কবি দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলোচনা কর।
দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠপুত্র এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভ্রাতা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৪০-১৯২৬) ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। দার্শনিক আলোচনায় তাঁর যথেষ্ট আগ্রহ ছিল, তাঁর কাব্যে সে পরিচয় প্রকাশমান। একান্ত নিজস্ব ভঙ্গি এবং ভাবের স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশের জন্য তাঁর কাব্যসাধনা বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছিল । ‘স্বপ্নপ্রয়াণ’ (১৮৭৫) নামক কাব্যের মাধ্যমেই তাঁর বিশেষ খ্যাতি আসে। কাব্যটি মনোজগতের রূপক হিসেবে উল্লেখযোগ্য। ‘স্বপ্নপ্রয়াণ’ আধ্যাত্মিক কাব্য নয়, পুরাপুরি সাহিত্য রসময় কাব্য। স্বপ্নজগতে পরিভ্রমণের চিত্রসম্বলিত এই কাব্যে ছন্দ ও ভাষার অসঙ্কোচ প্রকাশ বৈশিষ্ট্য দান করেছে। ‘স্বপ্নপ্রয়াণ’ কাব্যের কবিতার একটি নিদর্শন—
রম্য এসে উপবন।
কহে কবি তখন,
ফিরাইয়া নয়ন
চৌদিক পানে।
পুষ্প-লতা মিলি জুলি
সমীরে হেলি দুলি,
করিছে কোলাকুলি
অভদ প্রাণে।
দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর কালিদাসের ‘মেঘদূত’ কাব্যের বঙ্গানুবাদ করেছিলেন। ‘পদ্যে ব্রাহ্মধর্ম’ তাঁর ধর্মসম্পর্কিত রচনা। ‘যৌতুক ও কৌতুক’ নামক গ্রন্থটি একটি গাথাকাব্য। এর কাহিনি রূপকথার মত সরল ও কৌতুকাবহ। তিনি ব্যঙ্গকবিতা রচনায়ও দক্ষতা দেখিয়েছেন।
Leave a Reply