ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কৃতিত্ব আলোচনা কর।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহচ্ছায়ায় যে সব কবি কাব্যরচনায় বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছিলেন তাদের মধ্যে সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (১৮৮২-১৯২২) অন্যতম উল্লেখযোগ্য কবি। তবে তাঁর কবিমানস বিবিধ বৈশিষ্ট্যে রবীন্দ্রকবিমানস থেকে স্বতন্ত্র প্রকৃতির। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তৎকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। বিশেষত স্বদেশী যুগের মধ্যে তাঁর কবিপ্রতিভার বিকাশ ও পরিসমাপ্তি ঘটে। তাছাড়া তাঁর কাব্যে রোমান্সবিমুখ বস্তুপ্রাধান্য, তথ্য ও ইতিহাসপ্রীতি এবং জ্ঞানমুখী বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি রূপায়িত হয়ে উঠেছে। এই সমস্ত কারণে তাঁকে বাস্তববাদী কবি বলে অভিহিত করা যায়। কবি তাঁর কবিতায় ভাবের উদ্দীপনাকে বিষয়-বিবৃতির সীমায় সংবৃত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি কবিতার রূপপ্রকৃতির প্রতি সচেতন ভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন। ছন্দের কারুকুশলতার ওপরে তাঁর ঝোঁক কম ছিল না। তাঁর সম্পর্কে বলা হয় তিনি গীতিকবিতার জগতে ছিলেন জ্ঞানযোগী।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে সহজ ভাষা এবং প্রসন্ন চপল ছন্দের ব্যাপারে ঋণ গ্রহণ করেছিলেন। তবে তাঁর কবিপ্রকৃতির মধ্যে বিজ্ঞানী বুদ্ধির অংশ যে প্রবল ছিল তার পরিচয় মিলে কবিতায় বিষয়বৈচিত্র্যে। কবিতায় বাহুল্য তথ্যের প্রয়োগ সর্বত্র লক্ষণীয়, কিন্তু তার কবিতা ভাবগম্ভীর নয়। মানবসংসারের বিস্তৃত জ্ঞানভাণ্ডারের প্রায় সকল সামগ্রীর প্রতিই কবির সজাগ কৌতৃহল ছিল। প্রাচীন ইতিহাস থেকে আধুনিক ভাষাবিজ্ঞান কোন কিছু তিনি বাদ দেননি। এদেশে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতায়ই জ্ঞানের বিষয় ছিল প্রথম উপজীব্য। এদিক থেকে তিনি তাঁর পিতামহ অক্ষয়কুমার দত্তের তথ্যদৃষ্টি ও জ্ঞানবিজ্ঞান প্রিয়তার সুযোগ্য উত্তরাধিকারী ছিলেন।
বাংলা সাহিত্যে স্বল্প সময়ে সত্যেন্দ্রনাথ বৈচিত্র্যপূর্ণ সৃষ্টি রেখে গেছেন। তার কাব্যগ্রন্থগুলি হল— ‘সবিতা’, ‘সন্ধিক্ষণ’, ‘বেণু ও-বীণা’, ‘হোমশিখা’, ‘তীর্থসলিল’, ‘তীর্থরেণু’, ‘ফুলের ফসল’, ‘কুহু ও কেকা’, ‘তুলির লিখন’, ‘মণিমঞ্জুষা’, ‘অভ্রআবীর’, ‘হসন্তিকা’, ‘বেলাশেষের গান’, ‘বিদায় আরতি’ ইত্যাদি।
সত্যেন্দ্রনাথের কাব্যে যে বক্তব্য রূপায়িত হয়েছে তাতে তাঁর মনের বিচিত্র ভাবধারার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি ছিলেন, সাধক, সেজন্য তাঁর কাব্যে কাব্যে পাওয়া যায়। কবি ‘সন্ধিক্ষণ’ কাব্যে স্বদেশী আন্দোলনের প্রেরণা দিয়েছেন—
সুবেশ রাখাল-বেশ সকল ভুলিয়া
ধন্য হও স্বদেশের কাজে;
প্রতিজ্ঞা রাখিয়া স্থির স্থাণুর মতন
মান্য হও জগতের মাঝে।
আত্মতেজে করি ভর—
কর্মে হও অগ্রসর!
