কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের কৃতিত্ব আলোচনা কর।
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
সংস্কৃত, বাংলা ও ফারসি ভাষায় বিশেষ বুৎপন্ন কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার (১৮৩৭-১৯০৫) ছিলেন ‘সংবাদ প্রভাকরের’ লেখক। তিনি ‘ঢাকা প্রকাশ’ ও ‘কবিতাকুসুমাবলী’ নামক পত্রিকাগুলোরও সম্পাদক ছিলেন। যশোর জেলা স্কুলের হেডপণ্ডিত হিসেবে তিনি চাকরি করেছেন। সেখানে বাংলা-সংস্কৃত দ্বিভাষিক পত্রিকা ‘দৈভাষিকীর’ সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। ফারসি কবি শেখ সাদী ও হাফিজের কবিতার ভাবানুবাদ ‘সদ্ভাবশতক’ কাব্য কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। নীতিমূলক এই কবিতাগুলো তার কবিখ্যাতির প্রধান কারণ। কিছু গদ্যরচনাও তাঁর ছিল। তাঁর ‘সদ্ভাবশতক’ কাব্যটি নীতিকবিতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। ফারসি থেকে গ্রহণ করা হলেও কবির নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টি এতে স্থান পেয়েছে। একটি নমুনা—
কেন পান্থ! ক্ষান্ত হও হেরে দীর্ঘ পথ?
উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ ?
কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে,
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?
মনে ভেবে বিষম-ইন্দ্রিয়-রিপু-ভয়,
হাফেজ, বিমুখ কেন করিতে প্রণয়?
Leave a Reply