জীবনী-সাহিত্য কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্যগুলি উদাহরণসহ আলোচনা কর।
জীবনী-সাহিত্য
জীবনী-সাহিত্যের কথা মধ্যযুগীয় আখ্যান কাব্য প্রসঙ্গে একবার আমরা উল্লেখ করেছি, তবে প্রথমত তা ছিল পদ্যমাধ্যমে রচিত, দ্বিতীয়ত, তাদের আমরা বলেছি সন্তজীবনী, ফলে প্রকৃত জীবনী-সাহিত্যের মূল্য তাদের আমরা দিতে চাইনি। মধ্যযুগে চৈতন্যদেব এবং তার পার্ষদদের নিয়ে এরকম জীবনীকাব্য বা চরিতসাহিত্য লেখা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু কড়চাও আছে। কড়চা বলতে সাধারণত ছোট জীবনীগ্রন্থই বোঝায় যাতে জীবনের বিস্তৃত বিবরণ না দিয়ে সংক্ষিপ্ত জীবনীচিত্র তুলে ধরা হয়।
অবশ্য আরো কিছু কিছু উদ্দেশ্যে কড়চা লিখিত হতো। সংস্কৃত আলংকারিকদের কাব্যজিজ্ঞাসা-সংক্রান্ত গ্রন্থ দুভাগে বিভক্ত থাকতো কারিকা ও বৃত্তি। কারিকায় সংক্ষেপে সূত্রের মতো কোনো কথা বলে বৃত্তি অংশে তা ব্যাখ্যা করা হতো। অনেকে মনে করেন, সংস্কৃত ‘কারিকা’ থেকেই কড়চা শব্দটি এসেছে। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের অভিধানে এর পরিচয় দেওয়া হয়েছে এইভাবে— জীবন বৃত্তান্ত বা ঐতিহাসিক ঘটনাদির বিষয় যাতে রক্ষিত হয় বা ঐ সকল বিবরণ ধ্বংস হতে রক্ষা করিবার জন্য যাতে লিখিত হয়। সংস্কৃতে শ্রীরূপ গোস্বামীর কড়চা বিখ্যাত। মধ্যযুগীয় জীবনীকাব্যের মধ্যে গোবিন্দদাসের কড়চা অত্যন্ত বিতর্কিত এবং সেই কারণেই উল্লেখযোগ্য।
জীবনী-সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য
মধ্য যুগের জীবনচরিত Hagiography-র অন্তর্ভুক্ত মনে করাই স্বাভাবিক, প্রকৃত Biography বা জীবনীসাহিত্যের আবির্ভাব ঘটেছে আধুনিক কালেই। মনে হতে পারে জীবনী প্রচনা খুব দুঃসাধ্য ব্যাপার নয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর মতো জটিল সাহিত্যকৃতি কমই আছে। কারণ—
প্রথমত, জীবনী ইতিহাসেরই একটি শাখা। ব্যক্তিবিশেষের জীবনকাহিনী অত্যন্ত তথ্যনিষ্ঠার সঙ্গে সম্পন্ন হওয়া উচিত যাতে ভবিষ্যৎ ইতিহাসের একটি দলিল হয়ে থাকে সেটি।
দ্বিতীয়ত, সাহিত্যকৃতি হিসাবে গণ্য হতে গেলে তার মধ্যে সাহিত্যরস থাকতে হবে, নিছক জীবনীপঞ্জী হলে চলবে না। আলোচ্য চরিত্রটিকে নায়ক ধরে নিয়ে ধীরে ধীরে চরিত্রটির বিবর্তন দেখানো উচিত, কথাসাহিত্যের মতোই। তথ্যের দিকে অতিরিক্ত ঝোক জীবনচরিতকে নষ্ট করে ফেলে। এ বিষয়ে স্ক্রাচি-র মত স্মরণযোগ্য—A mass of notes and documents is no more biography than a mountain of eggs is an omelette.’ | বোধহয় এই কারণেই কেউ কেউ মূর্তি-অঙ্কনশিল্পী বা Portrait-painter-এর সঙ্গে জীবনচরিতকারের তুলনা করেন। মূর্তিতে যেমন লোকটির প্রকৃত চেহারা আঁকবার সঙ্গে সঙ্গে শিল্পীকে শিল্পের প্রতিও সুবিচার করতে হয়, জীবনী লেখককেও আলোচ্য চরিত্রটি এমন ভাবেই আঁকতে হয় যাতে আর পাঁচজন সেই চরিত পাঠে উৎসাহ পান অথচ তথ্যের বিকৃতি কোথাও ঘটে।
