‘রত্নাবলী’র অভিনয় দেখে স্বয়ং ছোটলাট বাঙালির নাটক অভিনয়ের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান এবং অভিনেতাদের অভিনন্দিত করেন। এই নাট্যানুষ্ঠানে গীতবাদ্য, আলো, সাজসজ্জা অভিনয় এত উন্নতমানের হয়েছিল যে, ‘হিন্দু পেট্রিয়ট’ পত্রিকা (৫ আগস্ট, ১৮৫৮) এই অভিনয়ের বিবরণ দিতে গিয়ে সাহেবদের চৌরঙ্গী ও সাঁ সুসি থিয়েটারের প্রসঙ্গ আলোচনা করে এই নাট্যাভিনয়ের উদ্যোক্তাদের সাধুবাদ জানান।
অভিনয়ে বেশির ভাগই ইংরেজি শিক্ষিত তরুণরা ছিল। রাজা ঈশ্বরচন্দ্রও অভিনয় করেছিলেন। তবে অভিনয়ে কেশবচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায় বিদূষকের ভূমিকায় সবচেয়ে খ্যাতিলাভ করেন। কেউ কেউ তাঁকে এই অভিনয়ের জন্য ‘বাংলার গ্যারিক’ আখ্যায় ভূষিত করেন। বেলগাছিয়া নাট্যশালার প্রথম নাটকের অভিনয় এদেশে নাট্যাভিনয়ের কিংবদন্তীরূপে প্রচারিত হয়ে গেল।
ইংরেজ দর্শকের জন্য ‘রত্নাবলী’ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। সেই সুবাদে তিনি বেলগাছিয়া নাট্যশালার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন এবং রত্নাবলীর অভিনয়ের প্রস্তুতি দেখেন এবং এইরকমের অকিঞ্চিৎকর সাধারণ একটি নাটকের জন্য রাজারা এত খরচ করছে জেনে বিস্ময়বোধ করেন। রাজাদের কাছে কোনো ভালো মৌলিক বাংলা নাটক ছিল না। এই রঙ্গমঞ্চে অভিনয়ের জন্যই মধুসূদন তাঁর ‘শর্মিষ্ঠা’ নাটকটি রচনা করেন। বেলগাছিয়া নাট্যশালায় ‘শর্মিষ্ঠা’র প্রথম অভিনয় হয় ৩ সেপ্টেম্বর, ১৮৫৯। তৃতীয় অভিনয়—২১ সেপ্টেম্বর, এবং ষষ্ঠ অভিনয় হয় ২৭ সেপ্টেম্বর। ১৮৫৯-এর সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যেই ছয়বার অভিনীত হয়।
‘শর্মিষ্ঠা’র অভিনয়েও এদেশী ও বিদেশীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ‘শর্মিষ্ঠা’র অভিনয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন—
যযাতি—প্রিয়নাথ দত্ত। বিদূষক মাধব্য—কেশবচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রাচার্য—দীননাথ ঘোষ। বকাসুর—ঈশ্বরচন্দ্র সিংহ। দেবযানী—হেমচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। শর্মিষ্ঠা—কৃষ্ণধন বন্দ্যোপাধ্যায়। নট—চুনীলাল বসু। এছাড়া যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর, রাজেন্দ্রলাল মিত্র সভাসদ হিসেবে মঞ্চে অভিনয় করেছিলেন।
শর্মিষ্ঠা ও দেবযানীর অভিনয় সকলকে মুগ্ধ করেছিল। অন্য সকলের অভিনয়ও খুবই উৎকৃষ্ট মানের হয়েছিল। লেফটেনান্ট গভর্নর গ্রান্ট সাহেব, পাটনার মুন্সী আমীর আলী উপস্থিত থেকে অভিনেতাদের উৎসাহিত করেছিলেন। বিদেশী দর্শকদের জন্য ‘শর্মিষ্ঠা’ নাটকেরও ইংরেজি অনুবাদ করানো হয়েছিল। শর্মিষ্ঠার অভিনয় দেখে নাট্যকার স্বয়ং মধুসূদন খুবই পরিতৃপ্ত হয়েছিলেন; তাঁর প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল এমন অভিমত তিনি বন্ধু রাজনারায়ণ বসুকে এই অভিনয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে লিখেছিলেন—‘‘As for my own feelings, they were, things to dream of, not to tell.’’