মূর্খে শুধু বলে এ ‘হুজুক’
বঙ্গ ইতিহাসে আজ এল স্বর্ণযুগ।
জ্ঞানসাধকদের প্রতি কবির শ্রদ্ধা ছিল অপরিসীম। দেশের ও মানুষের কল্যাণে যাঁরা ব্রতী হয়েছিলেন তাদের প্রতি বহু কবিতায় কবি ভক্তির অর্ঘ্য নিবেদন করেছেন। প্রেমের কবিতা রচনায় কবি দক্ষতা দেখিয়েছেন। শিশুর প্রতি সত্যেন্দ্রনাথের অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে কতগুলো কবিতায়। কিছু ব্যঙ্গরসাত্মক কবিতাও তিনি রচনা করেছিলেন। প্রকৃতির চিত্রাঙ্কনে তার দক্ষতার নিদর্শন মিলে ‘পাল্কীর গান’ কবিতায়—
বৈরাগী সে,
কণ্ঠী-বাধা,
ঘরের কাখে
লেপছে কাদা,
মটকা থেকে
চাষার ছেলে
দেখছে ডাগর
চক্ষু মেলে!
দিচ্ছে চালে
পোয়াল গুছি;
বৈরাগীটির
মূর্তি শুচি।
কবি এমনিভাবে বিচিত্র ধরনের, বিষয় নিয়ে স্বীয় কবিপ্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতায় কল্পনার লঘু লীলাই বেশি ফুটেছে। কবি ছড়ার ঝোঁকে, ছন্দের বৈচিত্র্যময় নৃত্যহিলোলে, চটুল শব্দের ধ্বনিময় প্রয়োগে, রং-তুলির হালকা টানে অনুসন্ধিৎসা তাঁর কাব্যে প্রকাশ পেয়ে পাঠকহৃদয়কে সে দিকে আকৃষ্ট করেছে।
বাংলা অনুবাদ কবিতার ক্ষেত্রে সত্যেন্দ্রনাথের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘তীর্থসলিল’ ‘তীর্থরেণু’, ‘মণিমঞ্জুষা’ তাঁর অনুবাদ কাব্য। এই অনুবাদণ্ডলোর মাধ্যমে বহু দেশেরই ভাষার প্রাচীন ও নবীন গান, ছড়া ও গীতিকবিতার সঙ্গে বাঙালি পাঠকের পরিচয় ঘটে। সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের অনুবাদ কবিতাগুলো অনেক সময়ে অনুবাদের অনুবাদ। তিনি ইংরেজি ছাড়া বিদেশি ভাষার কবিতাগুলো প্রায়ই ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছিলেন। তাঁর ইংরেজি কবিতার কোন কোন অনুবাদে বিদেশী ছন্দের শৈলী অনুসরণের চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলা কবিতায় নতুন রূপ ও ছন্দ প্রয়োগের জন্যও অনুবাদগুলোর গুরুত্ব আছে। অনুবাদেও কবি যথেষ্ট কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর অনুবাদ সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন—‘‘তোমার এই অনুবাদগুলি যেন জন্মান্তর প্রাপ্তি—আত্মা এক দেহ হইতে অন্য দেহে সঞ্চারিত হইয়াছে ইহা শিল্পকার্য নহে ইহা সৃষ্টিকার্য।’’
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রবীন্দ্রনাথের মতই সমকালীন জীবনের প্রতি আগ্রহশীল ছিলেন। স্বদেশের প্রতি আকর্ষণ তার কাব্যে রূপলাভ করেছে। সমসাময়িক ইতিহাসও তার অনুরাগের বিষয় ছিল। এই অনুরাগ তার কবিতা রচনার পেছনে কাজ করেছে। এ প্রসঙ্গে ভূদেব চৌধুরী মন্তব্য করেছেন—“রবীন্দ্র কবিতায় ইতিহাসের আগ্রহ, আকাঙ্ক্ষা এবং ঘটনার সারাৎসার যেখানে ভাব সুরভিতরে বিধূনিত হয়েছে—সত্যেন্দ্রনাথ সেখানে ইতিহাসের বিষয়কেই প্রধানত কবিতার অবলম্বন করেছেন। কেবল বিদ্যাসাগর কিংবা গান্ধীকে নিয়ে লেখা কবিতায় নয়, ‘মেথর’ থেকে ‘আমরা’ কিংবা ‘গঙ্গাহৃদি বঙ্গভূমি’ পর্যন্ত সেই একই প্রবণতা অনবচ্ছিন্ন।’’