তৃতীয়ত, জীবিত মানুষ অথবা মৃত মানুষের জীবনী রচনা করা হবে, এবিষয়ে রচনাকারের মনে সংশয় থাকতে পারে। আলোচ্য ব্যক্তি জীবিত থাকলে তার সম্বন্ধে বিভিন্ন তথ্য তার কাছ থেকেই জেনে নেওয়া সম্ভব, কিন্তু তার মৃত্যুর পর এই বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সন্ধান দুরূহ হয়ে পড়ে। তথ্যের স্বল্পতা নিয়েই সে ক্ষেত্রে অগ্রসর হতে হয়। কারো মৃত্যুর পর প্রকাশিতব্য জীবনীর ব্যাপারে আরো একটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয় তখন সব গৃহীত তথ্যই ঠিক প্রকাশ্য থাকে না। সাধারণভাবে মৃত মানুষের ত্রুটিগুলি গোপন করে তার গুণকীর্তনই প্রচলিত রীতি; যেখানে তা সম্ভব নয়, সেখানে ত্রুটিগুলির সাধ্যানুসারে অনুল্লেখই বাঞ্ছনীয়। তাছাড়া অনেক সময় একটি মানুষের এমন ভাবমূর্তি গড়ে উঠতে পারে যাতে কিছু তথ্য তার ভাবমূর্তির ব্যাপারে ক্ষতিকারক বিবেচিত হতে পারে। সাধারণ মানুষের ধারণা যদি এতে প্রচণ্ড আহত হবার আশঙ্কা থাকে তবে সে তথ্য প্রকাশ না করাই বাঞ্ছনীয়। অথচ একটি ব্যক্তির পরিচয় দিতে গেলে তথ্যের বিকৃতি ঘটানোও বাঞ্ছনীয় হতে পারে না। সেই কারণে এসব ক্ষেত্রে অতি সাবধানে অগ্রসর হতে হয়।
চতুর্থত, জীবনচরিত সম্বন্ধে ইংরেজিতে একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কথা বলা হয় সেটি মনে রাখতে হবে, জীবনীরচনায় যেন ‘Perfect Pattern of well-told life’ বজায় থাকে। অর্থাৎ একটি জীবন পরিস্ফুট হয় অন্যান্য চরিত্রের সঙ্গে তার আচরণে এবং সেইসব চরিত্রের সঙ্গে বিভিন্ন আলাপচারিতায় বা সংঘর্ষে। এইসব অন্য চরিত্রের চিত্র যদি একেবারে অস্পষ্ট থেকে যায় তাহলে একদিকে যেমন জীবনীরচনায় ‘perfect pattern’ নষ্ট হয়, অন্য দিকে মূল জীবনও সুপরিস্ফুট হতে পারে না—তাকে অনেকটা আকর্ষণহীন মনে হয়। এই কথাই স্পষ্ট করে বলেছেন সমালোচক Andre Mauross-Secondar. Character must be delineated with the same care and love as the central figure. No man or woman was ever left to fight alone in the battle of life.’
পঞ্চমত, জীবনীচরিতের মাধ্যমে যদি কোনো নীতি বা আদর্শ প্রচার লেখকের উদ্দেশ্য হয়। তবে অত্যন্ত সতর্ক ভাবে তা করতে হবে। সবেচেয়ে ভালো হয় যদি এই নৈতিক আদর্শ বা মঙ্গলের কথা তিনি একবারও না বলে চরিত্রটিই নিষ্ঠার সঙ্গে এবং সাহিত্যক রসবোধের সঙ্গে চিত্রিত করার চেষ্টা করেন। কারণ তার সে প্রচেষ্টা সফল হলেই নৈতিক আদর্শ বা মঙ্গলের প্রচারাদর্শ সফল হবে। সমালোচক Mauross এ কথাটিও সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেন—‘‘A Bethoven Symphony is highly moral; so is a great biography, not because the author lays down moral principles but because a great life is a thing of beauty.’’