‘শর্মিষ্ঠা’র অভিনয়ের সাফল্য বেলগাছিয়া নাট্যশালার খ্যাতি বাড়িয়ে দেয়। ‘রত্নাবলী’র মতো শর্মিষ্ঠার অভিনয়েও সিংহ রাজভ্রাতারা চেষ্টার ত্রুটি করেননি। অবশ্য মধুসূদন ‘শর্মিষ্ঠা’ রচনার সময়ে খেয়াল রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন যাতে রত্নাবলী অভিনয়ের জন্য প্রচুর খরচ করে যেসব দৃশ্যপট অঙ্কন করা হয়েছে এবং পোষাক-পরিচ্ছদ তৈরি হয়েছে, সেগুলির সদ্ব্যবহার করা যায়। অনেকটা সেই ভাবেই তিনি চরিত্র এবং দৃশ্য পরিকল্পনা করেছিলেন। কেশবচন্দ্র রত্নাবলীতে বিদূষকের ভূমিকায় অসামান্য সাফল্য লাভ করেছিলেন, সেই কারণে কেশবের উপযোগী মাধব্য বিদূষকের চরিত্র মধুসূদন সৃষ্টি করে দিয়েছিলেন। তাছাড়া উদ্যোক্তা, দর্শক ও অভিনেতাদের কথা মাথায় রেখেই মধুসূদন ‘শর্মিষ্ঠা’ নাটকে সংস্কৃত নাট্যাদর্শের ব্যবহার করেছেন আবার ইংরেজি নাট্যাদর্শকে স্বীকার করে প্লট, চরিত্র ও সংলাপ রচনা করার চেষ্টা করেছেন।
বাংলা রঙ্গমঞ্চের ইতিহাসে বেলগাছিয়া নাট্যশালার অবদান
সখের নাট্যশালার ইতিহাসে বেলগাছিয়া নাট্যশালার অবদান অনেকদিক দিয়েই উল্লেখযোগ্য—
- এই নাট্যশালার জাঁকজমক, দৃশ্যপট অঙ্কন, দেশীয় ঐকতানবাদন, নৃত্যগীত, সাজসজ্জা এবং অভিনেতাদের কৃতিত্বপূর্ণ উন্নতমানের অভিনয়—ধনী বাঙালির বাড়ির সখের সমস্ত নাট্য প্রচেষ্টাকে ছাড়িয়ে যায়।
- সখের নাট্যশালার ইতিহাসে বেলগাছিয়া নাট্যশালার অভিনয় শ্রেষ্ঠতম নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই নাট্যশালার সঙ্গে সংযােগের ফলেই বাংলা সাহিত্যে মধুসূদনের আবির্ভাব। তার শর্মিষ্ঠা’ এই নাট্যশালার তাগিদেই রচিত ও অভিনীত হয়। শিবনাথ শাস্ত্রী যথার্থ বলেছেন : ‘এই নাট্যালয় বঙ্গসাহিত্যে এক নবযুগ আনিয়া দিবার উপায়স্বরূপ হইল। ইহা অমর কবি মধুসুদনের সহিত আমাদের পরিচয় করাইয়া দিল।[রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ] মধুসূদনও এই নাট্যশালার প্রধান উদ্যোক্তা সিংহ রাজপ্রাতৃদ্বয়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রকাশিত ‘শর্মিষ্ঠা’র ভূমিকায় লিখেছিলেন—‘‘যদি ভারতবর্যে নাটকের পুনরুত্থান হয়, তবে ভবিষ্যৎ যুগের লোকেরা এই দুইজন উন্নতমনা পুরুষের কথা বিস্মৃত হইবে না–ইহারাই আমাদের উদীয়মান জাতীয় নাট্যশালার প্রথম উৎসাহদাতা।’’
- বেলগাছিয়া নাট্যশালায় অভিনয়ের জন্যই মধুসূদন পদ্মাবতী, কৃষ্ণকুমারী, একেই কি বলে সভ্যতা?, বুড়ো সালিখের ঘাড়ে রোঁ নাটক-প্রহসন রচনা করেন। কিন্তু উদ্যোক্তা ও পৃষ্ঠপোষকদের অসুবিধা ও আপত্তির কারণে এর কোনোটিই এখানে অভিনীত হয়নি। মধুসূদনের নাট্যকার জীবনের সম্ভাবনার অঙ্কুর এবং বিকাশ যেমন এই নাট্যশালা থেকেই, তেমনি পর পর লেখা নাটকগুলির অভিনয় না করাতে মনোবেদনার কারণে তাঁর সত্যিকারের নাট্যকার জীবনের অপমৃত্যও এই নাট্যশালার জন্য।
- রত্নাবলী ও শর্মিষ্ঠা ছাড়া বেলগাছিয়া নাট্যশালায় অন্য কোনো নাটকের আর অভিনয় হয়নি। যদিও ঈশ্বরচন্দ্র সিংহের উদ্যোগে কয়েকটি ইংরেজি প্রহসন (Power and Principle, Prince for an hour, Fast Train, High Pressure Express) অভিনয়ের জন্য মহলা শুরু করেছিলেন। কিন্তু এই রঙ্গমঞ্চে কোনো ইংরেজি নাটকের অভিনয় করা সমীচীন হবে না বিবেচনায় ইংরেজি প্রহসনগুলির অভিনয়ের প্রস্তুতি আর এগোয়নি।
- এর মধ্যে রাজা ঈশ্বরচন্দ্র সিংহের অকালমৃত্যুতে (২৯ মার্চ, ১৮৬১) এই নাট্যশালায় নাটকের অভিনয়ের সম্ভাবনা বন্ধ হয়ে যায়। তবুও নাট্যমঞ্চ, নাট্য উপস্থাপনা, অভিনয়, গীতবাদ্য এবং সর্বোপরি মধুসূদনের নাট্যরচনা তথা বাংলা সাহিত্য রচনার শুভযাত্রা—সব মিলিয়ে বাংলা নাট্যশালার ইতিহাসে বেলগাছিয়া নাট্যশালা অবশ্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
- শুধু ধনী বাঙালির শখ-শৌখিনতা নয়, যথার্থে বাংলার নাট্যসংস্কৃতি গড়ে তোলার উদ্যোগ বেলগাছিয়া নাট্যশালা নিয়েছিল।
Leave a Reply