কবি আবদুল করীম খোন্দকারের কৃতিত্ব আলোচনা কর।
কবি আবদুল করীম খোন্দকার
আরাকান রাজসভাকে কেন্দ্র করে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার যে বিকাশ সাধিত হয়েছিল তার প্রভাবেই আবদুল করীম খোন্দকারের আবির্ভাব ঘটে। তিনি আরাকানের অধিবাসী ছিলেন এবং রোসাঙ্গের রাজধানী ম্রোহং বা মুরুং শহরে বসে রোসাঙ্গরাজ প্রদত্ত ‘সাদিউকনামা’ উপাধিধারী রাজ-কোষাধ্যক্ষ আতিবর নামক এক ব্যক্তির আদেশে ১৬৯৮ সালে ‘দুল্লা মজলিস’ কাব্য রচনা করেন। কাব্যটি ফারসি গ্রন্থের ভাবানুবাদ। এতে হযরত মুহম্মদ (স) ও অপর কয়েকজন নবী এবং রাসুলুল্লাহর পরবর্তীকালের কয়েকজন মহাত্মার কথা বর্ণিত হয়েছে। কবি রোজা, নামাজ ও বেহেশতের বিবরণও দান করেছেন। ‘হাজার মসাইল’ ও ‘নূরনামা’ নামে দুটি কাব্যও তিনি রচনা করেছিলেন।
Leave a Reply