জীবনী-সাহিত্যের পরিচয়
সঠিক জীবনীসাহিত্য আধুনিক যুগেই দেখা গিয়েছে, এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও বাংলায় এখনও সার্থক জীবনীগ্রন্থ লেখা হয়নি, এমন কথা কোনো কোনো সমালোচক মনে করেন। ঊনবিংশ শতকে প্রতিভার এক উজ্জ্বল সমাবেশ দেখা গিয়েছিল, অথচ রামমোহন রায় থেকে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কারো জীবন নিয়েই ঠিক তেমন কোনো জীবনীসাহিত্য লেখা হয়েছে বলে মনে হয় না। এই প্রচেষ্টা অনেক আগে আমরা দেখেছি শিবনাথ শাস্ত্রীর ‘রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ’ গ্রন্থে, বেশ কয়েক বছর আগে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের অমাবস্যার গান’-এ যেখানে ভারতচন্দ্র রায়ের জীবনকে তিনি উপন্যাসের বিষয় করে তুলেছেন, সাম্প্রতিক কালে দেখেছি কিশলয় ঠাকুরের ‘পথের কবি’-তে—বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রচিত্রণে এবং একেবারে এই সময়েই রচিত সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের দুটি উপন্যাসকল্প দীর্ঘ রচনায়—‘সেইসময়’ ও ‘প্রথম আলো’-তে।
একটু কালানুক্রমিক বিচার করতে গেলে বলতে হবে, বাংলা গদ্য সাহিত্যে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের মুন্সী রামরাম বসুই প্রথম আধুনিক জীবনচরিতের লেখক যিনি ‘রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র রচনা করেন। এরপর রাজা প্রতাপাদিত্যকে অনেকেই সাহিত্যের বিষয় করে নিয়েছেন—প্রতাপচন্দ্র ঘোষের দুখণ্ডে সমাপ্ত ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘বঙ্গাধিপ পরাজয় থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথের ‘বউ ঠাকুরানীর হাট পর্যন্ত তার প্রমাণ।
এর পরেই বোধহয় নাম করতে হবে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের, যিনি বাংলার বহু কবিওয়ালার জীবন এবং কবিতা অনুসন্ধান ও উদ্ধার করে প্রকাশ করেছেন। ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের জীবনী রচনা তাঁর গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য জীবনীগ্রন্থের মধ্যে স্থান পেতে পারে অজিতকুমার চক্রবর্তীর ‘মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর’, নগেন্দ্রনাথ সেনের ‘মধু-স্মৃতি’, যোগীন্দ্রনাথ বসুর ‘মধুসূদন দত্তের জীবন চরিত’, ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘রামমোহন রায়’, চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদ্যাসাগর চরিত’, মুকুন্দদেব মুখখাপাধ্যায়ের ‘ভূদেব চরিত’ প্রভৃতি। লেখার গুণে যে সন্তজীবনীও পরম উপভোগ্য হয়ে উঠতে পারে তার দৃষ্টান্ত শিশিরকুমার ঘোষের ‘অমিয় নিমাই চরিত’। আধুনিক কালে এ ধরনের জীবনচরিত রচনা করে সাফল্য ও প্রভূত জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত। তার ‘পরমপুরুষ শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ’, ‘পরমাপ্রকৃতি সারদামণি’ ও ‘বীরেশ্বর বিবেকানন্দ’ এ কালের শ্রেষ্ঠ জীবনীগ্রন্থ। জীবনীসাহিত্য না হলেও লুপ্ত জীবনী উদ্ধারের কাজে পূর্বে অসাধারণ নিষ্ঠা দেখিয়েছেন ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সাহিত্য সাধন চরিতমালার প্রত্যেকটি গ্রন্থ আজকের সম্পদ। এ কালে মণি বাগচীও জীবনীসাহিত্যের একজন সার্থক রূপকার।