কবি সত্যেন্দ্রনাথ দাত্তের কাব্যসম্ভারে উচ্চতর কল্পনানিষ্ঠার খুব বেশি সার্থক উদাহরণ পাওয়া যায় না। আসলে কল্পনার উচ্চশৃঙ্গে তিনি অস্খলিত পদচারণা করতে পারতেন না বলে যথার্থ কৃতিত্বের নিদর্শন তাতে অনুপস্থিত। অনেক ক্ষেত্রে তত্ত্বের ভারে তাঁর কবিতা দুর্বল হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও আবেগের প্রাবল্য পরিস্ফুট।
বাংলা ছন্দের ক্ষেত্রে সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত যথেষ্ট বৈচিত্র্য সম্পাদন করেছিলেন। ছন্দের বহুবিধ কৌশল দেখানোর জন্য তিনি রবীন্দ্রনাথের নিকট থেকে ‘ছন্দের রাজা’ এবং ‘ছন্দের যাদুকর’ আখ্যা পেয়েছিলেন। অবশ্য এই কৃতিত্বের জন্য তিনি কিছুটা নিন্দার ভাগীও হন। কারণ, ছন্দের কৌশল ফোটানোর দিকে প্রখর দৃষ্টি দিতে গিয়ে কবি কাব্যরসসৃষ্টির গুরুত্ব উপেক্ষা করেছেন। কবি সংস্কৃত থেকে এবং নানা দেশীয় ভাষার কবিতার অনুবাদকালে লৌকিক ছন্দ নিয়ে বিচিত্র ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। অনেক সময় তাঁর ছন্দ কবিকল্পনার বশবর্তী না হয়ে কবিকল্পনাই ছন্দের বশবর্তী হয়ে পড়েছে। শব্দসম্ভারের দিক দিয়েও সত্যেন্দ্রনাথ বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন। আরবি ফারসি ও অনাদৃত দেশজ শব্দের প্রাচুর্যপূর্ণ ব্যবহারে তিনি বিশেষ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিপ্রতিভার বৈশিষ্ট্যগুলো এভাবে উল্লেখ করা যায়। প্রথমত, তিনি খাঁটি বাংলা ভাষায় কাব্য রচনা করেছেন। দ্বিতীয়ত, তাঁর শব্দযোজনা যেমন গভীর, ভাষাজ্ঞানও ঐকান্তিক সাধন-সাপেক্ষ, তেমনি তা অতিশয় অর্থপূর্ণ তৃতীয়ত, তাঁর কবিমানসে চরিত্র ও পৌরুষ বড় বেশি প্রকট হয়ে আছে। চতুর্থত, তাঁর ছন্দ-বোধ ও ছন্দ-জ্ঞান অতি সুখকর, এবং সবোর্পরি তাঁর রচনায় একপ্রকার সুতীক্ষ্ণ রসবোধের পরিচয় রয়েছে।
বাক্চাতুরী ও বাক্বৈদগ্ধ্যে সত্যেন্দ্রনাথের স্বাতন্ত্র্য সহজেই লক্ষ্যণীয়। বাঙালি সমাজের চটুল ও মুখর রসিকতা সহজাত শক্তিতে রূপ লাভ করেছে—
বলবো আমি ‘প্রিয়া’, ‘প্রাণেশ্বরী’
ছেড়ে দিয়ে ‘শুনছ’? ‘ওগো’। ‘হ্যাগো’;
বলতে গিয়ে লজ্জাতে হায় মরি,
ও সন্বোধন ওদের মানায় নাকো।
ওসব যেন নেহাৎ থিয়েটারী,
যাত্রাদের গন্ধ ওতে ভারি,
‘ডিয়ার’টাও একটু ইয়ার-ঘেষা,
‘পিয়ারা’ সে করবে ওদের খাটো,
এর তুলনায় ‘ওগো’ আমার খাসা,
যদিও,—মানি—একটু ঈষৎ মাঠো।
“বক্তব্যকে প্রাঞ্জল অথচ সুঠাম-পরিপাটি করে তোলার আগ্রহও তাঁর তথ্যবলয়িত ছন্দ-মন্দ্রিত কাব্যকলার এক বিশেষ প্রবণতা।’’ কাব্যের বৈচিত্র্যময় পরিবেশে সত্যন্দ্রনাথের প্রতিভা ব্যাপকভাবে রূপায়িত হলেও গদ্যরচনায় তাঁর কিছু বিশিষ্টতা ছিল। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত সহজ বিষয় থেকে সৌন্দর্য আহরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ‘পাল্কীর গান’, ‘ইলশে গুঁড়ি’ ইত্যাদি কবিতায় অতি সাধারণ বিষয়বস্তুকে আশ্চর্য সুন্দর রূপে রূপায়িত করে তুলেছেন। তার কবিতায় ভাবের চেয়ে ছবি বেশি ফুটে উঠেছে। অনির্বচনীয়তার চেয়ে স্পষ্টার্থক শব্দের ধ্বনি-চঞ্চলতাময় ঝঙ্কারেই প্রাধান্য লাভ ঘটেছে। সত্যেন্ত্রনাথ দত্ত কবি হিসেবে রোমান্টিক, কিন্তু সে রোমান্টিকতা ইন্দ্রিয়-চেতনা-নিহিত, অতীন্দ্রিয় নয় একেবারেই।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কাব্য-প্রতিভার বৈশিষ্ট্য
- রবীন্দ্র অনুরাগী হয়েও বাংলা কাব্যধারায় রবীন্দ্রনাথ থেকে স্বতন্ত্র সুরেরই সাধনা করেছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ—যা রবীন্দ্রনাথকেও আকৃষ্ট করেছিল।
- সত্যেন্দ্রনাথের কাব্যের মধ্যেই আধুনিকতার প্রথম আভাস (যদিও বুদ্ধদেব বসু ভিন্নমত পোষণ করেন) ধরা পড়েছিল। কারণ রোমান্টিক কাব্যের ‘বিষয়ীর আত্মতা’ থেকে স্বতন্ত্র সেই বস্তুতন্ময়তাই ছিল সত্যেন্দ্রনাথের কবিকর্মের মূল বৈশিষ্ট্য।
- ফুল, পাখি, চাঁদ আর তারা নিয়ে সেকালের রবীন্দ্রানুসারী কবিগণ যে সরল মধুর ও বিধুর পল্লীজীবনের হৃদয়ানুভূতির কাব্য রচনা করেছিলেন সত্যেন্দ্রনাথের মননপ্রকর্ষজাত কবিতা ছিল সেই আবেশ-শিথিল কাব্যক্ষেত্রে অনন্য।
- সত্যেন্দ্রনাথের কাব্যলক্ষ্মী প্রকৃতপক্ষে তাই জ্ঞানভারতী। সূর্য যেমন তার কাছে জ্ঞানের প্রতীক, তেমনি তার কবিমানসের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ছিলেন মহাসরস্বতী—রবীন্দ্রনাথের মতো মানসসুন্দরী বা লীলাসঙ্গিনী নন।
- সুরেন্দ্রনাথ মজুমদার, দ্বিজেন্দ্রলাল প্রভৃতির কাব্যসাধনার মধ্যে দিয়ে রবীন্দ্রনাথের অনুভূতি নিবিড় রোমান্টিক সৌন্দর্যচেতনার সমান্তরালে যে স্পষ্ট কবিতার ধারাটি চলে আসছিল সত্যেন্দ্রনাথ সেই ধারাতে যোগ করলেন নতুন শক্তি, রোমান্টিক চেতনার স্থানে নতুন করে এল স্পষ্ট বস্ততন্ময়তা।
- কাব্যের রূপকর্ম নির্মাণে, ছন্দের ক্রিয়াশীলতায়, শব্দ ব্যবহারে ও ধ্বনিস্পন্দন সৃষ্টিতে সত্যেন্দ্রনাথের যাদুস্পর্শে বাংলা কবিতা পেল এক বিচিত্র আনন্দের স্বাদ। বিশেষ করে মোহিতলাল ও জীবনানন্দের প্রথম জীবনের কাব্যরচনায় সত্যেন্দ্রনাথের প্রভাব মূলত এই রূপশৈলীর পথ ধরেই এসেছিল।
- অনুবাদ কাব্য রচনার ক্ষেত্রে তিনি প্রভৃতি সমকালীন ইওরোপীয় কবিদের কবিতা অনুবাদ করে বাংলা কবিতাকে সেকালে ইওরোপীর আধুনিকতার সঙ্গে কিছুটা যুক্ত করে দিয়েছিলেন কবি।
- সত্যেন্দ্রনাথের কবিকৃতিত্ব সম্বন্ধে শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তাই বলেছেন— “আধুনিক কবিতার যে প্রধান লক্ষণ ভাব-গভীরতার পরিবর্তে কৌতূহল-বিস্তৃতি, কাব্যানুরঞ্জনের স্থলে জীবনরসের আস্বাদন বৈচিত্র্য, স্তব্ধ ধ্যানতন্ময়তার স্থলে গতিবেগের উন্মাদনা, প্রথাগত কাব্যরীতির পরিবর্তে সংলাপভঙ্গীর দ্রুতসঞ্চারী ভাবানুগামিতা—তাহা সত্যেন্দ্রনাথের কাব্যপরীক্ষা হইতেই প্রধানতঃ উদ্ভূত।” (বাংলা সাহিত্যের বিকাশের ধারা)।
Leave a Reply