মনসামঙ্গল কাব্যধারায় জীবন মৈত্রের কৃতিত্ব আলোচনা কর।
জীবন মৈত্র
অষ্টাদশ শতাব্দীর উত্তরবঙ্গের মনসামঙ্গলের অন্যতম কবি হলেন জীবন মৈত্র। করতোয়া নদীর তীরে লাহিড়ীপাড়া গ্রামে জীবন মৈত্র জন্মগ্রহণ করেন। কবি তাঁর আত্মপরিচয়ে নিজেকে নাটোরের রানি ভবানীর পুত্র রাজা রামকৃষ্ণের আশ্রিত বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর কাব্যের রচনাকাল ১৭৪৪ খ্রিস্টাব্দ। (মহী পৃষ্ঠে শশী দিয়া বাণ বিধু সমর্পিয়া)
তাঁর কাব্যের নাম ‘পদ্মপুরাণ’। তা দেবখণ্ড ও বণিকখণ্ড দুভাগে বিন্যস্ত। এই কাব্য জগজ্জীবনের কাব্যের থেকে আকারে বড়। গল্পে কিছু কিছু নতুনত্ব আছে। যেমন লখিন্দর কর্তৃক কামগঞ্জ নগর স্থাপন। তাঁর কাব্যে বেহুলার বাবার নাম বাহো সদাগর, মার নাম মেনকা, ভাই শঙ্খধর এবং বেহুলার নাম বেললি।
জীবন মৈত্র পণ্ডিত কবি ছিলেন— কাব্যের মধ্যে সংস্কৃতবাহুল্য তার বড় প্রমাণ। তৎসম শব্দের প্রয়োগ, সংস্কৃত অলংকারের যথোচিত বিন্যাস, করুণ রসের বর্ণনা, আদি রসের উপস্থাপনে জীবন মৈত্রের কাব্য উল্লেখযোগ্য।
১. বাংলা মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস: আশুতোষ ভট্টাচার্য
২. বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত: অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
৩. বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস: সুকুমার সেন
Leave a Reply