আমাদের দেশে সার্থক জীবনীগ্রন্থ রচনার একটি প্রতিবন্ধকতা সাধারণ পাঠকের মানসিকতা। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, এ দেশ কর্তাভজার দেশ। এখানে অসাধারণ শক্তিসম্পন্ন মানুষ পেলেই অল্পদিনের মধ্যেই তাকে আমরা অতিমানব বা ঋষি বানিয়ে তুলি, ফলে বিবিধ ত্রুটি ও যেসব মানবিক দুর্বলতার পরিচয়ে একটি মানুষ রক্তমাংসের সজীব মানুষ হয়ে উঠতে পারেন সেই দুর্বলতা বা ত্রুটির পরিচয় জীবনীলেখক দিতে পারেন না। ও দেশের জীবনীর সঙ্গে এদেশের জীবনীগ্রন্থের পার্থক্যই সেইখানে। বিখ্যাত নাট্যকার জর্জ বার্নার্ড শ-এর জীবনী রচনা করেছিলেন ফ্রাঙ্ক হ্যারিস। তিনি শ-এর দুর্বল স্থানগুলি ঢেকে রাখবার কোনো চেষ্টাই করেন নি। বিখ্যাত মহিলা অ্যানি বেসান্ত শ-এর প্রণয়কাঙ্ক্ষিনী-ছিলেন। সে কথা ব্যারিস সবিস্তারেই লিখেছেন, তাতে সাধারণ মানুষের চোখে শ নিন্দনীয় হয়ে যাননি। বিবাহের পরও অনেক নারী এই বিখ্যাত নাট্যকারের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন, হ্যারিস সেই কাহিনীও অত্যন্ত উপভোগ্য ভাবে পরিবেশন করেছেন। এতে তার চরিত্রের হীনায়ন ঘটানো হল বলে নাট্যকার স্বয়ং অভিযোগ করেননি, তাঁর কোনো অনুরাগীও আক্ষেপ করেননি। অথচ এই একই ব্যাপার আমাদের দেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি করা হলে বেশ কিছু রবীন্দ্রানুরাগী যে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠতেন এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কেতকী কুশারীর একটি গ্রন্থে ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো সম্বন্ধে এই ইঙ্গিতই অনেকে ভালো ভাবে গ্রহণ করতে পারে নি। রবীন্দ্রনাথের মতো মানুষের নামে অলীক কল্পনা প্রকাশ করা গহিত কাজ সন্দেহ নেই, কিন্তু আমাদের এটা মনে রাখা উচিত যে রবীন্দ্রনাথ অসাধারণ প্রতিভাশালী হওয়া সত্ত্বেও একজন রক্তমাংসের মানুষ ছিলেন এবং তার অনুভূতি সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি তীক্ষ্ণ ও স্পর্শকাতর ছিল। এরকম একজন তীব্র অনুভূতিসম্পন্ন মানুষ তার সম্বন্ধে একটা নারীর দুর্বলতা ও তার পরম নিবেদনকে উপলব্ধি করবেন এটা যেমন প্রত্যাশিত, একটি নারী এমন একটি যুগোত্তর পুরুষের প্রতি সুতীব্র আকর্ষণ ও ভক্তি-শ্রদ্ধা অনুভব করবেন এটাও। অপ্রত্যাশিত নয়। সুতরাং এ থেকে কোনো গভীর গোপন সম্পর্ক গড়ে উঠতেই পারে। তাকে আমরা অশ্রদ্ধেয়ই বা কেন বলবো এবং এরকম ঘটা অসম্ভবই বা কেন মনে করবো তার কোনো সংগত ব্যাখ্যা নেই। কিন্তু এই মানসিকতা এখনো এখানে অব্যাহত আছে। যতদিন তা থাকবে। ততদিন সঠিক জীবনী রচনার প্রতিবন্ধকতাও থাকবে।
তথ্যসূত্র:
কাব্যজিজ্ঞাসা – অতুলচন্দ্র গুপ্ত | Download |
কাব্যতত্ত্ব: আরিস্টটল – শিশিরকুমার দাস | Download |
কাব্যমীমাংসা – প্রবাসজীবন চৌধুরী | Download |
ভারতীয় কাব্যতত্ত্ব – নরেন বিশ্বাস | Download |
ভারতীয় কাব্যতত্ত্ব – অবন্তীকুমার সান্যাল | Download |
কাব্যজিজ্ঞাসার রূপরেখা – করুণাসিন্ধু দাস | Download |
কাব্য-শ্রী – সুধীরকুমার দাশগুপ্ত | Download |
সাহিত্যের রূপরীতি ও অন্যান্য – কুন্তল চট্টোপাধ্যায় | Download |
সাহিত্য ও সমালোচনার রূপরীতি – উজ্জ্বলকুমার মজুমদার | Download |
কাব্যালোক – সুধীরকুমার দাশগুপ্ত | Download |
কাব্যপ্রকাশ – সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত | Download |
নন্দনতত্ত্ব – সুধীর কুমার নন্দী | Download |
প্রাচীন নাট্যপ্রসঙ্গ – অবন্তীকুমা সান্যাল | Download |
পাশ্চাত্য সাহিত্যতত্ত্ব ও সাহিত্যভাবনা – নবেন্দু সেন | Download |
সাহিত্য প্রকরণ – হীরেণ চট্টোপাধ্যায় | Download |
সাহিত্য জিজ্ঞাসা: বস্তুবাদী বিচার – অজয়কুমার ঘোষ | Download |
Leave a Reply